তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁ টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটে নিজের বিছানো জালে আটকা পরে বদলী

নওগাঁ টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটে নিজের বিছানো জালে আটকা পরে বদলী
[ভালুকা ডট কম : ১৮ এপ্রিল]
নওগাঁ সরকারী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটে সদ্য যোগদানকারী সুপারিনটেনডেন্ট কাজী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দেয়াসহ নিজেদের বিছানো জালে ধরা পড়ে ও নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকায় অবশেষে বদলী হয়ে গেলেন ইন্সট্রাক্টর ফয়সাল চৌধুরী। এ ছাড়াও এ ঘটনার সাথে জড়িত ও জালিয়াতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ভর্তি করার অভিযোগে এমএলএস পদে সেমি খাতুনকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

সুপার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইন্সটিটিউটে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সুপার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করলেও ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব বুঝে নেন। কাগজপত্র দেখে বুঝে নিয়ে পারেন প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি, সপ্তাহের বেশি ভাগ দিন কর্মস্থালে না এসে বেতন উত্তোলন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমতি না নিয়ে প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ রুমে পরিবারসহ বসবাস করা, নিয়মিত ক্লাশ না নেয়া, প্রায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অসাদুপায়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করাসহ সেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো। ঘটনাগুলো হাতে নাতে ফেলেন এবং প্রতিবাদ করে সর্তক করে দেন।

৯ মার্চ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে অনুষ্ঠিত নবম শ্রেণির বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন অসুদুপায় অবলম্বন ইন্সট্রাক্টর ফয়সাল চৌধুরী সহযোগিতা করার সময় এক ছাত্র বহিষ্কার হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার পরীক্ষার সকল দায়িত্ব থেকে ফয়সাল চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয় হয়। ওই পরীক্ষার্থীর ও ফয়সাল চৌধুরীর বহিষ্কার প্রত্যহারের দাবিতে পর দিন ১০ মার্চ পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করে বাহিরাগত ছাত্র এনে প্রতিষ্ঠানে তালা বুলিয়ে প্রতিষ্ঠানে আতঙ্কগ্রস্থ্য করে তোলেন।

ঘটনা জানতে পেরে জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ প্রশাসনে সংবাদ জানালে নওগাঁর নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লা-আল-মামুন ও সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সাথে ইন্সট্রাক্টর ফয়সাল চৌধুরী জড়িত থাকায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেকে জানিয়ে বদলীর সুপারিশ করা হয়। ঘটনার মূল হোতা ফয়সাল চৌধুরীকে কিশোরগঞ্জ সরকারী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটে বদলী করা হয়েছে।

এর জের ধরে ঘটানাগুলোর ইন্সট্রাক্টর ফয়সাল চৌধুরী চক্রান্ত করে সুপারের বিরুদ্ধে আবারও শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে সুপারকে অপসারণের জন্য গত ১৮ মার্চ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস উদযাপন করা ‘না জায়েজ’ কাজ,  ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ, হয়রানীমুলক ভাবে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া, অন্যায় ভাবে টিসি দেওয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ দায়ের করান।

ইন্সট্রাক্টর ফয়সাল চৌধুরী ও সেমি খাতুন তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তাদের কিছু করার থাকে না। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষরা সব জানেন। পূর্বে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষরাই এর সাথে জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার বিকালে নওগাঁর নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লা-আল-মামুন তদন্ত করেন।

আব্দুল্লা-আল-মামুন জানান, অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত করে নতুন সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দেয়াসহ ইন্সট্রাক্টর ফয়সাল চৌধুরী ও সেমি খাতুনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে। চুড়ন্ত প্রতিবেদন দ্রুত জমা দেয়া হবে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই