তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে অবশ্যই মাদকের প্রাদুর্ভাব এবং পুলিশের সহযোগিতা রয়েছে-পুলিশ সুপার

শ্রীপুরে অবশ্যই মাদকের প্রাদুর্ভাব এবং পুলিশের সহযোগিতা রয়েছে-পুলিশ সুপার
[ভালুকা ডট কম : ৩১ আগস্ট]
৩১ আগস্ট রোববার দুপুর আড়াইটায় গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানা প্রাঙ্গণে সুধীজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য গাজীপুরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ বলেন।

শ্রীপুরে অবশ্যই মাদকের প্রাদুর্ভাব এবং পুলিশের সহযোগিতা রয়েছে। নেতৃত্বের আদলে এবং এর আড়ালে কেউ কেউ এসব ঘটনা ঘটায়। আপনাদের বক্তব্য শুনেই আমার এটি মনে হয়েছে। পুলিশের মধ্যে যারা এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদেরকে এ থানায় পাবেন না। কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা-মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তাদের সহযোগীতা ছাড়া মাদক ব্যবসা চলতে পারে না। আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে শ্রীপুরকে মাদকমুক্ত করব। অপরাধী পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য তিনি স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন। মাদক, ছিনতাই ও জমি দখল এ তিনটি প্রধান সমস্যা সমাধানের জন্য সুশীল সমাজের লোকজন পুলিশ সুপারের কাছে দাবী জানান।

শ্রীপুর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল ফকির বলেন, শ্রীপুরের প্রধান সমস্যা হচ্ছে মাদক। মাদক এখন শ্রীপুরের ক্যান্সার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ক্যান্সার যেমন মানুষকে ধ্বংস করে দেয় তেমনি শ্রীপুরের মাদক দংশনে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শেখ সফিকুর রহমান বলেন, যারা মাদক সেবন করে পুলিশ শুধু তাদেরকেই পাকড়াও করে। ব্যবসায়ীরা থাকে পর্দার আড়ালে। মাদকের গডফাদার এবং যারা মাদকের চালান সরবরাহ করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রতিরোধ করতে হবে।

লোহাগাছ গ্রামের বাচ্চু মিয়া (গাজী বাচ্চু) বলেন, অতি সম্প্রতি লোহাগাছ গ্রামে চোলাই মদ উৎপাদন প্রতিরোধে অভিযান চালানো হয়েছিল। এক মাস না পেরুতেই আবার চোলাই মদ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

শ্রীপুরের আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাদক ব্যবহারে জড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ মাদকের আসরে যাওয়ার আগেই মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা পুলিশের আগমনের খবর জেনে যায়।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পন্ডিত মিয়া বলেন, রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও পুলিশ সহযোগিতা করলে এবং কারো পক্ষে সুপারিশ না করলে শ্রীপুরে এক মাসের মধ্যে মাদক থাকবে না।

শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান বলেন, শ্রীপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৯ টি ইউনিটের ছাত্র সংগঠনগুলোর অধিকাংশই মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি মাদক ব্যবসায়ের ওপর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালানোর দাবী জানান। তিনি পুলিশের সাথে ভূমি দস্যুদের নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ করেন।

শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক কিছু ব্যাক্তি তাদের নিজেদের প্রয়োজনে কিছু লোককে উস্কানি ও অবৈধ সুযোগ দিয়ে থাকেন। ফলে পুলিশ ইচ্ছে করলেও মাদকসহ বিভিণ অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যার্থ হয়। রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সুপারিশ বন্ধ করলেই এ অবস্থার উত্তরণ ঘটবে

বরমী ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খান বলেন, সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের যোগাযোগ থাকলে ও অসৎ থাকলে শ্রীপুরে ভালো পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। একই কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আব্দুস ছামাদ বলেন, বরমীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি উত্যক্তের শিকার হচ্ছে। কাউকে কিছু বলতেও পারছেনা। বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলমগীর হোসেন মোড়ল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ সড়কগুলোর নির্জন স্থানগুলোতে উত্যক্তকারীরা অবস্থান গ্রহণ করে থাকে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) দেলোয়ার হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, শ্রীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আক্তারুজ্জামান, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন উল কাদির, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি নুরুন্নবী আকন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল প্রমুখ।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই