তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে এইচ এস সি/ আলিম পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ

তজুমদ্দিনে এইচ এস সি/ আলিম পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ৩০ মার্চ]
ভোলার তজুমদ্দিনে এইচ এস সি/ আলিম পরীক্ষার প্রবেশপত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী নিয়ম না থাকলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের এধরণের কর্মকান্ডে পরিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সুত্রে জানা গেছে, এইচ এস সি ও আলিম পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের জন্য সরকারীভাবে কোন ফি নেয়ার নিয়ম না থাকলেও তা মানছে না কোন প্রতিষ্ঠান। এ বছর উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। সরকারী নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের এধরণের খামখেয়ালী পনার কারণে পরিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে এক প্রকার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থী ফরম পুরণের সময় প্রবেশ পত্রের ফি পরিশোধ করলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পরীক্ষার কেন্দ্র খরচের নামে পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ বানিজ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একটি সুত্র জানিয়েছেন, প্রত্যেক পরিক্ষার্থী তার পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় সরকারী কোষাগারে যে ফি দেন তাতে পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের জন্য একটি ফি নেয়া হয়। তারপরও কোন প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্রের নামে টাকা নিয়ে থাকলে তা সরকারী নিয়ম বহির্ভুত ও দূর্নীতির সামিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিক্ষার্থী জানান, প্রবেশ পত্রের জন্য ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। নির্ধারিত টাকা না দিতে পারলে কোন পরিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র দেয়া হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ আব্দুল আলিম জানান, পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের একটি মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮শ টাকা নেয়া হচ্ছে। চাঁদপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ মুশফিকুর রহমান জানান, আমরা প্রবেশপত্রের জন্য ৭শ টাকা নিলেও তজুমদ্দিন ডিগ্রী কলেজ পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিচ্ছেন ১ হাজার টাকা। তবে তিনি জানান ৭ শ টাকা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আমাদেরকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। চাঁপড়ী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সচিব মাওঃ মোঃ কামাল মাহমুদ জানান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে এলাকার বাহিরে থাকায় আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ৭শ টাকা নিতেছি পরীক্ষার যাবতীয় খরচের জন্য। ইউএনও স্যার আসলে মিটিংয়ের খসড়া সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তার কাছে পেশ করা হবে। তজুমদ্দিন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ হোসেনকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, প্রবেশ পত্রের নামে পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবুও কেউ পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্রের নামে টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই