তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইল শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্ত অনুষ্ঠিত

নান্দাইল শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্ত অনুষ্ঠিত
[ভালুকা ডট কম : ২৯ সেপ্টেম্বর]
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শিক্ষা অফিসে কর্মরত সাবেক উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক মোঃ আব্দুল কাইয়ুমের (বর্তমানে তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত) বিরুদ্ধে নান্দাইল উপজেলায় কর্মরত ৭৪ জন প্রধান শিক্ষক ও ১৯৭জন সহকারী শিক্ষক কর্তৃক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় দায়েরকৃত ৮ দফা সুনির্দিষ্ট দূর্নীতির অভিযোগ বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মন্ডল কর্তৃক সরজমিন তদন্তকার্য সম্পন্ন হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানাগেছে উক্ত উচ্চ মান সহকারী ২০১৩সালের শেষ দিকে নান্দাইল উপজেলায় যোগদানের পর থেকে (তার বাড়ী নান্দাইল উপজেলার রসূলপুর গ্রামে) অত্র অফিসে শিক্ষকদের সাথে অসদ আচরণ ঘুষ দূর্নীতি সহ নানান অভিযোগের সাথে যুক্ত হন। ২০১৪ইং সনে বিদ্যালয়ের আনুষাঙ্গিক খাতে ৫ লক্ষ টাকা তার গাফলতির জন্য নান্দাইল উপজেলার সকল বিদ্যালয় বঞ্চিত হন। শিক্ষকদের বকেয়া বেতন, টাইমস স্কেল, ইনক্রিমেন্ট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা পেতে তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে তাকে কখনও তার টেবিলে পাওয়া যায় না। এবিষয়ে তাকে ফোন করলেও তার সাক্ষাৎ লাভে ব্যর্থ হয়। শিক্ষকদের বদলীর কাজে তাকে মোটা অংকে টাকা দিতে হয়।

অতি গোপনে মুশুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তার স্ত্রী শাহিন সুলতানাকে উপজেলা সদর আল আজহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মুশুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, দরিল্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজিয়া সুলতানাকে মুশুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের ব্যবস্থা করে দেন। তার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রী,অভিাভাবক ও মিডিয়া কর্মীদের সাথে দুঃব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনব্যাপী ২৫ /৩০জন শিক্ষক অভিভাবকের লিখিত মতামত গ্রহন করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মন্ডল জানান দূর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তিনি রিপোর্ট আকারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দিবেন। অভিযোগকারীদের পক্ষে প্রধান শিক্ষক মোঃ ইকবাল, মোঃ মতিউর রহমান, মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান তদন্তকালে প্রতিটি অভিযোগের সততা তদন্তকারী কর্মকর্তা পেয়েছেন। তারা উক্ত উচ্চ মান সহকারীর কাম হিসাব রক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত উচ্চ মান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আব্দুল কাইয়ূম জানান তিনি এখন তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত আছেন নান্দাইলে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে নাই।

নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনার কলি নাজনীন জানান বিষয়টি এখন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তাধীন। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। #




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই