তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তিস্তাপাড়ের বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে কর্মের অভাব

তিস্তাপাড়ের বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে কর্মের অভাব
[ভালুকা ডট কম : ০১ সেপ্টেম্বর]
তিস্তা পাড়ের বন্যাকবলিত এলাকায় কাজের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বানভাসীদের আর্তি ত্রান চাইনা কাজ চাই। তাই দাবি উঠেছে বন্যা কবলিত তিস্তাপাড়ের খেটে খাওয়া মানুষজনের কর্মসৃজন কাজ সৃষ্টি করে দেয়ার।অপর দিকে তিস্তাপাড়ের বন্যা দুর্গত মানুষজনের পাশে বিভিন্ন এনজিও গুলো ত্রান বিতরন না করায় এসব এনজিওর সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে উজানের ঢলে বন্যা ও ভাঙ্গনের শিকার তিস্তাপাড়ের পূর্বছাতনাই ও ঝুনাগাছ চাঁপানীর সাড়ে ৩ শত পরিবার কে সরকারি ত্রাণ দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন উপস্থিত থেকে দুর্গতের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ করেন। ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি করে মোট ৭ মেট্রিকটন চাল দেয়া হয়। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বন্যাকবলিত ৩ হাজার ১৪২ পরিবার কে ২০ কেজি করে মোট ৫৫ দশমিক ৮৪ মেট্রিকটন চাল ও ১শত পরিবার কে ৫শত টাকা করে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম ,ইউএনও রেজাউল করিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দিকা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাসসুম শাহ,কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সোমবার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফলে গত ৫ দিন ধরে তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে নেমে গেলেও বানভাসীদের  দূভোর্গ কাটেনি  ডিমলা  উপজেলার এলাকার  মানুষের।সরকারের দেয়া চাল ও নগদ অর্থ   ত্রান হিসেবে মিললেও কর্মের অভাবে  মানবেতর জীবন কাটছে  বন্যার্ত অসহায় খেটে খাওয়া পরিবার গুলো। বানের কারনে এলাকায় কোন কাজ মিলছেনা।

সোমবার তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়  প্লাবিত এলাকার  তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় যারা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছিল তারা এখন ঘড়ে ফিরতে শুরু করেছে। তবে তাদের দূর্ভোগ কমেনি। ঘরে খাবার নেই, কাজকর্ম নেই। তার ওপর বন্যায় বিধস্থ্য হওয়া আশ্রয় স্থল ভেসে যাওয়ায় অনেকে খোলা আকাশের নিচে অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছে।  তাই  ডুবে যাওয়া বাড়িঘর মেরামত ও ফসলের পরিচর্য়ায় ব্যয়ের যোগান নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এ সকল বর্ন্যাতরা।

গত ১৫ আগষ্ট থেকে টানা উজানের ঢলে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি তিস্তা সংলগ্ন তীরবর্তি ডিমলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছিল সব থেকে বেশি। তাই এ এলাকার বন্যার্তরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে।  পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, আমার এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে চরে বসবাসকারি প্রায় ৮ শতটি পরিবারের।  আর যতটুকু ক্ষতি হয়েছে  তা জেলা প্রশাসন পরিদর্শনের পর তালিকা অনুযায়ি বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে জন প্রতি ২০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। এই উপজেলা টেপাখড়িবাড়ি,খগাখড়িবাড়ি,গয়াবাড়ি,খালিশাচাঁপানী,ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের সর্ব মোট ১০ হাজার পরিবার বন্যার কবলে পড়ে।

জানা গেছে ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকা ঘিরে কাজ করছে ১৮টি এনজিও প্রতিষ্ঠান। এসব এনজিও গুলোর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লাখ পরিবার। এই সব পরিবার গুলো বন্যাকবলিত হলেও ওই সব এনজিও কোন কর্মকর্তা তাদের খোঁজ পর্যন্ত রাখেনি। ব্যবস্থা করেনি কোন ত্রানের। এসব এনজিওর উপকার ভোগী সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যারা আমাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে তারা এই বন্যায় আমাদের একটিবারের জন্য খোঁজ খবর সহ ত্রান দিয়ে উপকার করেনি।এ দিকে নীলফামারী জেলা প্রশাসক  জাকীর হোসেন সোমবার দুপুরে ডিমলা উপজেলা পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের তিস্তার বাঁধে ত্রান বিতরন শেষে জনকন্ঠ কে জানান এলাকায় বন্যার কারনে এলাকায় খেটে খাওয়া পরিবার গুলো কর্মের অভাবে পড়েছে। এসব এলাকায় সরকারি ভাবে কর্মসৃজন কাজের ব্যবস্থার চিন্তা করা হচ্ছে।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই