তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আদালতে সোপর্দ

নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আদালতে সোপর্দ
[ভালুকা ডট কম : ২৩ অক্টোবর]
নওগাঁ সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি আব্দুল খালেক (৩২) নামে এক রোগীকে জোড় করে তুলে নিয়ে গিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নওগাঁ প্রশাসন মহলে ব্যাপক তোলপার শুরু হয়েছে। আব্দুল খালেক রাণীনগর উপজেলার আমগ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।

আব্দুল খালেকের স্ত্রী খাতিজা আকতার জানান, রাণীনগর থানার একটি মামলায় বুধবার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল বাকির নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ এসে হাসপাতালের ছাড়পত্র না নিয়ে জোর পূর্বক ৪২নং বেড থেকে গুরুত্বর অবস্থায় আব্দুল খালেক তুলে নিয়ে যায়। আব্দুল খালেককে আদালতে নিয়ে গেলে আদালত তার অবস্থা দেখে গ্রহন না করলে বিপাকে পড়েন ওসি আব্দুল্লা হিল বাকি। পরে বিকালে ওসি আব্দুল্লা হিল বাকি হাসপাতালে এসে অর্থ কনসালেন্টের বিভাগের মো: আসাদকে ম্যানেজের পর টিকেটের পেছনে ওসি স্বাক্ষর করে জোরপূর্বক ছাড়পত্র নিয়ে আব্দুল খালেককে আদালতে সোপর্দ করেন।

রাণীনগর উপজেলার আমগ্রামের ও হাসপাতালে ভর্তি ৪১নং বেডের রোগি এনামুল হক জানান, ওসির নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ জোর পূর্বক আব্দুল খালেককে তুলে নিয়ে যায়।   

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আরএমও মাহফুজ রহমান ঘটনার সত্যত্তা স্বীকার করে বলেন, তার এবং সিভিল সার্জন মো: আলাউদ্দিনের অজান্তেই হাসপাতালে অর্থ কনসালেন্টের বিভাগের মো: আসাদকে ম্যানেজ করে টিকেটের পেছনে ওসি স্বাক্ষর পর ছাড়পত্র নিয়ে আব্দুল খালেককে আদালতে সোপর্দ করেন। রোগির মাথায় আঘাতের কারণে তার অবস্থা ভালো নয়। যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

এদিকে ওসি আব্দুল্লাহ মাউসদ চৌধুরী দাবি করেন, মারপিটের মামলার আসামী আব্দুল খালেককে সরকারি সকল নিয়মনীতি মেনে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার হরিপুরে একটি ৮৩ শতক পুকুরে মালিকানা নিয়ে গোপাল চন্দ্রের সাথে পাশ্ববর্তী আমগ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত সোমবার দুপূরে ওই পুকুর পাড়ে গোপাল চন্দ্রের টিনের বারান্দাসহ খুঁটি তুলতে ফেলা শুরু করে মোজাফ্ফর হোসেনের নেতৃত্বে তার অর্ধশতাধিক লোকজন। এতে বাধা দিলে গোপাল চন্দ্রের পারিবারের মহিলাসহ ৭জনকে মারপিট করা হয়। এ সময় মোজাফ্ফর হোসেনের পক্ষের ৪জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় ও নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রুপচাঁন চন্দ্র বাদি হয়ে রাতেই থানায় মোজাফ্ফর হোসেনকে প্রধান আসামী করে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই