গফরগাঁওয়ে ধর্ষিতার ইজ্জতের মূল্য ষাট হাজার টাকা

[ভালুকা ডট কম : ২৯ অক্টোবর]
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উথুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী অন্তঃসত্তা ফাতেমা আক্তারের ইজ্জতের মূল্য ষাট হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে গ্রাম্য মাতাব্বরা।

জানা যায়,উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের উথুরী গ্রামের গামা মিয়ার কিশোরী মেয়ে উথুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তারকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই যৌন হয়রানি করত একই গ্রামের সম্পর্কের ফুফাত ভাই উথুরী জংসর মুন্সী বাড়ি জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম চার সন্তানের জনক রাসেল মিয়া। এক পর্যায়ে বাড়ির প্রতিবেশী মসজিদের মোয়াজ্জেম রাসেল গত পাঁচ মাস আগে রাতে স্কুল ছাত্রী ফাতেমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ফাতেমা অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা বলে তার পরিবারের লোকজন জানান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সোমবার স্থানীয় মাতাব্বর প্রবাসী মোতালেব ও দুলাল মিয়া নেতৃত্বে উথুরী গ্রামে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশে ধর্ষিতা ফাতেমার সাথে ধর্ষক রাসেলের বিয়ে এবং ষাট হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারণ করা হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম খোকন,ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য এলাকার লোকজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এব্যাপরে গ্রাম্য মাতাব্বর প্রবাসী মোতালেব মুঠোফোনে জানান,অনাগত সন্তানের ভবিসৎতের কথা চিন্তা করে অন্তঃসত্তার কিশোরীর সাথে ধর্ষক রাসেলকে বিয়ে এবং ষাট হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবার সালিশ বৈঠক বসবে বলে তিনি জানান। তবে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক রাসেল আত্নগোপনে রয়েছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।