তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঝিনাইদহের লিপু হত্য,সরকারের কাছে হত্যার বিচার চাইলেন পরিবার

ঝিনাইদহের লিপু হত্য,সরকারের কাছে হত্যার বিচার চাইলেন পরিবার
[ভালুকা ডট কম : ২১ অক্টোবর]
ঝিনাইদহের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু সর্বশেষ বাড়ি আসে গত পুঁজোর ছুটিতে। লিপু হত্য রহস্য ফাঁস না হলেও  ক্যাম্পাসে ফেরার আগের দিন সোমবারে লিপুর সাথে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি ও কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলে লিপুর পরিবার থেকে জানাগেছে।

মোতালেব হোসেন লিপুকে দাফন করে এলাকায় ও লিপুর পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বুক ফাটানো কান্না থামানো যাচ্ছেনা লিপুর হতভাগী মা হোসনেয়ারা বেগম ও স্বজনদের। সেই সাথে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে।একেবারেই নরম ও ভদ্র স্বভাবের ছিলেন রাবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ঝিনাইদহের মোতালেব হোসেন লিপু। বাড়িতে কম কথা বলতেন, ছিলেন অনেকটা চাপা স্বভাবের। সে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাছে জড়িত ছিল না, পড়া-লেখাই ছিল একমাত্র কাজ। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুরক্ষিত স্থানে থেকেও লাশ হয়ে ঘরে ফেরা কোনভাবেই মানতে পারছেন না তার পরিবার ও এলাকাবাসী। নিজেরা মামলা না করলেও বলছেন সরকার এর বিচার করুক। লিপুকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এমন আশংকা পরিবারের ।

চাচাত ভাই শাসুম মোল্ল্যা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু সর্বশেষ বাড়ি আসে গত পুঁজোর ছুটিতে। মঙ্গলবারে সে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। কেন সে লাশ হলো, কেন তাকে বাঁচতে দেয়া হলো না, কারা ছিল তার ঘাতক এমন প্রশ্ন সবার মাঝে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকর্মীদের ফোন আর টিভির খবর দেখে লিপুর পরিবার জানতে পারে তাদের ছেলে খুন হয়েছে, লাশ পড়ে আছে ক্যাম্পাসের ডাইনিংয়ের ড্রেনে। ঝিনাইদহের প্রত্যান্ত পল্লী হরিনাকুন্ডুর মকিমপুর গ্রামে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নেমে আসে শোকের ছায়া।

লিপুর বাবা একজন গাড়ি চালক জানান, ২ ভাই এক বোনের মধ্যে লিপু ছিল বড়। শুক্রবার গভীর রাতেই নিহত লিপুর মরদেহ গ্রামের বাড়ি মকিমপুরে আনার পর দাফন সম্পন্ন হয়।  

লিপুর মা হোসনেয়ারা জানান, অনেক স্বপ্ন-সাধনায় থাকা ছেলের  সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে এমন মৃত্যু খবরে নির্বাক। কি বলবেন তারা, কি করনীয় কিছুই গুছিয়ে বলতে পারলেন না তবে ক্ষীণকন্ঠে বিচার চাইলেন সরকারের কাছে । বললেন ছেলে দোষি কি নির্দোষি তা সরকারের কাছেই জানতে চাই।

লিপুর মা আরো বলেন, ক্যাম্পাসে ফেরার আগের দিন মোবাইলে হুমকি ও কথাকাটাকাটি হয়েছিল,আমি ঘটনা জানতে চাইলে লিপু বলে কোন ব্যাপর না আমার রুমমেটের সাথে ফোনে কথা হচ্ছিল। আমি লিপুর রুমমেটের মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে লিপু একটু চুপ করে থেকে বলল, এবার ক্যাম্পাস থেকে ঘুরে এসে দিব। পরিশেষে লিপুর পরিবার বিচার চাইলেন সরকারের কাছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই