তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

যশোরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

যশোরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
[ভালুকা ডট কম : ২৭ আগস্ট]
যশোর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রিপন হোসেন দাদা ওরফে দাদা রিপন হত্যা মামলায় শাহারুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শাহারুল ইসলাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শুকুর মণ্ডলের ছেলে শাহারুল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার গ্রুপের নেতা হিসেবে পরিচিত। বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে যশোর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, রাতে বাড়ি ফিরছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল। পথে যশোর বিমান বন্দরের কাছাকাছি এলে কোতোয়ালি মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলী জানান, শাহারুল ছাত্রলীগ নেতা দাদা রিপন হত্যা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামি।  

এদিকে, শাহারুলকে গ্রেফতার করায় শাহীন চাকলাদার গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

অপরদিকে, বুধবার মধ্যরাতে গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা শাহারুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে যশোর শহরে। ‘যশোরবাসী’ নামে এই বিক্ষোভে মূলত আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মীরা অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ‘যশোরবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ছাত্রনেতা রিপন হোসেন হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে শাহারুল ইসলামের শাস্তি দাবি করেন। তারা শাহারুলের ফাঁসির দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দেন।

বুধবার মধ্যরাতে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শাহারুল ছাত্রলীগ নেতা রিপন হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, মারপিট, চাঁদাবাজির নানা অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে শাহারুলকে আটকের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তি দাবিতে সকালে শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের একাংশ। এর আগে মধ্যরাতে দলের শাহীন চাকলাদারপন্থী নেতাকর্মীরা মিছিলের জন্য জড়ো হলেও অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় কর্মসূচি বাতিল করা হয়।বিকেলে ‘যশোরবাসী’র ব্যানারে আয়োজিত মিছিলটি সকালের কর্মসূচির পাল্টা বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
 
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৩ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দাদা রিপন ওই সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। কমিটি গঠন নিয়ে বিবাদে সেদিন যশোর শহরে ব্যাপক গুলি ও বোমাবাজি হয়। পরদিন ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে আসার পথে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন রিপন। রিপন হত্যার ঘটনায় তার বাবা শহিদুল ইসলাম থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে শাহারুল ইসলামসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে এতোদিন শাহারুল ইসলাম প্রকাশ্যেই দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আসছিলেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই