তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বেসরকারি অনার্স কলেজ-শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা

বেসরকারি অনার্স কলেজ-শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা
[ভালুকা ডট কম : ০৫ জুলাই]
কথায় আছে না কাঁদলে মায়েও দুধ দেন না। তবে সে কান্না মায়ের কানে পৌঁছাতে হবে। আবার অনেক সময় মা কর্ম ব্যস্ত থাকলে কান্না শুনেও তাৎক্ষণিক সন্তানের কাছে ছুটে আসতে পারেন না। কাছে এলে তো সন্তানকে কোলে নিয়ে মা দুধদান করবেনই। আর সে সময় চিত্রিত হয় মহান স্রষ্টার তৈরি প্রকৃতির ক্যানভাসে এক অপুর্ব সৌন্দর্য মন্ডিত মিষ্টি মধুর প্রাণবন্ত ছবি।

তবে বেসরকারি অনার্স কলেজ শিক্ষকদের কান্নার আওয়াজ কতদুর পৌঁছেছে তা স্পষ্ট নয়। কান্নার সুরটি হৃদয়গ্রাহী হয়েছে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। দাবির যৌক্তিকতার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর আমলে নিয়েছে কিনা সেটাই এখন ভাববার বিষয়। কেননা আমার জানামতে অনেকদিন ধরেই কান্নাকাটি হচ্ছে। কান্নাকাটিতে কান ওয়ালাদের কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা। তারপরও বিষয়টি ঝুলে আছে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে।

হয়তো দাবিসমূহের কোন যৌক্তিকতা নেই। যৌক্তিকতা থাকেলেও হয়তো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সামর্থ নেই তা পুরণ করার। তাই ঝুলে আছে। এক্ষেত্রে বোধ হয় তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ের একটা ‘পোস্টমর্টেম’ করে দেখা যেতে পারে।
     
বাংলাদেশ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলছেন- দেশের ৬০টি জেলায় ৩৯২টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। যেখানে দুই লক্ষাধিক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থিরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে এবং ৩,৫০০ শিক্ষক দীর্ঘ ২১ বৎসর যাবৎ শিক্ষাদান করে আসছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী ১১ হাজার টাকা মাসিক সম্মানী দেয়ার কথা থাকলেও সল্পসংখ্যক কলেজ ব্যাতীত অধিকাংশ কলেজ থেকে মাত্র আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা সম্মানী দেয়া হচ্ছে। একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন যেখানে ৫ হাজার ৩শ’ টাকা। একজন কলেজ পিওনও যেখানে ৪ হাজার ১শ’ টাকার স্কেলে বেতন পেয়ে থাকেন। সেখানে একজন শিক্ষকের জন্য এধরণের সম্মানী অসম্মানজনকও বটে। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিপুল অংকের টাকা আদায় হওয়া স্বত্বেও প্রতিশ্রুত বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। আদায়কৃত বিপুল অংকের অর্থ বেপাত্তা হয়ে যাচ্ছে। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কারো কোন কল্যাণেই আসছে না। সরকারি কলেজে যখন ২৫টাকা মাসিক বেতন নেয়া হচ্ছে তখন বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাষ্টার্স কোর্সে ৪০০-৫০০টাকা হারে বেতন আদায় করা হচ্ছে। ভর্তি ফি সরকারি কলেজের ৩-৩,৫০০ টাকা আর বেসরকারি কলেজে আদায় করা হচ্ছে ৭-৮ হাজার টাকা। বেসরকারি কলেজে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করেও শিক্ষকদের প্রাপ্য বেতন দেয়া হচ্ছে না।
    
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে- ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২লাখ ৬১ হাজার ৪৪৬ টি আসনের মধ্যে বেসরকারি অনার্স কলেজে প্রায় ৮৫ হাজার আসনে ১০০% শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ৭০% অর্থাৎ প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। বাকী ৩০% (২৫ হাজার) শিক্ষার্থী দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর পরিবারের মেধাবী সন্তান। তারা ৭ হাজার টাকা ভর্তি ফি ও ৪/৫ শ’ টাকা মাসিক বেতনের কারণে অনার্সে ভর্তি হতে পারেনি। অপরদিকে ২০১৩ সালের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণে প্রতীয়মান হলো ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর ৭০% ফরম পূরণ করেছে। আর ৩০% দরিদ্র শিক্ষার্থী বিপুল অংকের খরচ যোগাতে না পেরে উচ্চশিক্ষার দ্বারপ্রান্তে এসেও ঝরে পড়ল। চলমান প্রক্রিয়ায় এই (৩০%+৩০%) ৬০% মেধাবী শিক্ষার্থী অনার্স অধ্যায়নে উচ্চশিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হলো। এরা বেকার ও হতাশ হয়ে নানা অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অথচ তারা সুযোগ পেলে দেশের জন্য দক্ষজনশক্তি হতে পারতো।
       
চলমান পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ বার্ষিক আদায় দাঁড়াচ্ছে ২২৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতিশ্রুত স্কেলে শিক্ষক বেতন (১১ হাজার টাকা) দিলে বার্ষিক ব্যয় দাঁড়ায় ১২১ কোটি ১১লাখ টাকা। আর উদ্বৃত্ত থাকে ১০৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। কলেজ সমূহের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের কর্তৃত্ব সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তিফি ৫ হাজার টাকা ও মাসিক বেতন ২শ’ টাকা নির্ধারণ করলেও এ খাত থেকে বাৎসরিক ভর্তি, বেতন ও ফরম পূরণ বাবদ আদায় হবে ১৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। ৩ হাজার ৫শ’ শিক্ষকের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা হারে বেতন প্রদান ও সমস্ত খরচ বাবদ ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। এতে প্রতি বছর উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বছর বছর এই উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে নিশ্চিতভাবে একটি বড় ধরণের তহক্ষিল গঠন করা সম্ভব হবে। যা দিয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজ তরান্বিত করা যাবে। তাই যুক্তি সঙ্গত বলেই মনে হয় এই প্রস্তাবনা।  যা বাস্তবায়িত হলে হয়তো ৫টি সুফল লাভ হতে পারে। যা নিম্নরূপঃ

১। ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন কমিয়ে দিলে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা অধ্যায়নের সুযোগ পাবে। ড্রপ আউট রোধ হবে।
২। বঞ্চিত ৬০% শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে পারবে। ফলে দেশের যুব সমাজের বেকারত্ব ও সামাজিক অধঃপতন রোধ হবে।
৩। সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক মানবেতর জীবনযাত্রা থেকে মুক্তি পাবেন এবং পাঠদান প্রক্রিয়া আরো গতিশীল হবে।
৪। কয়েক বছরেই সরকার একটি বড় ধরণের তহবিল গঠন করতে পারবে। এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উন্নয়ন কাজ তরান্বিত হবে। আদায়কৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ বেপাত্তা হওয়া রোধ হবে।
৫। ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কার্যক্রম সফল হবে। সরকারের সুনাম বৃদ্ধি ও শিক্ষাখাতে বিপুল অবদান দৃশ্যমান হবে।

সম্প্রতি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতির স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের পক্ষে লড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষকদের দাবির সমর্থনে সচিব কমিটিকে ডিও লেটারও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও শিক্ষকদের দাবিকে যৌক্তিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। এতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবির যৌক্তিকতা আবারও প্রমাণিত হলো। এখন বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণের পালা। তবে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় তো শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন এবং আন্তরিক। তাই অনার্স-মাষ্টার্স কোর্সে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির বিষয়টিতেও আর জটিলতা থাকার কথা নয়। এখানকার শিক্ষকগণের এমপিও ভুক্তির বিষয়টিও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের আরো একটি সংগঠনের নেতৃবন্দ দাবি করেছেন- অনার্স-মাষ্টার্স কোর্সে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক স্ব স্ব কলেজ থেকে শিক্ষকদের ১০০ ভাগ বেতন ভাতা প্রদান যেন করা হয়। তারা বিভিন্ন সময় মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী,স্পীকার, শিক্ষা সচিব, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্ব স্ব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপিও  প্রদান  করেছেন। অপরদিকে বাংলাদেশ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সকল বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগ লাভের তারিখ থেকে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা বিবেচনায়  পদোন্নতির ব্যবস্থা করাসহ  ৪ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় লক্ষ্য করা যায়, শিক্ষিত মেধাবী যুবকেরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান না। আর এর অন্যতম কারণ হলো, অন্য পেশার চেয়ে শিক্ষকতায় সুযোগ-সুবিধা কম থাকা। একটি রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষাকাঠামোর উন্নয়নের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষার অবকাঠামোগত দিক হিসাবে শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক যদি যোগ্য না হন তাহলে মানসম্পন্ন শিক্ষার বিষয়টি অনিশ্চয়তার ঘুর্ণিপাকের মধ্যেই ঘুরপাক খাবে। আর শিক্ষকদের বেতন-ভাতা যতি অন্য পেশা থেকে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকে তাহলে গুণগত মানের শিক্ষক সেখানে পাওয়ার বিষয়টিও অবান্তর। ইদানীং মেধাবীদের কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় না আসার প্রবণতা চরমভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক মেধাবী শিক্ষিত যুবকই এখন আর শিক্ষকতাকে বেছে নিতে চান না। আর এর অন্যতম কারণ, এখানে শিক্ষকদের বেতন-ভাতার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনুপস্থিত। যারা এই পেশাকে মহান পেশা ও দায়িত্ব ভেবে কর্মরত রয়েছেন তাদের অবস্থা এখন মানবেতর। তাই মানবিক ও সঙ্গত কারণেই তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি অনিবার্য-অপরিহার্য। দাবি আদায়ে আন্দোলনরত শিক্ষকগণ তাদের দাবি পুরণ হলে যে সুফল আসবে, সম্ভবতঃ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নীতি নির্ধারকদের তা সঠিকভাবে বোঝাতে সক্ষম হননি। তাই সেটাকে আমলে নেয়া হয়নি।

অপরদিকে সরকারের দক্ষ পরিচালনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রচলিত জনবল কাঠামো পরিবর্তন করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক ও ডিগ্রী পর্যায়ে তৃতীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষক কর্মচারি এমপিওভুক্ত করার লক্ষে নতুন খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। যা ৫ জুন প্রকাশিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ২১ বছর ধরে ঝুলে থাকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানে নিয়োজিত সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। যা করলে গ্রাম বাংলার দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী, পাঠদানে নিয়োজিত শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ ও শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি পুরণে সরকারের শতভাগ সফল্য করায়ত্ব হওয়াসহ আধুনিক বিশ্বে বিশেষ মর্যাদা অর্জিত হবে। তাই অন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক বলেই মনে হয়। আর সমৃদ্ধির পক্ষে এধরণের অকাট্য যুক্তি সংগত পরিসংখ্যান উত্থাপনের পরও যদি তা যৌক্তিক হিসাবে গৃহীত না হয় তবে যৌক্তিক শব্দের ব্যবহার করার মত স্থানের বোধ হয় সংকট দেখা দিতে পারে।   #




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই