তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বগুড়ায় কাল থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি শুরু,অনেক মেধাবী এবার নামিদামি কলেজে ভর্তি বঞ্চিত হবে

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪,৫০৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে
বগুড়ায় কাল থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি শুরু,অনেক মেধাবী এবার নামিদামি কলেজে ভর্তি বঞ্চিত হবে
[ভালুকা ডট কম : ২১ জুন]
বগুড়ায় কাল সোমবার থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আসন সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এবার নামিদামি কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।

জেলায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রছাত্রীর অনেককে সাধারণ কলেজে ভর্তি হতে হবে। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। ভূক্তভোগীরা এসব কলেজে আসন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএমএ হুরাইরা জানান, শুধু ভাল কলেজে ভর্তি হতে হবে এমন সিদ্ধান্ত থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেখানেই ভর্তি হবে সেখানেই তারা ভাল ফলাফল করবে। আর তারা যদি সাধারণ কোন কলেজে ভর্তি হয় সেটিও খ্যাতিলাভ করবে।

জানা গেছে, এবার এসএসসি পরীক্ষায় বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে ৪ হাজার ৫০৫ জন ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গোল্ডেন জিপিএ-৫ (সকল বিষয়ে জিপিএ-৫) পেয়েছে প্রচুর। বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে সেরা হয়েছে। এ স্কুলের ২৭১ শিক্ষার্থীর সকলে জিপিএ-৫ পাবার গৌরব অর্জন করেছে। গোল্ডেন পেয়েছে ২৬৫ জন। এছাড়া বোর্ডে টপ-২০তে এ জেলা থেকে ১ম, ২য়, ৩য়, ৬ষ্ঠ, ৯ম, ১৩তম, ১৪তম ও ২০তম স্থান অধিকার করে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ ফলাফলে তাৎক্ষণিকভাবে খুশি হলেও বর্তমানে তারা ভাল কলেজে ভর্তি চিন্তায় পড়েছেন। প্রায় সকলে শহরের নামিদামি কলেজে ভর্তি হতে চায়। কিন্তু আসন সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সাধারণ কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবে। শহরের ৮টি নামকরা কলেজে একাদশ শ্রেণীতে সাড়ে ৫ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান যদি জিপিএ-৫ ও গোল্ডেন জিপিএ-৫ ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করে তাহলে এ গ্রেডসহ বিভিন্ন রেজাল্ট করা শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে। আসন সংখ্যা কম হওয়ায় শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়; জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রছাত্রীরাও ভাল কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে চিন্তিত।

এবার ৩০০এর কম আসনের কলেজগুলোতে মেধার ভিত্তিতে ফরমপূরণ করে এবং ৩০০ অধিক আসনের কলেজে বোর্ড থেকে পাওয়া এসএমএসের ফলাফলের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। গত ২৮ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা টেলিটকের সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন কলেজে আবেদন করেছে। আজ রোববার (২২ জুন) শিক্ষা বোর্ড থেকে কলেজ ও শিক্ষার্থীর কাছে ম্যাসেজ আসবে। ২৩ জুন থেকে সবগুলো কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর কথা।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে সেরা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে একদশ শ্রেণীতে আসন ৮০০টি। বিজ্ঞানে ৫০০, মানবিক এবং বাণিজ্যে ১৫০ করে। এ কলেজ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিতে বেশি আগ্রহী। সরকারি আজিজুল হক কলেজে দেড় হাজার আসন। বিজ্ঞানে ৭৫০ ও মানবিকে ৩৭০ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৩৮০টি। সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজে এক হাজার ২৫০টি। বিজ্ঞানে ৩৫০, মানবিকে ৫০০ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৪০০টি। সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে এক হাজার ৫০টি। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৩০০টি করে এবং মানবিকে ৪৫০টি। এ কলেজে বিজ্ঞানে ৭০টি আসন বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে।

বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজে আসন ২০০টি। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৭০টি করে এবং মানবিকে ৬০টি। আর্মড পুলিশ পাবলিক স্কুল ও কলেজে ৩৬০টি আসন। বিজ্ঞানে ১৪০টি, মানবিকে ১০০ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২০টি। এখানে ৫০০ আসন বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে বলে কলেজ ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন। এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল ও কলেজে শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ৬০টি আসন। অধ্যক্ষ এএনএম আমিনুল ইসলাম জানান, অবকাঠামো ও শিক্ষক বৃদ্ধি করা গেলে অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা সম্ভব হবে। এছাড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১১০টি করে মোট ৩৩০টি আসন।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস জানান, মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি কলেজে আসন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তা না হলে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ভাল কলেজগুলোতে ভর্তি বঞ্চিত হবে। একই মন্তব্য করেছেন, সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর যোগেন্দ্র কুমার মন্ডল, বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ। এদিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর খবরে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা চিন্তিত। তারা ভাল কলেজগুলোতে অবিলম্বে আসন বৃদ্ধি করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএমএ হুরাইরা জানান, সকলে ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল ও কলেজ, ভিকারুন্নেসা, নটরডেম কলেজসহ নামিদামি কলেজে ভর্তি হতে চায়। সাধারণ কলেজগুলোও সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। সেখানেও সরকারি তদারকি রয়েছে। তাই মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শুধু নামি কলেজ নয়; ওইসব কলেজেও ভর্তি হওয়া উচিত। সেখানেও তারা ভাল ফলাফল করবে। আর ওইসব প্রতিষ্ঠানেরও নাম হবে। তাই আমাদের সন্তানদের শুধু ভাল কলেজে ভর্তির চিন্তা পরিত্যাগ করতে হবে।




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই