গাজীপুরে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে আরসি কোলা কারখানার উৎপাদন বন্ধ,তদন্ত কমিটি গঠন
[ভালুকা ডট কম : ২০ মে]
গাজীপুরের পারটেক্স গ্রুপের কোমল পানীয় আরসি কোলা কারখানার উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারখানার নির্গত বর্জ্যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও এলাকার পরিবেশ দূষণের দায়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার এ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে তদন্তের জন্য গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত গঠন করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক প্রশাসক (ডিসি) নুরুল ইসলাম জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকাস্থিত পারটেক্স গ্রুপের কোমল পানীয় আরসি কোলা কারখানার নির্গত বর্জ্যে আশপাশের প্রায় ৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার কৃষি জমিসহ জীব বৈচিত্র্যের পরিবেশ মারাত্বক দূষণ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারনে বিভিন্ন শিক্ষা, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, রাস্তা ও বাড়ি ঘরে দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানি প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন অভিযোগে বুধবার দুপুরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এসময় মারাত্বক পরিবেশ দূষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত আরসি কোলাসহ ওই কারখানার সবরকম উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। পরিবেশ দূষণের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনকে আহবায়ক করে গঠিত ওই কমিটির সদস্যরা হলেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-৩ (এডিশনাল এসপি) সোলায়মান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ও আরসি কোলা কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম)। পরিদর্শণকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন, জেলা ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা সাজিদ আনোয়ার, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানাসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানা জানান, পারটেক্স গ্রুপের ওই বেভারেজ কারখানার নির্গত বর্জ্যে প্রায় ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার কৃষি জমিসহ জীব বৈচিত্র্যের পরিবেশ মারাত্বক দূষণ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারনে বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠাণ, দোকানপাট ও বাড়ি ঘরে দূষিত পানি প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বুধবার পরিদর্শণকালে জেলা প্রশাসক বর্জ্য ও পানি নিষ্কাশণ করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।  

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।