তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে কেন্দুয়ায় সুজান হাবার্ড স্কুলে তালা

পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে কেন্দুয়ায় সুজান হাবার্ড স্কুলে তালা
[ভালুকা ডট কম : ২০ এপ্রিল]
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে সুজান হাবার্ড স্কুল ও শিশু নিকেতন নামে একটি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ হয়ে গেছে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।

বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের গৈচাষিয়া গ্রামের আব্দুল কাদির শান্তর প্রচেষ্টায় তার আত্মীয় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সহিদুর রহমান ২০০৯ সালে গৈচাষিয়া গ্রামে এতিমখানার নামে স্থানীয় ৫ ব্যক্তির কাছ থেকে ৯শতাশ ভূমি দলিল মূলে গ্রহণ করেন। পরে ওই ভূমিতে আমেরিকার এক দাতার সহযোগিতায় সুজান হাবার্ড স্কুল ও শিশু নিকেতন নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠাতা সহিদুর রহমানের ছেলে সোহানুর রহমানকে সভাপতি ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সদস্য করে একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করে ২০১০ সালের ৫ মার্চ থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর দীর্ঘ দিনেও সভাপতি পরিচালনা কমিটির কোনো সভা আহবান না করায় সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আমেরিকার দাতার প্রদত্ত অর্থের হিসাব-নিকাশ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, শিক্ষকদের ৮ হাজার টাকা বেতন ভাতা দেয়ার কথা বলে নিয়োগ দিলেও পরে তাদেরকে ২ হাজার ৫শ টাকা করে বেতন প্রদান করায় শিক্ষকদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সহিদুর রহমানের নামে পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুললে তিনি উল্টো আব্দুল কাদির শান্ত গংদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি চাঁদা দাবীর অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর ৬ এপ্রিল থেকে বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আউয়াল জানান, এ সম্পর্কে বিস্তারিত আমি জানি না। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গৈচাষিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফ বলেন, এতিম খানার নামে গ্রামের লোকদের কাছে থেকে ভূমি নিয়ে সুজান হাবার্ড নামে স্কুল দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা ও আমেরিকার দাতা রিচার্ড হাবার্ড প্রদত্ত অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠাতা নিজেই বিদ্যালয় বন্ধ করে পালিয়েছেন এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবীর অভিযোগ করেছেন। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সহিদুর রহমানের ছেলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই