তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ধামইরহাটে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী সেবা চালু

ধামইরহাটে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী সেবা চালু
[ভালুকা ডট কম : ২৮ মে]
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একটি করে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। অবহেলিত উপজেলার গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষরা মাত্র ১শ থেকে ২শ টাকায় এসব এ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাবেন। এছাড়া পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ধামইরহাটের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘দিপ্তী’ নামে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী উদ্বোধন করা হয়েছে।

ধামইরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন আহমেদের সভাপতিত্বে শুক্রবার দুপুরে ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, জাতীয় সংসদের হুইপ নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নওগাঁ স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম, ধামইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন, ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র আমিনুর রহমান প্রমুখ।

জানাগেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এলজিএসপি-২ প্রকল্পের অর্থায়নে ধামইরহাটের আট ইউনিয়নে এই এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী সেবা পল্লীর অবহেলীত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি ব্যাটারি চালিত চার্জারকে এ্যাম্বুলেন্সে রুপ দিয়ে তার নাম দেয়া হয়েছে, “মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা এ্যাম্বুলেন্স”। ছাদে ঘুর্ণায়মান লাল আলোর বিচ্ছুরণ আর সাইরেন বাজিয়ে গ্রামের কাঁচা-পাকা সড়কে ছুটে চলবে এই এ্যাম্বুলেন্স। এসব এ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশদের। এ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকবে।

প্রতিটি এ্যাম্বুলেন্সের গায়ে একটি মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। এই নম্বরে ফোন দিয়ে সেবা পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন তাঁদের প্রয়োজনের কথা জানাতে পারবেন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য দেয়া হয়েছে একটি করে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের একটি স্কুলের অধীনে এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী পরিচালিত হবে। ওই স্কুলের লাইব্রেরীয়ান এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর তত্ত্বাবধান করবেন। এই লাইব্রেরী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে প্রতিটি স্কুল-কলেজের  শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে যাবে।

এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর উদ্যোক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ জানান, একটি ইজিবাইককে এ্যাম্বুলেন্সে রুপ দিতে ২ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। ৮টি এ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। এ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তত্ত্বাবধান করবেন। মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকায় গ্রামের দরিদ্র মানুষরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন। আর একটি ইজিবাইককে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী হিসেবে রুপ দিতে খরচ হয়েছে ৭১ হাজার টাকা করে। ৮টি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর জন্য খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিটি লাইব্রেরীতে গল্প, উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ বিভিন্ন ধরণের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ২৫ হাজার টাকার বই দেয়া হয়েছে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই