তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গফরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি

গফরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জুলাই]
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণে ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্কুল প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।আর এসব অনিয়মের অভিযোগে সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ড চরশাখচুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন।
   
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০১৫/১৬ অর্থ বছরের গফরগাঁও উপজেলার ২৩৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা গত ১৩ জুলাই থেকে বিতরণ শুরু করে সোনালী ব্যাংক গফরগাঁও শাখা।সে মোতাবেক গতকাল সোমবার উপজেলার পাাঁচবাগ ইউনিয়নের চরশাখচুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সুবিধাভোগি ৫৭৩ জনের মধ্যে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়।প্রতি শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা উপবৃত্তি দেওয়ার কথা।সে হিসেবে এক জন শিক্ষার্থী গত এক বছরের ১২শ’টাকা করে উপবৃত্তি পাওয়ার কথা।
    
অভিভাবকদের অভিযোগ,চরশাখচুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারোয়ার আলম টাকা বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক টাকা কেটে রাখে।এসময় উত্তেজিত অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারোয়ার আলমকে কক্ষে অবরোদ্ধ করে রাখে।পরে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ বন্ধ করে দেয়।এসময় উত্তেজিত অভিভাবকদের ধাওয়া খেয়ে চরশাখচুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারোয়ার আলম পালিয়ে যায়।একই অভিযোগ উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের শরিফ ফরাজি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন আলমগীরের বিরুদ্ধে।এখানে ভূয়া কার্ডধারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা কেটে নেওয়ার নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।এপর্যায়ে শনিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন আলমগীর শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ না করেই বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে গেছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন আলমগী বলেন,অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা তার কাছে জমা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্নসাৎের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেছেন শরিফ ফরাজি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক।অপর দিকে দক্ষিণ চরমছলন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূয়া কার্ডধারী শিক্ষার্থীর ৬৭ হাজার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংক গফরগাঁও শাখার ম্যানেজার ওমর আলী।সঠিক কার্ডধারী শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে এ টাকা বিতরণ করা হবে না বলে ম্যানেজার ওমর আলী জানান।এবিষয়ে দক্ষিন চরমছরন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন,তার বিদ্যালয়ে কোন ভুঁয়া শিক্ষার্থী নেই।   



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই