তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে পুরনো বাটকারা ব্যবহারে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

গৌরীপুরে পুরনো বাটকারা ব্যবহারে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ
[ভালুকা ডট কম : ৩১ আগস্ট]
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ওজন কারচুপিতে প্রতিনিয়ত  প্রতারনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ধান-চাল থেকে শুরু করে শাক-সবজি মাছ-মাংস ও সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচা-কেনায় এই ওজন কারচুপি চলছে।

জানা গেছে ওয়ান--ইলাভেনের সময় সেনাবাহিনীর অভিযানে দোকান-পাঠের নানাবিধ দ্রব্যাদী পরিমাপের জন্য কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরী করা দাঁড়ি পাল্লা,তরল পদার্থ বিক্রির গ্যালন পট ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের জরিমানা করার পর ব্যবসায়ীরা ভয়ে সঠিক মাপের বাটকারা (পরিমাপক), লোহার নিক্তি পাল্লা  ও তরল পদার্থ বিক্রির লিটার মাফের পট ব্যবহার  শুরু করে। কিন্তু সেনাবাহিনীর অভিযানের কিছুদিন পর থেকেই আবার শুরু হয় ওজন পরিমাফের জন্য পুরনো বাটকারা, রেল লাইনের পাথর আর কাঠ-বাঁশের তৈরী দাঁড়ি পাল্লা ও  পুরনো পদ্ধতির গ্যালন পট ব্যবহার।

পাশাপাশি চলে ওজনে কারচুপি করার প্রবনতা।  এক্ষেত্রে ডিজিটাল ওজন পরিমাপকের মাঝেও রয়েছে ওজন কারচুপির সুকৌশল ব্যবস্থা। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে  ধানের আরতে ধান কেনা-বেচার ক্ষেত্রে  দু’রকমের বাটকারা ব্যবহার হয়ে থাকে। বিক্রেতাদের অভিযোগে জানা গেছে কতিপয় অসাধু  ব্যবসায়ী ধান কেনার সময় নিজেদের তৈরী করা বেশী ওজনের বাটকারা ব্যবহার করে থাকেন। সেখানে ৫/১০ কেজি ওজনের বাটকারার পিছন  অংশে শিশা ভরাট  করে  সুক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধি করা হয়।  যা বিক্রেতা সহজে ধরতে পারেন না। অপরদিকে বিক্রির সময় ওজনে সঠিক বাটকারা ব্যবহার করেন তারা। সবজি মাছ-মাংসের বাজারে পুরনো আমলের বাটকারা  ও কাঠ-বাঁশের তৈরী দাঁড়ি পাল্লা দিয়ে পরিমাফ করায় ত্রেতা সাধারণ ওজন কারচুপির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের শহর আলী  ২শ টাকা কেজি দরে আধাকেজি শুকনো মরিচ ক্রয় করার পর অন্যত্র এর ওজন পরিমাফ  করে দেখেন ১শ গ্রাম মরিচ কম রয়েছে। আড়াইশ টাকা কেজি দরের হলুদ গুড়া কিনে ৫০ গ্রাম ওজনে কম পেয়েছেন ভালুকার ছাবেদ আলী । এক সেনাবাহিনীর সদস্য সাড়ে ৪শ টাকা দরের ২ কেজি খাসির মাংস কিনে  ওজনে কম পেয়েছেন সাড়ে ৩শ গ্রাম। এমনি ভাবে প্রতিনিয়িত কাঁচা বাজারে পেয়াজ আলু, মাছ শাকসবজি কিনে কেজিতে ১শ ২শ গ্রাম  থেকে ৪শ গ্রাম পর্যন্ত কম পাচ্ছে সাধারণ ক্রেতা। এ ক্ষেত্রে পুরনো বাটকারা আর কাঠ-বাঁশের দাঁড়ি পাল্লার ব্যবহার রোধে বাজারে কোন তদারকি বা অভিযান না থাকায় এলাকার হাট বাজারে পুরনো বাটকারা ব্যবহার ও ওজন কারচুপির বিষয়টি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিজিটাল ওজন পরিমাফক মেশিনে মাইনাস বাটন  টিপে নাকি দই,মিষ্টি থেকে শুরু করে দামী বিভিন্ন খাবার সামগ্রী বিক্রিতে ওজনে কারচুপি করে থাকেন কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।  তাই অনতিবিলম্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনে বাজারে সঠিক ওজন পরিমাফক পরিবেশ সুষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি আইনি অভিযান পরিচালনা করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই