তারিখ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তিস্তার বন্যায় ত্রান অপ্রতুল্য বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন

তিস্তার বন্যায় ত্রান অপ্রতুল্য বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন
[ভালুকা ডট কম : ৩০ আগস্ট]
শনিবার তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিকাল ৩টায় বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও উজানের ঢল অব্যাহত রয়েছে। ফলে তিস্তা নদীর অববাহিকার নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা  উপজেলার ১০ ইউনিয়নের বন্যাপরিস্থিতি সামান্য উন্নতি ঘটেছে। তবে বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

জলঢাকা উপজেলারয় তিস্তার ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদীর  ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরী,  গোলমুন্ডা ইউনিয়নের নাড্ডা পাড়া, চারআনি ও শৌলমারী ইউনিয়নের বানপাড়া ও তালুক শৌলমারী এলাকা। এ সমস্ত এলাকায় প্রায় ৪০ একর আবাদী জমি বিলিন ও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া ওই সব এলাকায়  তিস্তার প্রধান ডানতীর বাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে।
এদিকে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ও জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন  তিস্তার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে তিস্তার বন্যায় ও ভাঙ্গনের শিকার ৫শত পরিবারকে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয় হতে পাওয়া ১৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ হাজার টাকা বিতরন করেন।

বন্যায় ডিমলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫সহস্রাধিক পবিবারের বসতভিটায় বন্যায় পানি প্রবেশ করলেও সরকারি ভাবে ত্রান পেয়েছে মাত্র ২হাজার ৭৯২ পরিবার। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন জানায়, তার ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ৭শত ।  ত্রান পেয়েছে ৩শ ৫০জন। পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান জানায়, তার ইউনিয়নে ৮শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হলেও  ত্রান পেয়েছে ৩শ ৫০টি পরিবারকে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী জানায়, তার ইউনিয়নের ১হাজার ২শ পরিবারের মধ্যে ত্রান পেয়েছে ৪শ ৫০জন।

ইউপি চেয়ারম্যানদের  অভিযোগ তাদের মতামত না নিয়ে বিগত ২০০৮ সালের বন্যার ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা মোতাবেক ডিমলা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাইমা তাবাসসুম শাহ গত ১৬ আগষ্ট ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা প্রদান করে। ফলে ওই তালিকা অনুযায়ী ত্রান বরাদ্দ দেয়া হয়।

জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব মোল্লা জানান ইউপি চেয়ারম্যানদের এই অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু ডিমলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নায়েমা তাবাসসুম শাহ কে গত ২১ আগষ্ট থেকে তার কর্মস্থলে পাওয়া যাচ্ছেনা।   তিনি কোন ছুটি ও অনুমতি ছাড়াই তার কর্মস্থল ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে খবর নেয়া হয়েছে।  তার কর্মস্থলে অনুপস্থিতের কারনে তিস্তার বন্যায় বাসভাসীদের সরকারের দেয়া ত্রান বিতরনে সমস্যা দেখা দেয়ায় জরুরী ভিক্তিত্বে পাশ্ববর্তী ডোমার উপজেলার পিআইও মশিউর রহমান কে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে ডিমলা উপজেলায় ত্রান বিতরন করা হয়।

জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব মোল্লা আরো জানান বন্যার সময় অফিস ফাকী দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করায় তাকে শোকজ করে বিষয়টি ত্রান মন্ত্রালয়ে অবগতি করা হয়েছে বলে জানান।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই