তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের বিক্ষোভ চলছে

মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের বিক্ষোভ চলছে
[ভালুকা ডট কম : ২৮ সেপ্টেম্বর]
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার বিক্ষোভ করছেন। এ নিয়ে টানা ১০ দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁদের সংবাদ সম্মেলন করার কথা। তাঁরা অবশ্য পুলিশি বাধায় প্রেসক্লাবে ঢুকতে না পেরে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন। এর আগে শাহবাগেও তাঁরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, সকাল ১০টার দিকে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে জড়ো হন। তাঁরা এ সময় ‘যদি হয় প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন ১২ মাস’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘উই ওয়ান্ট রি অ্যাকজাম’—এসব স্লোগান দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা হন।

 দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা শাহবাগে পৌঁছালে প্রচুর পুলিশ সদস্য তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানার সামনে বসে পড়েন। পুলিশ তাঁদের ঘিরে রেখেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকেরা রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই মেয়ে। দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে ওঠে প্রেসক্লাবে যান। এ সময় মিছিলের সামনে ও পেছনে পুলিশ ছিল। পরে প্রেসক্লাবে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসেই স্লোগান দিতে থাকেন।প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের রায়ট কার, জল কামান রাখা হয়েছে।নাম না প্রকাশের শর্তে একজন পুলিশ সদস্য জানান, শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কয়েকজন পুলিশকে ফুল দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা তাঁরা ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। ফুল দিয়ে কী করব?

গতকাল রোববারও ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন। গতকালের অবস্থান কর্মসূচিতে ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।১৮ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে একযোগে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দেশের ১০টি জেলায় এ নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বৃহস্পতিবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রংপুর থেকে তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ আনা হয়নি বলে জানিয়েছেন রংপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, একদিকে সরকার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে, অন্যদিকে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি তাঁদের কাছে খুব গোলমেলে মনে হচ্ছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই