তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ইলেক্ট্রনিক ত্রুটি,পরীক্ষকের দায়িত্বহীনতায় শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ

পরীক্ষার ফলাফল শেষে উত্তর পত্র ফেরত প্রদানের দাবী
ইলেক্ট্রনিক ত্রুটি,পরীক্ষকের দায়িত্বহীনতায় শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৩ জানুয়ারী]
প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পিএসসি/জেএসসি/জেডিসি, এসএসসি/দাখিল ও এইচএসসি/আলিম পরীক্ষার ফলাফল শেষে পরীক্ষার উত্তর পত্র পরীক্ষার্থীদেরকে ফেরত প্রদানের দাবী করেছে পরীক্ষার্থী ও বিজ্ঞ অভিভাবক মহল।

একাধিক সূত্রে জানাযায় যে, পরীক্ষার ফলাফল অনলাইন প্রযুক্তি মাধ্যম ফলাফল প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী শিকার হচ্ছে পরীক্ষার্থীবৃন্দ। শুধু তাই নয় আশানুরূপ ফলাফলের ভিন্ন মাত্রা হওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করতে দেখা গেছে এবং অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে বলে জানাযায়। গোল্ডেন এ প্লাস আশাবাদী ছাত্র রেজাল্টে জিপিএ- এফ পাইতে দেখা গেছে। এদিকে অভিজ্ঞ অভিভাবক মহল নানান চিন্তায় পড়ে যায়। অভিভাবকরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করে তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা লাভ করার জন্য সুফল আশা করে ব্যর্থ হয় শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষের অবহেলা কারনে। পরীক্ষা ফলাফল খারাপ হলে ছাত্রছাত্রীরা পুনঃনিরক্ষনের জন্য চ্যালেঞ্জ করে থাকেন এবং দেখাযায় যে সেই ছাত্র উক্ত বিষয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে।

বিভিন্ন জাতীয় পত্র পত্রিকা সূত্রে জানাযায় যে, পরীক্ষার উত্তর পত্র দেখার পরীক্ষকগণ নিজস্ব ব্যস্ততায় তাদের স্কুল-কলেজ পড়–য়া সন্তানদের মাধ্যমে পরীক্ষার উত্তর পত্র দেখিয়ে থাকেন যাহা শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম বহিভূর্ত। এমনকি নিজের কর্মব্যস্ততার মাঝে নির্ভূল সচেতনতাভাবে উত্তর পত্র না দেখে মনগড়া মার্ক দিয়ে থাকেন এবং উত্তর পত্র হারিয়েও ফেলেন এরকম তথ্য পাওয়া যায়। যদি এরকম দায়িত্বহীনতা অবহেলায় পরীক্ষকগণ উত্তর পত্র যেখানে-সেখানে নিজ সুবিধায় দেখে থাকেন তাহলেতো সোনার বাংলায় সোনার ছেলে গড়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

উন্নতশীল দেশগুলোতে পরীক্ষা ফলাফল শেষে উত্তরপত্র ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ফেরত প্রদান করে বিধায় ছাত্রছাত্রীরা তাদের উত্তর পত্র দেখে তার ত্রুটিগুলো নিজেরাই বুঝে উঠতে পারে। ভবিষ্যত সুন্দর প্রজন্মে ও শিক্ষা মান উন্নত হওয়ার জন্য যথানিয়মে উত্তরপত্র পরীক্ষন, উত্তরপত্র সংরক্ষন করে ফলাফল শেষে উত্তর পত্র পরীক্ষার্থীদের মাঝে ফেরত প্রদানের জন্য  প্রতিটি শিক্ষাবোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আবেদন জানাচ্ছে পরীক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ অভিভাবক মহল সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

অপরদিকে চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র আউট হয়ে যাওয়া বিষয়টি যেন খূব স্বাভাবিক। এতে করে এক শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়াশোনায় মন মানসিকতা তৈরী না করে প্রশ্ন আউটের আশায় বুক বাধে। কিছু অসাধু কোচিং বাণিজ্য ও সরকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাও জড়িত বলে পত্র-পত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছিল। প্রশ্ন পত্র ফাঁেসর বিষয়টি যদি গুরুত্ব সহকারে কর্তৃপক্ষ নজরদারীর মাধ্যমে দেখা হয় তবে প্রকৃত মেধাবী ছাত্র গড়ে উঠবে। সুশিক্ষিত হবে সোনার বাংলার তরুন প্রজন্মরা। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই