তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সীমান্তবর্তী পত্নীতলায় মাদকসেবীসহ চোরাকারবারীদের দৌরাত্ব

সীমান্তবর্তী পত্নীতলায় মাদকসেবীসহ চোরাকারবারীদের দৌরাত্ব 
[ভালুকা ডট কম : ২৮ আগস্ট]
সীমান্তবর্তী এলাকা নওগাঁর পত্নীতলায় নজিপুর পৌরসভা সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকসেবী সহ চোরাকারবারীদের দৌরাত্ব বেড়ে গেছে। ইতিপূর্বে প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব মাদকসেবীদের সাজার আওতায় আনলেও বর্তমানে তা বন্ধ থাকার কারনে মাদক ব্যবসায়ীরা সহ মাদক সেবীরা এই এলাকাকে নিারপদ স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছে।

পত্নীতলা, সাপাহার ও ধামইরহাট সিমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা মাদক দ্রব্য হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, প্যাথোডিন, গাঁজা সহ ভারতীয় মদ পত্নীতলার বিভিন্ন এলাকায় চোরাকারবারীরা মজুদ গড়ে তোলায় নওগাঁ, মহাদেবপুর, বদলগাছী সহ বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবীরা পত্নীতলায় ভিড় জমিয়েছে।

এসব মাদক সেবীরা দৈনন্দিন মটরসাইকেল যোগে পত্নীতলার মাটিন্দর শিবপুর বাজার, মধইল বাজার, কৃষ্ণপুর ইউপির চক মমিন ডাঙ্গাপাড়া, পত্নীতলা বাজার, কাশিপুর, বাগুড়িয়া ছালিগ্রাম, গগনপুর বাজার, কাটাবাড়ি কাঞ্চন মালোপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় দিবারাত্রী ছুটছে মাদক সেবনের জন্য। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব এলাকায় মটরসাইকেল যোগে আসা মাদক সেবীদের সরগমে স্থানীয় সাধারন মানুষের চলা ফেরা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এসব মাদকসেবীরা অধিকাংশই সম্ভ্রান্ত পরিবারের। এরা অনেকেই নিজে মাদক সেবন করে এবং বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে মাদক সরবরাহ করে নিজের আয়ের পথ বেছে নিয়েছে। এসব সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেরা অনেকেই নানা কৌশল অবলম্বন করে মটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি সেজে অথবা পল্লী চিকিৎসক সেজে মাদক ব্যবসা ও সেবন করে চলেছে বলেও জানাগেছে।

ইতিপূর্বে প্রশাসন মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতে মাদকসেবীদের সাজার আওতায় আনলেও বর্তমানে এসব মাদক সেবীদের অবাধ চলাফেরা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।

এবাদেও পৌরসভা সদরের মাহমুদপুর ভূত পাড়া, হরিরামপুর, পুঁইয়া, পলিপাড়া, চকনিরখীন (ঠুকনিপাড়া মোড়), সিএন্ডবির পাশে সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা জমিয়ে তুলেছে মাদক ব্যসায়ীরা। মাদক সেবীরা এসব চোলাই মদ খেয়ে প্রকাশ্যে মাতলামি করার অভিযোগও রয়েছে।    

অপরদিকে চোরাই পথে আসা সহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন ঔষধের দোকান থেকে পাওয়া নেশা হিসাবে ব্যবহিত ইঞ্জেকশন এ্যাম্পোল গুলোকে যুব সম্প্রদায় নেশার আরেকটি সহজ ধাপ হিসাবে বেছে নিয়েছে। এসব মাদক সেবীরা সহজ ভাবে শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহন করছে।

মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের স্ব-স্ব স্থান থেকে দৈনন্দিন নওগাঁ মহাদেবপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বানের পানির মত ভেসে আসা মাদকসেবীদের মাদক সরবরাহ করেও উদ্বৃত্ত মাদক দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে চলেছে। প্রকাশ্যে এসব মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সাধারণ মানুষ দেখতে পেলেও প্রশাসনের অন্তনালে রয়ে গেছে তারা।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই