তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরের রামগোপালপুর পি.জে.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫বছর পূর্তি উৎসব

উত্তর জনপদের প্রথম বিদ্যাপীঠ
গৌরীপুরের রামগোপালপুর পি.জে.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫বছর পূর্তি উৎসব
[ভালুকা ডট কম : ২৯ মার্চ]
ময়মনসিংহের উত্তর জনপদের ১ম বিদ্যাপীঠ রামগোপালপুর পি. জে.কে উচ্চ বিদ্যালয়। মিলন ঘটচ্ছে হারানো দিনের এক অতীত। শতবর্ষে প্রিয়স্বজনদের আড্ডা। নূতনভাবে সজ্জিত করা হয়েছে পুরো মাঠ। এ শিক্ষাঙ্গনের প্রদীপ ছড়িয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। ১২৫তম পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এম.পি।

তিনি জানান, তাঁর বাবা মোজাফফর আলী ফকির ১৯১৯সালে এ বিদ্যালয় থেকে ২টি বিষয়ে লেটার নিয়ে ম্যাট্টিক পাস করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৮০৮জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। এ পর্যন্ত এসএসসি বা ম্যাট্টিক উর্ত্তীণ হয়েছেন প্রায় ৯হাজার ৩শ ছাত্রছাত্রী।

১৯৪৭সনের ভারত-পাকিস্তান বিভক্তি, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান আর ৭১’র মুক্তিযুদ্ধেও এ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার কারণে পাক-সেনাদের সঙ্গে নিয়ে এদেশের দুসররা বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধে পর বিদ্যালয়ের প্রথম সাইনবোর্ড, একটি আলমারী আর একটি লোহার এম্বুস সিল পাওয়া যায়।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি এ.এফ.এম নজমূল হুদার পিতা জর্জ ইসহাক উদ্দিন এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আলী, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সাংবাদিক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক দুলাল করসহ  এ বিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী দেশ ও বিদেশে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। ১৯৬৬ ব্যাচের ছাত্র সুশীল কান্ত পত্রনবিশ জানান, ময়মনসিংহের প্রথম এ বিদ্যাপীঠ ঘিরেও তখন এখানকার উন্নয়ন, সামাজিকসহ সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হতো।

১৮৯০সালের এই দিনে রামগোপালপুরের তৎকালীন জমিদার রাজা রায় যোগেন্দ্র কিশোর চৌধুরী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেতে সমস্যার সৃষ্টি হলে ময়মনসিংহ কালেক্টরিয়াল অফিসে কালেক্টার ব্রিটিশ প্রতিনিধি মি. পাওয়ার ভারতের কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী মঞ্জুরী এনে দেন। এ স্বীকৃতির বিনিময়ে তাঁর শর্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠাতা যোগেন্দ্র কিশোর এর সামনে পাওয়ার শব্দে প্রথম বর্ণ ‘পি’ যুক্ত করা হয়। ফলে বিদ্যালয়টির নাম হয় পাওয়ার যোগেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়টির প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন শশী মোহন বাগচী। বর্তমানে মোঃ আব্দুস সালাম দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যে এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ২১জন। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ২৩৫জন, ৭ম শ্রেণিতে ২৩০জন, ৮ম শ্রেণিতে ২১৫জন, ৯ম শ্রেণিতে ৫৬জন ও ১০ম শ্রেণিতে ৭২জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। একজন প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক, ১১জন সহকারি শিক্ষকসহ বিদ্যালয়টিতে ২০জন কর্মরত আছেন। বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন জমিদার রাজা রায় যোগেন্দ্র কিশোর চৌধুরী। বর্তমানে গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলাম হবি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রতিষ্ঠার এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিদ্যালয় আঙ্গিনাকে নূতন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই