তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সংসদে আজ দুই বিল পাস

সংসদে আজ দুই বিল পাস
[ভালুকা ডট কম : ২৮ এপ্রিল]
দেওয়ানি মামলায় নিম্ন আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়াতে ‘সিভিল কোর্ট (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬’ নামে একটি বিল পাস হয়েছে সংসদে। এছাড়া কোর্ট ফি (এ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬ নামে আরও একটি বিল পাস হয়।বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে জাতীয় সংসদে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পৃথক দু’টি বিল পাসের জন্য প্রস্তাব করেন।

যদিও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, মো. নূরুল ইসলাম ওমর, বেগম মেহজাবীন মোরশেদ, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল মতিন এবং স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বিল দুটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। তবে তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়।ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিল দু‘টি সর্ব সম্মতিতে পাস হয়।
 
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘সিভিল কোর্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট) সংশোধন বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আইনে পরিণত হবে। এরপর হাইকোর্টে বিচারাধীন সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা ৯০ দিনের মধ্যে জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হবে।সংশ্লিষ্ট জেলা জজ তা নিষ্পত্তি করবেন। তবে যেসব মামলার শুনানি শুরু হয়েছে, তা হাইকোর্টেই থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টে আপিল বা আংশিক শুনানির পর্যায়ে রয়েছে, তা নিম্ন আদালতে স্থানান্তরিত হবে না। এখন থেকে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা জেলা জজ আদালতেই দায়ের করা যাবে।বিলে বলা হয়েছে, দেওয়ানি মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সহকারী জজ সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা মূল্যমান, সিনিয়র সহকারী জজ ২৫ লাখ টাকা এবং জেলা জজ ৫ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা গ্রহণ করতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে সহকারী জজ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা মূল্যমান, সিনিয়র সহকারী জজ চার লাখ টাকা এবং জেলা জজ পাঁচ লাখ টাকা মূল্যমানের মামলা গ্রহণ করতে পারবেন।
 
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া অপর বিলে কোর্ট ফি আদায়ের জন্য সরকার তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল অপরেটর, মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার অথবা সরকার নিয়োজিত এজেন্ট নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। সরকার অনুমোদিত কোন এজেন্ট ছাড়া অপর কেউ স্ট্যাম্প বিক্রি করলে অথবা বিক্রির চেষ্টা করলে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন প্রকার ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। নামজারি, জমির পর্চা ইত্যাদি সেবাসহ সকল প্রকার মামলার কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে কোর্ট ফি জমা দিতে হয়।কিন্তু সহজলভ্য না হওয়ায় কোর্ট ফি প্রদানের সময় সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়। জনগণের হয়রানি রোধে, সহজেই এবং দ্রুততার সঙ্গে জনসেবা পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে বা অনলাইনে কোর্ট ফি জমার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনা অত্যন্ত প্রয়োজন।

এ আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা গেলে কোর্ট ফি ছাপানো, সংরক্ষণ ও পরিবহনের বিশাল ব্যয়-হ্রাসসহ জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে তা দেশের সকল শ্রেণির মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্ট ফি জমা দিতে অহেতুক ভোগান্তি থেকে রক্ষা করবে। সাধারণের ই-সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য হবে।বিলে বলা হয়েছে, স্ট্যাম্পের সংকট দেখা দিলে অনলাইনে স্টাম্পের জন্য জমা দেওয়া টাকার রশিদ কার্যকর বলে গণ্য হবে। আবার চাইলে নগদ জমা দেওয়া যাবে। আরো বলা হয়েছে, দেশের বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে সহজে, কম খরচে, দ্রুত ও কোন হয়রানি ছাড়া কোর্ট ফি জমা দিতে পারেন সেজন্য ১৪৬ বছর পর এ আইনের সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই