তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দৈনিক রানার সম্পাদক হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে

দৈনিক রানার সম্পাদক হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে
[ভালুকা ডট কম : ২৮ জানুয়ারী]
দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম মঞ্জুরুল আলম টুটুল মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। নওয়াপাড়া থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।

মঞ্জুরুল আলম ব্যবসায়িক সূত্রে বছরাধিককাল যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার কাছে একতারপুরে থাকতেন। সেখানে তিনি বন্ধু আজম খান টুলুর সঙ্গে একটি মৎস্য খামার লিজ নিয়ে মাছের রেণুপোনা উৎপাদন করতেন।আজম খান টুলু জানান, বুধবার সকাল আটটার দিকে নাস্তা করার পর টুটুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু সময় পর খামারের কর্মচারীরা বাথরুমের মধ্যে থেকে টুটুলের আর্তনাদ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তারা টুটুলকে নওয়াপাড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানকার ডাক্তাররা টুটুলকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। কিন্তু যশোর মেডিকেলে পৌঁছানোর আগেই টুটুল মারা যান।আজম খান বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে টুটুল বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। এই ব্যথাই তার মৃত্যুর কারণ।’মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ছুটে যান বেজপাড়ায় দৈনিক রানার অফিসে। সেখানে তখন শোকসন্তপ্ত স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।

মঞ্জুরুল আলম টুটুল মরহুম সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে ও মরহুম সাংবাদিক আর এম সাইফুল আলম মুকুলের ভাই। দুঃসাহসী লেখালেখির কারণে গোলাম মাজেদ স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৪ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন।গোলাম মাজেদের মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে আর এম সাইফুল আলম মুকুল আলোচিত পত্রিকা দৈনিক রানারের সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে নিজ অফিসের কাছে দুর্বৃত্তদের বোমা ও গুলিতে নিহত হন সাইফুল আলম মুকুল।এরপর পত্রিকাটির হাল ধরেন গোলাম মাজেদের আরেক ছেলে আর এম মঞ্জুরুল আলম টুটুল। ২০০৪-০৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক রানার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দাপটশালী পত্রিকা হিসেবে টিকে ছিল। কিন্তু আর্থিক দৈন্যতার কারণে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় পত্রিকাটি আস্তে আস্তে বাজার হারায়। বর্তমানে দৈনিক রানার অনিয়মিত প্রকাশিত হয়।

পত্রিকা সম্পাদনায় দক্ষতার পরিচয় দেন মঞ্জুরুল আলম টুটুল। তিনি বিভিন্ন সময় প্রেস ক্লাব যশোরের সহ-সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সময় ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। এর আগে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও তিনি সুনাম কুড়ান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সঙ্গীতচর্চা করে গেছেন। খুলনা বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।

প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানান, সাংবাদিকসহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা দুইটায় মঞ্জুরুল আলমের লাশ আনা হবে প্রেস ক্লাব চত্বরে। বাদ এশা জানাজা শেষে বেজপাড়া কবরস্থানে বাবা, মা, ভাইয়ের কবরের কাছে তাকে সমাহিত করা হবে।

এদিকে, মঞ্জুরুল আলম টুটুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন যশোরের সাংবাদিক সংগঠনগুলো ছাড়াও রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতারা। সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা দৈনিক রানার কার্যালয়ে গিয়ে শোকাহত পরিবার-সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শোক সংবাদ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই