তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

যশোরে প্রাথমিক বৃত্তি পরিক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

যশোরে প্রাথমিক বৃত্তি পরিক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
[ভালুকা ডট কম : ২৪ মার্চ]
যশোরের বিভিন্ন স্কুলের প্রথম সারির শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাদের অভিভাবকরা। তাদের দাবি, প্রশাসনিক ভাবে উলটপালট করায় তাদের সন্তানরা বৃত্তি বঞ্চিত হয়েছেন।অভিভাবকরা মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের সন্তানদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নৃপেন্দ্রনাথ সরকার, আয়েশা বিলকিস, সুমনা হক প্রমুখ অভিভাবক দাবি করেন, তাদের সন্তানরা ২০১৪ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করেছে। নিজ স্কুলের বিভিন্ন পরীক্ষা ও মডেল টেস্টেও তাদের রয়েছে ঈর্ষণীয় ফলাফল। কিন্তু সম্প্রতি বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সন্তানদের নাম না থাকায় তারা হতাশ, ব্যথিত ও মর্মাহত।

তারা জানান, শহরের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন- যশোর জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দাউদ পাবলিক স্কুল, ক্যান্টনমেন্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবকিশলয় প্রি-ক্যাডেট স্কুল, আব্দুর রউফ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেলেও বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে তাদের নাম নেই। অভিভাবকরা মনে করেন, খাতা মূল্যায়ন, ফলাফল তৈরি বা টেবুলেশনে কারসাজি হয়েছে। এ কারণে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বা সম্পাদকের স্কুলের ছেলেমেয়েরা বেশি সংখ্যায় বৃত্তি পেয়েছে এবং অন্যদের ফল বিপর্যয় হয়েছে। তাদের সন্তানদের মেধার যথোপযুক্ত স্বীকৃতি মেলেনি বলে দাবি করে খাতা পুনর্মূল্যায়ন চান এসব অভিভাবক।

তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান ও সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম কারসাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাদের দাবি, খুব অল্পসময়ের মধ্যে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। এ কারণে হয়তো সামান্য ভুল-ত্রুটি হতে পারে। তবে, যেহেতু কোডিং সিস্টেমে খাতা মূল্যায়ন হয়, তাই ফলাফল তৈরিতে কারসাজির সুযোগ নেই।

শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারির স্কুল রামনগর সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় থেকে এবার ৭জন বৃত্তি পেয়েছে বলে তিনি জানান।যশোর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপসকুমার অধিকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘মেধার ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এখানে কারসাজি বা অসাধু পন্থা অবলম্বনের সুযোগ নেই। আমরা সততার ব্যাপারে ছাড় দেইনি।’ #




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই