তারিখ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পীরগঞ্জে হাম-রুবেলা কর্মসূচী’র টাকা তছরুপের ঘটনা ধামাচাপা

পীরগঞ্জে হাম-রুবেলা কর্মসূচী’র টাকা তছরুপের ঘটনা ধামাচাপা
[ভালুকা ডট কম : ২৩ এপ্রিল]
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির ৮ লক্ষাধিক টাকা তছরুপের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন।

জানা গেছে, হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে অ্যাডভোকেসি সভা, ক্যাম্পেইন, মাইকযোগে প্রচার, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমাণ টাকা যথাযথভাবে ব্যয় না করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে পকেটস্থ করেছেন। এ ঘটনায় কর্মচারীরা ক্ষোভে ফুসছেন। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে ১টি করে এমআর ক্যাম্পেইনের জন্য ৮’শ টাকা করে ৪৫টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৬হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও কোন ওয়ার্ডেই ক্যাম্পেইন না করেও বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

প্রতি ওয়ার্ডে ৩ জন করে ৪৫টি ওয়ার্ডে ১’শ ৩৫জন সে¡চ্ছাসেবককে ১’শ ৫০টাকার পরিবর্তে ৪০টাকা করে দেওয়া হয়েছে মর্মেও অভিযোগ রয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে ২৪জনের সমন¡য়ে অ্যাডভোকেসি সভা করার কথা থাকলেও তা না করে প্রত্যেক সে¡চ্ছাসেবকের জন্য বরাদ্দকৃত ১০হাজার ৮’শ টাকা সম্পূর্ণ পকেটস্থ করা হয়। প্রতি ওয়ার্ডে কর্মরত ১জন স¡াস্থ্য সহকারী ও ১জন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের জন্য টিকাদান কর্মসূচি চলাকালীন ১৭হাজার ৯’শ টাকার স্থলে ৮হাজার ৫’শ টাকা করে দিয়ে ৪’লাখ ২৭’হাজার ৫’শ টাকা আত্নসাৎ করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন দফতরের ৫০কর্মকর্তার সমন্নয়ে একটি অবহিতকরণ সভা করার কথা থাকলেও মাত্র কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে নামমাত্র একটি সভা করা হয়। এতে প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য আপ্যায়ন বাবদ ৮০টাকা এবং ষ্টেশনারি ৩০টাকা এবং সম্মানী ২’শ টাকা হারে বরাদ্দ ছিল।

যে ক'জনকে নিয়ে সভা করা হয়, তাদের কোন ষ্টেশনারিজ সরবরাহ দেওয়া হয়নি। স্থানীয় নেতাদের ৪০জনের ১দিনের ১টি ওয়ার্কশপ করার নির্দেশ থাকলেও তা করা হয়নি। স্থানীয় শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের ২’শ জনের সমন¡য়ে অবহিতকরণ ওয়ার্কশপ করার নির্দেশ থাকলেও তা না করে ভূয়া বিল উত্তোলন করা হয়েছে। এদিকে এসব ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ায় পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকলনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান। তিনি এ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় ভয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে উচপর্যায়ে তদন্ত হলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য খাতের আরও অনেক অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছে। ডা. মাহবুবুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমার এবং হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই কিছু লোক সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। হাম-রুবেলা কর্মসূচি পালনে সব নির্দেশণা মেনে চলা হয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই