তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পীরগঞ্জে এক দাখিল মাদ্রাসার শ্রেনী কক্ষের তালা খুলে দিলো পুলিশ

পীরগঞ্জে এক দাখিল মাদ্রাসার শ্রেনী কক্ষের তালা খুলে দিলো পুলিশ
[ভালুকা ডট কম : ২৪ এপ্রিল]
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ধর্মদামপুর দাখিল মাদ্রাসায় বরখাস্তকৃত সুপার সু-কৌশলে শ্রেণী কক্ষসমূহে শিক্ষার্থীদের দিয়ে তালা লাগানোর পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেয়া হয়েছে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজার রহমান সেলিম জানান-উক্ত মাদ্রাসার সুপার নজরুল ইসলাম মাদ্রাসায় সরকারি বিধি ঠিক রাখতে কাম্য অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য যোগ্যতার সনদপত্র জাল করে হারুন-অর-রশীদ নামের এক ব্যক্তিকে সহ-সুপার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তী পর্যায়ে ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিষয়টি ষ্পষ্ট হয়ে দাঁড়ালে ভূয়া নিয়োগে সহযোগিতার অভিযোগে কমিটি বিধি-অনুযায়ী সুপার নজরুল ইসলাম কে গত ২৪/০৯/২০১৩ইং তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করে সহকারি শিক্ষক কবির উদ্দিন কে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক, অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা’র স্বরনাপন্ন হলে কর্মকর্তা সুপার কর্তৃক বিভিন্ন দূর্ণীতি-অনিয়ম এবং সহ-সুপার নিয়োগে জাল সনদপত্রের বিষয়ে অবগত হয়ে তার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সুপারিশসহ সংশিষ্ঠ দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করার পরামর্শ দেন।

সে মোতাবেক কমিটি সহ-সুপার হারুন-অর-রশীদ কে সামযিক বরখাস্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে বরখাস্তকৃত সুপার নজরুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে মাদ্রাসাটির কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কে ম্যানেজ করে তার সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহারের দাবী তুলে শ্রেনী কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে বুধবার সরেজমিনে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী শ্রেনী কক্ষে তালা লাগিয়ে মাদ্রাসার বারান্দায় বসে আছে। এবং কিছু শিক্ষক মাদ্রাসার নামাজ খানায় অবস্থান করছেন।

ওই মাদ্রাসার সমাজ-বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডল জানান-সুপারের সহয়তায় সহ-সুপার জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ২০১১সালে নিয়োগ নেয়। জেলা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশপত্র জ্বাল করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সভাপতি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন সুপার নজরুল ইসলাম ও সহ-সুপার হারুন-অর-রশীদ পরিকল্পিতভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনের নামে মাদ্রাসা ধ্বংসের চেষ্টা করছে।

ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য আবুল হোসেন জানান-যা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা মাদ্রাসার ভালোর জন্য। সুপার নজরুল ও সহ-সুপার হারুন মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তাদের অপচেষ্টা সফল হতে দেব না। আমাদের সাথে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন। এদিকে মাদ্রাসাটির শ্রেনী কক্ষে তালা লাগানোর অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা-মাহতাব উদ্দিন লাবলু পীরগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে শ্রেনী কক্ষের তালা খুলে দেন।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই