তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আর কত দূর.........? পর্ব -০২

আর কত দূর.........? পর্ব -০২
[ভালুকা ডট কম : ২২ অক্টোবর]
সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদেরএই বাংলাদেশ।বিশ্বের অনেক পরিবর্তন আমরা দেখেছি। বিশ্ব রাজনীতি থেকে শুরু করেজলবায়ু, ওজনস্তর, আবিষ্কার, যুদ্ধেরকলাকৌশল, দেশের মানচিত্র এমনকি ধর্মীয়রীতিনীতির পরিবর্তন ও আমরা দেখেছি। বিশ্বপরিবর্তনের দিকে যাব না । আমি আমার প্রিয়মাতৃভূমি বাংলাদেশের কিছু পরিবর্তনের কথা বলব যা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।

নষ্ট চিন্তা
আগেকার চলচ্চিত্র লেখকগন প্রায়শই নায়ক বা নায়িকাকে বেকার দেখিয়ে বিভিন্ন অফিসে চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে দেখাতো। তখন সম্ভবত আমাদের দেশের লোকসংখ্যা ছয় থেকে সাত কোটি ছিল। তখন দেখা যেত একটা চাকুরী বা কাজ তার জন্য কত জরুরি। আর এখন বাংলাদেশে লোকসংখ্যা প্রায় সতের কোটির উপরে অথচ কি চমৎকার দৃশ্য কোন লোকই কাজ ছাড়া বসে নেই। সবাই কিছু না কিছু করছে। অনেক বেকার ভাই কিন্তু আমার প্রতি ক্ষেপে গিয়ে বলতে পারেন স্যার আপনার চোখে কি আমাদের পরেনা। নি:শ্চয় পরে। কিন্তু আমাদের সমস্যাটা কোথায় জানেন?সমস্যাটা হলো মনে আর পরিবেশে। মন আর পরিবেশে বললাম এ কারণে যে আমাদের অবস্থাটা হলো " পেটে ক্ষুধা চোখে লাজ "।

ঐতিহ্যগত ভাবে ভারত উপমহাদেশীয় লোকজন হলো রাজা, বাদশা, সম্রাট, জমিদার বংশের উত্তোরসূরী। তাই সামাজিকতা রক্ষা একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। আপনি সারা বিশ্ব ঘুরে আমাদের ভারত উপমহাদেশে আসবেন মনে হবে এটা আরেক পৃথিবী। এটা রাজা বাদশাদের পৃথিবী।তাই যার যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন যোগ্যতা সম্পন্ন চাকুরীটাই চাই। তবু সেটা সরকারী চাকুরী হতে হবে। বেসরকারি বা কোম্পানিতে চাকুরী করা যাবে না। একটা ঘটনাবলি " সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক ছেলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। তার বিয়ের কথা হচ্ছে। তো এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে দেখা হলো। সবকিছুই ঠিকঠাক। এ সময় মেয়ের দাদা ছেলেকে জিজ্ঞেস করল ' তুমি কি কর ' তো ছেলে হাসির স্বরে আনন্দের সাথে বলে উঠল 'আমি শিক্ষকতা করি '। আর যায় কোথায় সাথে সাথেই দাদা বলে ফেলল 'আরে মিয়া শুনেছি এত পড়ালেখা করেছ একটা চাকুরী পেলে না '। বেটা ঘটক,তুই আমার সাথে মিথ্যা বলিস। আজ তোর কি,আমার কি। বেচারা ঘটক দৌড়াইয়া জীবন রক্ষা করল। আর শিক্ষক বেটা কোনরকম দুই তিন গ্লাস পানি ঢক ঢক করে গিলে বিয়ের স্বাদ হজম করল। এইতো সামাজিকতা।

বেচারা শিক্ষক! তুমি মানুষ গড়ার শিল্পি হতে যাও কেন?বিয়া ও যখন কপালে ঝুটেনা তখন সরকারী চাকুরী করতে হবে। আর দেখ কোন মামা, চাচা আপন না থাকলেও নতুন করে মা এর ভাই তৈরী করে মামা বানাও। টাকা যত লাগুক সরকারী চাকুরী চাই চাই-ই। এই যে যত টাকা লাগুক এই শব্দটি ঘুষে রুপ নিল। অফিসার তো বিপদে, চাকুরী না হলে তার বোন বা আত্বীয়ের আত্বীয়তা থাকবেনা। তখন নয় - ছয় করার জন্য টাকা লাগবে। আর টাকা দেওয়ার জন্য তো প্রস্তুতি নেওয়াই আছে। তাহলে আমি মনে করি ঘুষ যে দেয় তার অপরাধটা পুরোপুরি আর যে নেয় সে একটা যোগ্য লোকের রিজিকে আঘাত করল।এখন আবার ঘুষ শব্দটি বিলুপ্তির পথে।

এখন ঘুষ নয় management money. এখন টাকা দিয়ে অনেক জনকে manage করে তারপর কাজটি করতে হয়। তাই এটা এখন management money হয়ে গেছে। আর এটা এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও না কারণ চাকুরী তো আর সকলে দিতে পারেনা বা অফিস ফাইলে তো আর সবাই স্বাক্ষর করতে পারেনা। উপকার তো হচ্ছে। চাকুরী হচ্ছে ফাইল দ্রুত নড়ছে। তবে আমি মনে করি যারা ঘুষ নিয়ে শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে ঔষধ পর্যন্ত দুইনম্বরকে একনম্বর বানিয়ে বাজারে ছাড়ার অনুমতিপত্র দেন তাদের তো ফাঁসি হওয়া উচিৎ । আচ্ছা আমার জানা নেই, আপনাদের জানা থাকলে বলুন তো "যারা মানুষকে জিম্মি করে জোত জমি দখল করে, বা যারা মিথ্যা মামলায় ফেলে টাকা কামায় করে বা ভাঙ্গা রাস্তা নতুন করার নামে দশ টাকার কাজ এক টাকা দিয়ে করে বা একটাকার জমি কবলা খরচ বা খারীজ খরচ দশটাকা দিয়ে করে বা যে শ্রমিক আট ঘন্টার স্থলে পাঁচ ঘন্টা কাজ করে --এগুলি কোন পর্যায়ে পরবে। আমার তো মনে হয় উদ্দেশ্য একই। তবে ঘুষটা এ রকম ফলাও হয় কেন? কারন এটা চোখে ভাসে বেশী আর বাকী গুলি আড়াল। তবে যা বললাম এক কথায় সব কিছুই হলো " হারাম "।

এক ছেলে প্রতিদিন তার মা' কে বলে " আমি বিয়ে করব " বাবাকে বলে আমাকে বিয়ে করিয়ে দাও। মা সাহস করে বলতেপারছেনা। একদিন রাগ করে ছেলে বলছে "মা আর তোমাকে বলতে হবে না। আমিই ব্যবস্থা করছি। তো একদিন অবেলা একটি চৌকিতে (খাটে) একটি কুঠার হাতে নিয়ে শুয়ে আছে। বাবা কাজ করার জন্য ডাকাডাকি করছে, কিন্তু সে আর উঠছেনা। বাবা রাগে ঘরে ঢুকে দেখে ছেলে কুঠার হাতে চৌকিতে শুয়ে আছে। কিরে তুই অবেলা এভাবে শুয়ে আসিস কেন? ছেলে এপাশওপাশ করে বাবাকে বলছে " বাবা। এত বড় একটা চৌকিতে আমি একা থাকি, এত বড় চৌকি আমার একার জন্য দরকার নাই। তাই কুঠার দিয়ে চৌকিটা অর্ধেক করে ফেলব"। বলছে আর চৌকিতে কুঠার দিয়ে কোপাচ্ছে। বাবা মুল অসুখটা ধরতে পেরে ছেলেকে বলছে " আমি তো ভেবেছিলাম আগামীকাল তোমায় বিয়ে করাব, বড় চৌকিটার দরকার পরবে। তুমি যখন মনে করছ...... ইটুকু বলার সাথে সাথে ছেলে দৌড়াইয়া বাবার কাছে গিয়ে বলছে "তোমার মুখে এটা শুনার জন্যই না এটা করেছি " নষ্ট চিন্তা। সমাজের কিছু নষ্ট চরিত্রের মানুষের চরিত্রায়ন করব। লক্ষ্য করে দেখবেন প্রতিটি সমাজে একশ্রেণীর লোক আছে তারা যে কোন ব্যাক্তির দোষ বলে বেড়াচ্ছে। চা এর দোকান বলুন আর গাছ তলায় বলুন এদের কাজ হলো অন্যের দোষ বলে বেড়ানো। আবার এক প্রকৃতির লোক আছে তারা দেখবেন সমস্যাবলী নিয়ে সারাদিন টুই টুই করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরছে আর ঘুরছে। জিজ্ঞেস করবেন " ভাই কেমন আছেন বা কি করছেন? " দেখবেন একগাদা সমস্যাদি বলবে অথচ নিজের একটাও না। এদের কাজ হলো সাধারন লোকজনদের বিভিন্ন সমস্যাতে ফেলে কিছু কিছু টাকা নিয়ে তার আখের গোছানো। সারাদিন ঘুরে ঘুরে এর কাছ থেকে ওর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে রাত্রিকালে কিছু চাল ডাল কিনে সংসার চালানো। আবার এমন কিছুলোক দেখবেন তারা ফেরি করে কলা বা এরকম জিনিষ বিক্রি করছে। আপনি কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন " ভাই তোমার জমি কতটুকু আছে? এই শুরু হয়ে গেল। আর আপনার কথা বলার চানচ্ নাই। সে এভাবে শুরু করবে " আমার দাদার একশ বিঘা আমার বাবার ছিল দেড়শ বিঘা জমি। দাদা সোনার খাটে বাবা রুপার খাটে ঘুমাত। এ রকম আজেবাজে আলাপ করতে করতে তার কলার দফা শেষ। যদি জিজ্ঞেস করেন " ভাই আপনি কলা বিক্রি করেন কেন? তখন সে বলবে এটা আমার কপাল। এমন কিছু লোকও সমাজে দেখবেন যাদের কাজ হলো তার জমির সাথে আরেক জনের জমি, ওর জমির সাথে তার জমি প্যাঁচ লাগিয়ে মামলায় জড়িয়ে দিবে। আর তাকে ছাড়া দু 'পক্ষের কারো শহরে যাওয়ার লোক নেই। এই পক্ষ থেকেও টাকা খাচ্ছে আবার ওপক্ষ থেকেও টাকা খাচ্ছে।

এক লোক প্রতিদিন তার স্ত্রীকে ঝাঁটা দিয়ে পেটায়। একদিন দুইদিন এভাবে কয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন স্ত্রী বিরক্ত হয়ে স্বামীকে বলছে " তুমি কি আমাকে রাখবে না? " স্বামীর উত্তর " তুই কি ঝাঁটার পিটানো দেখেও বুঝিস না, তুরে রাখব কিনা"। এ প্রকারের লোক দেখবেন কিছুদিন পর পর বউকে পেটায় আর শুশুর বাড়িতে পাঠায় টাকার জন্য। শুশুর বাড়ির টাকা শেষ আবার তার কাজ শুরু। সে কিছুই করবে না। এদের কি ধারণা কে জানে। আবার ইদানীংকালে দেখবেন এক ধরনের ছেলে বাবার কোন পরিচয় নাই। বাবার দ্বারা জমি বিক্রয় করিয়ে একটা মোটরবাইক কিনে পঙ্খিরাজের মত উড়াল পারছে আর বড় লোকের মেয়েদের পিছনে সর্বক্ষণ আঁটার মত লেগে আছে। বড়লোকের বেটি তো নায়ক নায়ক ভাব সাথে মোটরবাইক আবার জমিদারি গপ্পে ফাঁদে পা ফেলে সারাজীবন চোখেরজলে বুক ভাসায়। আর জামাই বাবা তো রাজপুত্তুরের মত শুশুর বেটার ঘাড়ে চেপেছে আর এটাই ছিল উদ্দ্যেশ। এই অবুঝ অবুদ্ধিমান অযোগ্য মেয়েরা সাবধান হও, সর্তক থাক। মা বাবা সব সময় তোমাদের সুখ শান্তিময় জীবন কামনা করে। মা বাবার কথার বাইরে যেওনা। আবার এর বিপরীত চিত্রওচোখে পড়ে। অনেক নষ্ট বা বখে যাওয়া বা নির্লজ্জ মেয়েরা facebook বা অন্যভাবে বা অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে ছেলেদের ফুসলিয়েফাসলিয়ে সংসার পাতে। অবশ্য এ সংসার সাজানো গুলি হয় ভঙ্গগুর, ক্ষনস্থায়ী, আর ঝগড়াঝাটীর। এ সকল সংসারে সুখের পাখি বাসা বাঁধেনা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করে দেখবেন নিজের ঘরে সুন্দরী বউ অথচ এটা ভাল লাগে না। অন্য মহিলার দিকে হাত বাড়াতে চায়। এই যে প্রায়শই পত্র পত্রিকায় পরকীয়া শব্দিটি যে বিভৎশ্যতার দৃশ্যপট দেখি এটা এদের মত সোনার ধন পিতলা ঘুঘুদের কাজ। এরা দেখবেন কোন মহিলার স্বামী প্রবাসী বা কোন মহিলাকে কিভাবে কোন ফাঁদে ফেলা যায় তার কলাকৌশল ভালভাবে আয়ত্ত করা। এরা একবারও ভাবে না ধর্মীয় বিধানের কথা, ভাবেনা সামাজিক অবস্থানের কথা এমনকি নিজ সন্তানের কথাও। একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল " তখন আমি কলেজে পড়ি। আমরা বন্ধুরা কলেজ পাঠাগারে বই পড়ছি। তখন একবন্ধু বলল শুন একটা মজার ঘটনা বলি। গতকাল পত্রিকা দেখলাম ইরানে একটি ছেলে উন্মোক্ত স্থানে একটি মেয়েকে kiss করল অথচ কোর্ট ছেলেকেই খালাস দিল। শুনার আগ্রহ বেড়ে গেল এবং বিস্তারিত শুনলাম। ঘটনাটা এরকম " একদিন এক মেয়ে ইরানের এক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু তার পরনে যে জামা ছিল ঐ জামায় লেখা ছিল kissme. তো এটা দেখেই যুবক লোকজন ঠেলে দৌড়ে গিয়ে kiss দিল এবং এ ঘটনা কোর্ট পর্যন্ত বর্তালে কোর্ট এই রায় দেয় "। বললাম এ কারনে যে আপনার আদরের মেয়েটি যখন বাড়ির বাহিরে বের হয় তখন একটু খেয়াল করবেন যে সে কি ধরনের পোশাক পড়ে বের হচ্ছে। পোশাকটা যেন শালীন হয়। সচেতন হওন আমরা সচেতন হই। একটা জিনিষ মনে রাখবেন " মোমের কাছে আগুন নিলে মোম গলবেই "।

আমি বলছিলাম " মোমের কাছে আগুন নিলে মোম গলবেই " এটা মোমের ধর্ম। আপনারা propaganda এর সাথে কমবেশি সকলেই পরিচিত। নির্বাচনের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বা বিয়ে সাদির বর কনের ক্ষেত্রে এ ঘটনা গুলি বেশী ঘটে। যেমন একলোক ইউপি নির্বাচনের একজন মেম্বার প্রার্থী। সে টাকা পয়সা, পান, সিগারেট, হাতে পায়ে ধরে তার পক্ষে জনমত বৃদ্ধি করে নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার মত পরিবেশ তৈরী করে ফেলেছে। তাকে কোন ভাবেই ফেল করানো যাবেনা। এরপর জ্ঞানী ব্যক্তিদের পরামর্ষ। একে কিভাবে ফেল করানো যায়। একেক জনের একেক ধরনের মতামত। সবার মধ্য থেকে একজন বয়স্ক লোক দাঁড়িয়ে বলছে আমি ফেল করাতে পারব। সবাই তার দিকে তাকিয়ে কিভাবে পারা যাবে জানতে চাইল। বয়স্ক লোকটি বলল " তোমরা সকলেই আগামীকাল চা এর দোকানে বিকালবেলায় চা পান করতে এসো। ওখানেই বলব "। তো সবাই পরদিন বিকালবেলা চায়ের দোকানে চা পান করতে আসল কিন্তু বয়স্ক লোকটা তখনও আসেনি। সবাই উন্মুখ হয়ে আছে কিন্তু বয়স্ক লোকটা আসছেনা। হঠাৎ সবাই দেখে লোকটা আসতেছে। চিন্তায় পরে গেল সবাই । তারা বলতে লাগল একে মনে হয় আর ফেল করানো যাবে না। বয়স্ক লোকটা চা এর দোকানে ঢুকতেই কেউ বলছে দাদা দেরি হলো কেন আবার কেউ বলছে চাচা তোমার মনখারাপ কেন ইত্যাদি। বয়স্ক লোকটা চিৎকার দিয়ে বলছে " মাটিরে দুই ভাগ হ, আমি আর সইতে পারছিনা "। বয়স্ক লোকটার চিৎকারে বহু লোক জমায়েত হয়ে গেলো। এরপর আরো জোড়ে চিৎকার আরো অনেক লোক। কেউ বলছে দাদা তুমি কাঁদছ কেন, তোমার কি হলো আবার কেউ একবার বল কে কি বলেছে ইত্যাদি। বয়স্ক লোকটা চোখেরজল আর নাকের জল একটা করে বলছে " আমার কেন দেরি হলো জানিস? জানিস না। আমি রাস্তা দিয়ে আসার সময় ঐ কুলাঙ্গার মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে গন্ডগোল শুনে বাড়িতে গিয়ে দেখি এই কুলাঙ্গার মেম্বার প্রার্থী তার বৃদ্ধ বাবার শরীরে দাঁড়িয়ে প্রসাব করে দিয়েছে "। তারপর তো বুঝতেই পারছেন। এই শ্রেণির লোকেরা শুধু এটাই নয় বিবাহআসরেও কানকথা লাগায়। এমনকি অনেকের সুখের সংসারেও আগুন লাগাতেও দ্বিধাবোধ করেনা। এসব লোক গুলি দেখবেন বর যাত্রী দেখলে আস্তে আস্তে কাছে যাবে। যাওয়ার পর যার কথায় বিয়েটা ভাঙ্গবে ঠিক ঐ লোকটার সাথে বসবে।আলাপ করতে করতে একসময় বলবে " আপনারা এত ধনী, সম্মানী মানুষ, বিয়েটা ---! মনের ভিতর সন্দেহ ঢুকাবে। এরপর তো বুঝতেই পারছেন। আসল কথা শুনার জন্য যখন ব্যাকুল হয়ে পরবে বর যাত্রীর লোকজন তখন আস্তে করে বলে দিবে " সব দিক দিয়েই তো ভাল ছিল কিন্তু মেয়েটা বিছানায় প্রসাব করে দেয়, এই আর কী "। আবার ছেলেদের ক্ষেত্রে বলবে " রাজ পরিবার গো দাদা, এরা রাজ পরিবার, সবাই মাটির মানুষ, কিন্তু ছেলেটা একটু নেশা করে এই আর কী "। আপনারা কী বলেন বিয়ে হবে তো? আসলে এরা সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম প্রাণি। এদের লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই। এদের কারনে কতশত মেয়ে বা ছেলে বিনা দূষে দূষী হয়েছে ইয়ত্তা নেই।কত লোকের সোনার সংসার যে এরা ভেঙ্গেছে হিসাব করে শেষ করা যাবেনা।

আমাদের বংশেরবাতি এক দাদা উত্তরাধীকার সূত্রে বহু সম্পদের মালিক হয়েছিল। প্রায়শই দেখতাম সাবরেজিষ্ট্রি অফিস থেকে এসে আমার আপন দাদাকে নাম ধরে ডেকে ডেকে বলত " দেখেছিস বাবায় কী কল বানাইয়া থইয়া গেল রে টিপ দিলেই টাকা, টিপ দিলেই টাকা "। অর্থাৎ জমি বিক্রি করে কবলায় টিপসহি দিলেই টাকা পাওয়া যায়। এটা তার কাছে খুব আনন্দের ঘটনা ছিল। আনন্দের ঘটনা বললাম এ কারনে যে, জমিটা বিক্রি করেই একটা বিয়ে করত। বিয়ে করাটাই ছিল তার নেশা। তার কিছু চামচামি প্রকৃতির লোক ছিল যারা বিয়ে এবং জমি বিক্রয়ের ভুমিকা পালন করত। লাঠিয়ালও তারাই। এমনও শোনা যায় ----না! নিজেদের কথা অপরকে আর বলা যাবে না। তবে এইটুকু বলতে দ্বিধা নেই, শেষ পর্যন্ত লোকটার জমি বলতে কিছুই ছিলনা, তবে মৃত্যুর সময়েও চারটি বউ ছিল। বললাম এ কারনে যে, সমাজে একটা কথা চালু আছে " কোন শত্রু থাকলে বুদ্ধি খাটিয়ে তিনটি কাজের যেকোন একটি কাজ করে দিবেন। আর কিছুই আপনাকে করতে হবেনা। কাজ তিনটির একটি হলো একাধিক বিয়ে করিয়ে দেন না হলে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেন আর তাও যদি না হয় তবে তাকে জুয়া বা মামলায় জড়িয়ে দেন। দেখবেন লাঠালাঠি করতে হবে না এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে "। যারা দুই বউ এর মালিক দয়া করে রাগ করবেন না। আপনারাভাল আছেন ভাল থাকেন। তবে সমান সমান দেখতে পারেন তো? দুচোখা হলে কিন্তু দোযখ হবে ঠিকানা। আমার দাদার ক্ষেত্রে কিন্তু এই ঘটনাটাই ঘটেছিল। একটা তেজ দীপ্ত সিংহ কীভাবে একটা বিড়ালের আঘাতে ধূলার ধূলিতে মিশে যায় তা আমি আমার দাদার জীবদ্দশায় দেখেছি। আজ যারা চামচামি পচ্ছন্দ করেন তারা সাবধান থাকবেন। রাজনীতিতে যাবেন দেখবেন স্কুলের ছেলেরা সারাদিন নেতার পিছনে ঘুরছে আর ঘুরছে। কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কথা। কিন্তু রাজনীতিতে এদের কাজটা কী? দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। এক হরতালে মহাসড়কে গিয়ে দেখি হাতে খাতা কলমের পরবর্তে যে পড়ালেখার উপকরণ রীতিমতো অবাক হওয়ার মত ঘটনা। আমার মনে হয় যুবক এবং ছাত্র নিয়ে যে যে রাজনৈতিক দল কাজ করেন তাঁদের এসব যুবক এবং ছাত্রদের শিক্ষাগত যোগ্যতার জরীপ করা উচিৎ। আমি একটা জরিপ করে দেখেছি ৭০% এর উপরে আছে যারা এস.এস.সি পাশ করে নাই। তাহলে এটাও কি তিনধ্বংশের সাথে আরেকটা যোগ হয়ে চার এ উন্নিত হলো কিনা। ভেবে দেখা উচিৎ। এরা একসময় দেশের বোঝা হবে নাতো! আবার একজন আমাকে বলল স্যার আপনি জানেন নাকি এদের কী পরিমান টাকা? এটা তো আমার জানা নেই। তবে টাকাকড়ি তো ক্ষনস্থায়ী। তার চেয়ে ওয়ারীশ বিহিন সার্টিফিকেট অর্জন করে স্থায়ী সম্পদ চাকুরী করে বা আত্বনির্ভরশীল হয়ে দেশের সম্পদে পরিনত হওয়া কী উত্তম না! রাজনীতি তো দেশকে সমবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই। এদের কাটছাঁট করে সুস্থধারার রাজনীতিতে ফিরে আসা উচিৎ। অনেকে বলেন এই কমল মতি ছাত্রদের দিয়ে উপর তলার রাজনীতিবিদগন জমি দখল, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র ও দখল করিয়ে থাকেন। আবার মিছিল, হরতাল এদের ছাড়া হবে না। আমার মনে হয় এদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের। কেমন জানি শালীনতা বোধটাও উঠে যাচ্ছে। একটু লক্ষ্য করে দেখবেন একজন জুনিয়র নেতা যে কারো সম্পর্কে অশালীন ভাষা ব্যবহার করতেও মুখে বাজছেনা।

মোবাইল ফোন
যক্তরাষ্ট্রে অধিবাসী মার্টিনকুপার ১৯৮৩ সালে মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পরপর -সম্ববত১৯৯২ বা ১৯৯৩ সালেহানিফ সংকেত এর ইত্যাদি অনুষ্ঠানে দেখলামএ্যান্টিনা যুক্ত বড় একটা সেট নিয়ে ভিক্ষুক কোথায় দাওয়াত বা কোথায় টাকা বিতরন হচ্ছেতার খোজ খবর নিতে। আবার এও দেখলামএক ব্যাক্তি ঘবঃ এর জন্য গাছের মাথায় চড়েকথা বলার চেষ্টা করছে। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে মোবাইল ফোন পৌছে যায় ঘরে ঘরে। আরএখন তো জনে জনে। এরপর যখন Internet মোবাইলে সংযোজিত হলো তখন থেকে তো এরপরিধি মহাসমুদ্রের অবস্হায় দাড়াল।

২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক জুকারবার্গ যখন ঋধপবনড়ড়শ আবিষ্কার করলেন তখন তো দুনিয়াহাতের মুঠোয় চলে আসল। ৩এ, ৪এ এর কথা তো বলার অবকাশই নাই। কিন্তু আজ মোবাইলফোন কার হাতে? কে কি করছে? তা আমরা কতজনে জানি? প্রথমেই আমি শিক্ষার্থীদের কথা বলি। যে শিক্ষার্থী স্কুলের পর খেলারমাঠে থাকার কথা সে কি করছে? যে শিক্ষার্থী পড়ার অবসরে বিভিন্ন লেখকের বই পড়ার কথাসে কি করছে? স্কুল ফাকি দিয়ে বা সন্ধ্যার পররাস্তার মোড়ে বা মাঠে একসাথে ৫/৬ জন একসাথে বসে মোবাইল ফোনে কি করছে? অনেক অভিভাবক সাধ্যের বাইরেও মোবাইলফোন কিনে দিতে হচ্ছে কেন? ডাক্তারী ভাষায়মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষন তাকিয়ে থাকা বা একাগ্রচিত্তে মোবাইল ফোনে কোনকিছু দেখাকতটুকু ক্ষতি তা ডাক্তারগনই বলতে পারবেন।তবে আমি মনে করি ক্ষতির পরিমানটা অনেকবেশী। বর্তমানে খেয়াল করে দেখবেন অনেকছেলেমেয়ের চোখে চশমা। প্রথমে ভেবেছিলামএটাও মনে হয় বর্তমানের ংঃুষব.কিন্তু অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম এটা চোখের সমস্যা। মোটা হওয়ার দিকটাও দেখতে বলছি। মাঠে খেলার চেয়ে Tvতে মোবাইলে আগ্রহী। তাহলে ভবিষৎ বংশধর কি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে?

সুস্থতা বা অসুস্থতার বিষয় যদি বাদ দেই আশি বছর বয়স থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত টানি। এখানেদেখব শিশুকাল, কৈশর, বয়: সন্দ্ধি, যৌবনকাল প্রায় জীবনের সব গুরুত্বপূর্ন সময় এ বয়সেরমধ্যেই সীমাবদ্ধ। আবার এ বয়স পর্যন্ত একটিমানুষের হাড়, দেহ, বুদ্ধি, বিবেক এসবেরও বিকাশ ঘটে। কোন কারনে যদি এর ভিতরে কোনএক সময় তার মন বা আবেগ অন্যদিকে অর্থাৎখারাপ দিকে মোড় নেয়। তখন গাড়ি লাইনচ্যুতহওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তারচেয়ে যদিএমন হয় যে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ ম শ্রেণি পর্যন্ত Student's Mobail  যাহা মোবাইলের উপরে IDহিসেবে লেখা থাকবে। সরকার নির্ধারিত সফটওয়ার ছাড়া মোবাইল কোম্পানি গুলো কোন Programs সেট করতে পারবেনা। আমার মনেহয় মোবাইল কোম্পানির লোভনীয় অফার গুলির প্রতি সরকার বাহাদুরের এখনই দৃষ্টি দেওয়া উচিত। লাগাম টেনে ধরা উচিত। মোবাইল সেট যত্রতত্র বিক্রি বন্ধ করা উচিত।Internet or facebook এ কুরুচিপূর্ন ছবি Download না করা উচিত। এ ব্যাপারেসরকারী নির্দেশনা থাকা উচিত। এখানে আমি আমার সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছি।কাউকে হেয় বা ছোট করা উদ্দেশ্য নয়। চলবে......
*আর কত দূর.........? পর্ব -০১
লেখক
মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক তালুকদার
প্রধান শিক্ষক
গোয়ারী ভাওয়ালিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়
ভালুকা, ময়মনসিংহ।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই