তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় কমলা লটকন চাষ করে ভাগ্য বদলালেন বাছেদ শিকদার ও মাঈনদ্দীন

ভালুকায় কমলা লটকন চাষ করে ভাগ্য বদলালেন বাছেদ শিকদার ও মাঈনদ্দীন
[ভালুকা ডট কম : ২৫ এপ্রিল]
উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে মালটা, কমলা, লটকন, লিচু, পেপে, লেবু সহ বিভিন্ন ফলের আবাদ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন আবদুল বাছেদ শিকদার ও মাঈনদ্দীন। ব্যবসার পাশাপাশি নিজ বাড়ীর চারপাশে বিভিন্ন ফলের বাগান করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

তিনি জানান বাড়ীর চারপাশের চালা জমিতে এক সময় কোন ফসল হতোনা, সারা বছর অনাবাদী পরে থাকতো গরু ছাগল চড়ানো ছারা কোন কাজে লাগতোনা এই জমি। ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান মিন্টু টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে ফল চাষে উদ্বোদ্ধ হন। ২০০৯ এর জুন মাসে তিনি ১৬০ টি কমলা গাছ রোপন করেন। ৩/৪ বছর যাবৎ অনেক গাছে ফল আসছে এবং এসব গাছ থেকে পাওয়া কমলা প্রচুর রসালো ও মিষ্টি হয়। পাঁচ একর জমির মধ্যে মাত্র এক একরে ধান আবাদ করেন আর বাকি চার একর জমিতে বহুমুখী ফলের বাগান করেছেন। বর্তমানে কমলা গাছ ১৭৫ টি, মালটা ১৭ টি, লটকন ২৯ টি, লিচু বোম্বাই ২৫ টি, চায়না থ্রি ৭ টি, মঙ্গলবারি ৫ টি, পেপে ৯৫০ টি লেবু রয়েছে ১৫০ টির মত। গত মৌসুমে এসব বাগান থেকে ফল বিক্রি করে তিনি দেড় লাখ টাকা আয় করেছিলেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে অনেক ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিক্রি কম হয়। স্ত্রী, দুই ছেলে চার মেয়ে নিয়ে বর্তমানে তিনি স্বচ্ছলতার জীবন যাপন করছেন। মেয়েদের কে লেখাপড়া শেষে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান শিকদার সমাজ কল্যাণ এ অনার্স পরছেন, আরেকজন মুনসুরুল আলম শিকদার চাকুরীরত রয়েছেন। লেখা পড়ার অবসরে মাঝে মধ্যে মুস্তাফিজ বাড়ী এসে বাবার সাথে চাষাবাদে যোগ দেন।

গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী ময়মনসিংহ উপ-পরিচালক আলতাবুর রহমান ও জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা বিভূতি ভূষন সরকার ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আজম খান নয়নপুর গ্রামে বাছেদ শিকদারের কমলা বাগান পরিদর্শন করেন।  এ সময় তিনি এলাকার কৃষকদেরকে  ফেলে রাখা পতিত জমিতে বাছেদ শিকদারের মত ফল বাগান করার পরামর্শ দেন। বাছেদ শিকদারের মত ওই গ্রামে মাঈন উদ্দীন আহমেদ নামে  আরও একজন ফল চাষী রয়েছেন।

কথা হয় তার সাথে, তিনি জানান ৬ একর জমিতে তিনি ধান, আখ চাষের পাশাপাশি কমলা, আম, লিচু, লেবু সহ বিভিন্ন ফলের বাগান করেছেন। তার মধ্যে কমলা ১৭০ টি, আমরোপালী ও ল্যাংড়া জাতের আম গাছ ৫০ টি, কাঠার ২৫০ টি, লিচু ১০ টি, লেবু অগনিত, আখ  ২ একর। ইয়ং সামিদ এর যুব কৃষক ছেলে ফরহাদ (২৫) কৃষি যন্ত্রপাতির ডিলারশিপ ব্যবসা করেন। তিনি জানান এক সময় আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে এস এস সি পাস করার পর লেখাপড়া করতে পারেননি, আয়রোজগারে ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিতে মনযোগ দেন। পতিত জমিতে শুরু করেন বিভিন্ন ফলের চাষ। বর্তমানে কৃষি থেকে বছরে ৫/৬ লাখ টাকা আয় হয়। বর্তমানে চাষআবাদ করার জন্য তাদের নিজস্ব কলের লাঙ্গল ও নানা কৃষি যন্ত্রপাতি রয়েছে। ফরহাদের ইচ্ছা তিনি নিজ উদ্যোগে তার এলাকায় একটি বড় ধরনের কৃষি প্রশিক্ষন খামার স্থাপন করবেন এজন্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই