তারিখ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিদ্যালয়ে ১২ দিন ধরে তালা,পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত

দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ নিয়ে জটিলতা
ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিদ্যালয়ে ১২ দিন ধরে তালা,পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জুন]
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কিসামত চামেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ওই বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। এরফলে দীর্ঘ ১২ দিন ধরে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

অভিযোগে জানা যায়, কিসামত চামেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে লোক নিয়োগের জন্য গত ২ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে স্থানীয় ৮/১০ জন যুবক চাকুরির জন্য আবেদন করে। যথারীতি ৭ মে বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার দিন বিদ্যালয়ের সভাপতি ইব্রাহীম হাবিব অসুস্থ্য থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন। পরীক্ষায় সভাপতির অংশগ্রহণ ছাড়াই তাঁরা আরিফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে প্যানেল প্রকাশ করে।

উক্ত প্যানেল স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। অনুমোদন শেষে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরিফুল ইসলামকে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গত ২৯ মে প্রধান শিক্ষককে পত্র প্রেরণ করেন। ওই সময় বিদ্যালয়টি গ্রীস্মকালীন ছুটি ছিল। ৭ দিনেরমধ্যে আরিফুল ইসলামে যোগদানের নির্দেশ দিয়ে  ৭ জুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা ৭ জুন স্কুল খোলার পূর্বেই সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষসহ বিভিন্ন শ্রেণী কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। বুধবার পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে তালা ঝুলছিল। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া চরম ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এদিকে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা আরিফুল ইসলামের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে ওই ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহামুদুন্নবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যালয়টি তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।

এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি ইব্রাহীম হাবিব ও অন্যান্য অভিভাবকরা জানান, আরিফুল ইসলাম একজন মানসিক প্রতিবন্ধি যুবক। তাঁর দ্বারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর কাজ সম্ভব নয়। তাই তাঁরা উক্ত যুবকের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান। আর নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে তালা ঝুলবে বলে হুশিয়ারি দেন তাঁরা। এহেন অবস্থায় উক্ত কর্মকর্তা বিফল মনোরথে ফিরে আসেন।

সরেজমিনে বুধবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। বিদ্যালয়ের মাঠে ধান শুকাচ্ছেন স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানীরা। প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা অফিসের বাইরে অবস্থান করছিলেন। দুই চারজন শিক্ষার্থী থাকলেও তাদেরকে লেখাপড়া করতে দেখা যায়নি।

দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পাওয়া আরিফুল ইসলাম জানান, ২ বছর আগে তার মানসিক অবস্থা খারাপ ছিল। বর্তমানে সে সুস্থ্য। তবে তার আচার আচরণে তাকে অসুস্থ্য বলে মনে হয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ জটিলতা নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে তালা দেওয়ায় তারা অফিসে ঢুকতে পারছেন না। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করতে পারছেননা। তাই ১২ দিন যাবত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লিয়াকত আলী সরকার জানান, বিদ্যালয়ে তালা দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতে পেয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই