তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুর সেই অষ্টাদশী নারীকে বাসে উঠিয়ে দিলো পুলিশ

গৌরীপুর সেই অষ্টাদশী নারীকে বাসে উঠিয়ে দিলো পুলিশ
[ভালুকা ডট কম : ২৪ জুলাই]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরে ঘুরে বেড়ানো অষ্টাদর্শী অপরিচিতা যুবতীকে বাসে উঠিয়ে দিলো পুলিশ। ‘কে এই অষ্টাদশী’ শিরোনামে একাধিক প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার মেয়েটি পুলিশ হেফাজতে নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিরাপত্তা সেলে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেন।

গৌরীপুর থানার ওসি আবু মোঃ ফজলুল করীমের নির্দেশে সাবইন্সপেক্টর মোঃ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অষ্টাদশী ওই যুবতীকে থানায় য়োর চেষ্টা করলে সে থানা যাবে না বলে জানায়। তার বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় চলে যেতে ইচ্ছা পোষণ করে।

গৌরীপুর থানার এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, ওই মেয়েটিকে ৫৫টাকা দিয়ে বাসে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সে নিজের বাড়িতে যেতে চায়, তাই বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ থেকে ১২ দিন ধরে গৌরীপুর পৌর শহরে এই অপরিচিতা মেয়েটি ঘোরাঘুরি করতো। মেয়েটির বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মতো হবে। গায়ের রং উজ্জল শ্যামলা, উচ্চতা ৫ ফুটের উপরে, পরনে সালোয়ার-কামিজ। বেশির সময় মেয়েটি শহরের হারুনপার্ক এলাকায় দুই হাতে প্লাস্টিকের ফাইল বুকে জড়িয়ে ধরে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতো। কারো সাথে কোনো কথা বলতো না।  কেউ কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তরও নেই। কখনো মুখে ভেংচি কেটে সরে পড়তো সে।রাতের বেলায় মেয়েটি শহরের বিভিন্ন দোকান-পাটের বারান্দায় ঘুমায়। প্রায় রাতেই কিছু যুবক তাড়া করে মেয়েটিকে। তখন সে দিক-বেদিক ছুটাছুটি করে নিজেকে রক্ষা করে। কিন্তু মেয়েটির বিষয় নিয়ে প্রশাসনেরও কোনো উদ্যোগ নেই।

মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার নাম প্রিয়া। বাবার নাম মোয়াজ্জেম হোসেন। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার গয়েসকিলা মধ্যপাড়ায়। কখনও বলে সাভার ইপিজেডে। আবার কখনও বলে জিরাব এলাকায়। নিজেকে গার্মেন্টস কর্মী বলে জানায় সে।এখানে কেনো এসেছেন জানতে চাইলে এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয় না সে। বাড়ি যাওয়ার জন্য বললে সেখানেও যেতে রাজি হয়নি। ৩ ভাই, ৩ বোন তারাও নাকি গার্মেন্ট কর্মী। দুটি ফাইল বুকে জড়িয়ে রাখলেও কাউকে তা দেখায়নি। একটি খাতায় সাংকেতিক চিহ্নের কিছু লেখা রয়েছে। এগুলোর মানে কী তা জানতে চাইলেও এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীরা জানান, মেয়েটিকে নিয়ে শহরে নানা প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে। গুলশান ও শোলাকিয়া ঘটনার পর এই মেয়েটির উপস্থিতি কারও ধারণা সে ‘গোয়েন্দা’। কারো মতে, জঙ্গি কানেকশন আড়াল করতেও এই ছদ্মবেশ নিতে পারে। অধিকাংশ প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, সে মানসিক ভারসাম্যহীন। রাতের বেলায় একা একা ঘোরাঘুরি করায় যেকোনো মুহূর্তে পাশবিক নির্যাতনের মতো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে!

এদিকে এই অপরিচিতা মেয়েটিকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে প্রশাসনের। শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে মেয়েটির খোঁজ পায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায় তার নাম প্রিয়। সে একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার ঝিকরগাছায়। তবে বাবার নাম জানতে চাইলে সে বলেনি। বাড়ির কারো ফোন নাম্বার চাইলে সেটাও সে বলেনি। তবে  পুলিশকে জানায় সে বাড়ি ফিরতে চায়। পরে পুলিশ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই দিন দুপুরেই গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহগামী বাসে তুলে দেয়। এবং ময়মনসিংহ থেকে মুক্তাগাছা বাড়িতে যাওয়ার জন্য যাতায়াত ভাড়া বাবদ কিছু টাকাও দিয়ে দেয়।

গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসাইন বলেন, মেয়েটির কথা-বার্তায় তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়নি। আমরা তাকে বাড়ি যাওয়ার কথা বললে সে রাজি হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে মুক্তাগাছা যাওয়ার জন্য গৌরীপুর থেকে ময়মনসিংহগামী বাসে তুলে দেয়া হয়। বাড়িতে পৌঁছে ফোন দেয়ার জন্য বলা হলেও এখন পর্যন্ত ( রোববার) পর্যন্ত পর্যন্ত সে ফোন দেয়নি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই