তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

স্বাধীনতার ৪৩ বছরের সবচেয়ে বড় পাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-আফিল উদ্দিন এমপি

স্বাধীনতার ৪৩ বছরের সবচেয়ে বড় পাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-শেখ আফিল উদ্দিন এমপি
[ভালুকা ডট কম : ১৭ ডিসেম্বর]
সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছরের সবচেয়ে বড় পাওয়া মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায় কার্যকর করা।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক নতুন স্বাধীন দেশের জন্ম হওয়ার পর বিভিন্ন সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আসলেও নানা প্রতিকূলতায় তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি। ২০০৮ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি যুক্ত করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালের ৯ জুলাই মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর সংশোধন করা হয়।

এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৩টি মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদন্ড, ১ জনকে আমৃত্যু, ১ জনকে ৯০ বছরের কারাদন্ড ও ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া চূড়ান্ত রায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এ দেশে একজনও যুদ্ধাপরাধী নিস্তার পাবে না। প্রত্যেকে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। বাংলাদেশকে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করা হবে।

১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ১১টায় উপজেলা চত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, সাবেক নৌ-কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন, নাসির উদ্দিন, ফুলছদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন, ওসি সহিদার রহমান, ছাত্রী সুমাইয়া প্রমুখ।

আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সালেহ আম্মেদ মিন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফ-উজ-জামান, বেনাপোল কাস্টম্সের সহকারী কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ প্রমুখ।

শার্শায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ২০১৪ পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে। সূর্যোদয়ের পূর্বে শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্তরের শহীদ বেদিতে ৩১ বার তোপধ্বনি ও স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। শহীদ বীরশ্রেষ্ট নুর মোহাম্মদের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ, তার অংগ সংগঠন ও উপজেলা প্রশাসন।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান/ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। সকাল ৮টা ৩০ ঘটিকায় বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন। এরপর শুরু হয় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে। পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে অংশ নেয়। সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ কনকনে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

বিজয়ের আনন্দমেলা এক সময় রূপ নেয় জনসমুদ্রে। কুচ-কাওয়াজ ও ডিসপ্লের আগে নাভারন বাজারে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, আওয়ামীলীগ ও তার অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে একটি বিজয় র‌্যালী বাজার প্রদক্ষিণ করে বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঠে জড়ো হয়।  বাদ যোহর ও সুবিধাজনক সময়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মসজিদ/ মন্দির/ গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার বাগআঁচড়ায় মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাগআঁচড়া, কায়বা ও শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্দোগে এক বিজয় মিছিল বাগআঁচড়া বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয় দিবস উৎযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান ধাবক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ, কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, আব্দুর রহিম পশারী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান টুটুল ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান।

এছাড়া বাগআঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নায়ড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বামুনিয়া সোনাতনকাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমরী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, শামিম হাসান রেজা স্মৃতি সংসদ ও প্রজন্ম ৭১ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যদায় দিসটি উৎযাপন করে। #




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই