তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বড়াইবাড়ী অনুপ্রেরনার উৎস- জেবেল রহমান গাণি

বড়াইবাড়ী দিবসের ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বড়াইবাড়ী অনুপ্রেরনার উৎস- জেবেল রহমান গাণি
[ভালুকা ডট কম : ১৮ এপ্রিল]
ভারতীয় অব্যাহত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে বড়াইবাড়ী দিবস সমগ্র জাতীর অনুপ্রেরনার উৎস। ২০০১ সালের এদিনে কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ীতে বিডিআর ও কৃষক-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধে ভারতীয় হানাদার বাহিনী বিএসএফ পরাজিত হয়েছিল। সেদিন দেশপ্রেমিক বিডিআর ও দেশবাসী যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল তাতে প্রমানিত হয় কোন সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী ও আগ্রাসী শক্তি বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদশ ন্যাপ নেতৃবৃন্দ।

আজ শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘বড়াইবাড়ী দিবসের ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় নগর সভাপতি মোড়ল আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব গোলাম সারওয়ার খান, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, নগর সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, সহ-সভাপতি মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, শাহ মোঃ শাহ আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শামিম ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ভানু, সম্পাদক প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান সোহেল, আক্তার হোসেন, জিল্লুর রহমান পলাশ, ছাত্রনেতা এম.এন. শাওন সাদেকী প্রমুখ।

জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, বড়াইবাড়ীর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাটকের মাধ্যমে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংসের ইন্দন জুগিয়েছিল ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৩বছরে ভারতের অব্যাহত পানি-সীমান্ত-বাণিজ্যিক-আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাড়াতে পারেনি। ভারত বাংলাদেশের সৎ প্রতিবেশী হিসাবে পরিচয় দিতে পরিপূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বড়াইবাড়ী ভারতীয় সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীর সম্মিলিত প্রতিরোধর অংশ।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতা ৪৩ বছরেও বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে নতজানু ও ভারতের পদলেহী নীতির কারণে। বরং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ভারত সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই সীমান্ত হত্যাকান্ড সম্পর্কে সোচ্চার হতে হবে। তিনি বলেন, সীমান্ত থাকা সত্ত্বেও ভারত পাকিস্তান-শ্রীলংকার সাথে নেতিবাচক আচরনের সাহস পায় না, তাহলে বাংলাদেশের সাথে পায় কিভাবে ? এর জন্য দায়ি বাংলাদেশের সরকার গুলোর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ক্ষমতায় যাওয়া এবং টিকে থাকার জন্য ভারত তোষন নীতি।  

সভাপতির বক্তব্যে মোড়ল আমজাদ হোসেন বলেছেন, ভারতের অব্যাহত সীমান্ত-পানি-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শাসগোষ্টি সকল সময়ই নিরব ভূমিকা পালন করে। ক্ষমতায় টিকে থাকা আর ক্ষমতার যাওয়ার লড়াইয়ে সোচ্চার হলেও শাসক দলগুলো দেশের স্বার্থে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিরব থাকে।

বার্তা প্রেরক
(মেহেদী হাসান সোহেল)
দপ্তর সম্পাদক, ঢাকা মহানগর
বাংলাদেশ ন্যাপ



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই