তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আত্নীয়স্বজনরা দেখা করছেন নুর হোসেন-তারেক সাঈদের সাথে

আত্নীয়স্বজনরা দেখা করছেন নুর হোসেন-তারেক সাঈদের সাথে
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জানুয়ারী]
নারায়নগঞ্জের সাত খুন মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে চিন্তিত এবং বিমর্ষ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দন্ডপ্রাপ্তরা। কখনো বসে, কখনো পায়চারি বা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে তারা বেশীর ভাগ সময় পার করেছেন। চোখে মুখে রয়েছে হতাশার কালো ছাপ।সোমবার রায় ঘোষণার দিন বিকেলে তাদেরকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সাধারণ পোশাক খুলে কয়েদীর পোশাক পরানো হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ফাঁসির কনডেম সেলে আছেন র‌্যাব-১১এর সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লে. কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সিদ্দিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, ল্যান্স নায়েক (বরখাস্ত) বেলাল  হোসেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি আছেন র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার (বরখাস্ত) মেজর আরিফ হোসেন এবং (বরখাস্ত) লে. কমান্ডার মাসুদ রানা। কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর জেলার নাশির আহমেদ জানান, নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিকে কারাগারে পৌঁছানোর পরপরই সাদা-লাল ডোরা কাটা কয়েদীর  পোশাক পরিয়ে ফাঁসির সেলে পাঠানো হয়। স্বাভাবিক কারণেই তাদেরকে মঙ্গল ও বুধবার বিষন্ন দেখা গেছে। কারাবিধি অনুযায়ী দিনে কয়েকদফা তাদের খোজঁখবর নেয়া হচ্ছে।

কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি ফাঁসির কনডেম সেলে বিষন্ন ও চিন্তিত অবস্থায় রয়েছেন। চোখে মুখে রয়েছে হতাশার কালো ছাপ। তবে তারা কারাবিধি অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে খাবার খাচ্ছেন। কারাগারের চিকিৎসক নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানিয়েছেন তারা সুস্থ আছেন। রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্তদের সাথে স্বজনদের কেউ কেউ সাক্ষাত করেছেন। বুধবার মেজর আরিফের স্বজনেরা সাক্ষাত করেছেন।

ফাঁসির ন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার আগে তারা কারাগারে ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দির মর্যাদা ভোগ করতেন। কারাবিধ অনুযায়ী সেলে খাট, মশারী, পড়ার টেবিল, সেবক ও পছন্দ অনুযায়ী খাবার পেতেন। এখন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় কনডেম সেলে শুধু কম্বল ও বালিশ সরবরাহ করা হয়েছে। খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে কয়েদীদের সাধারণ খাবার।

এর আগে নারায়নগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ২৬ আসামির মধ্যে ৫ জনকে সোমবার বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ তে নেয়া হয়। এদিন সকালে তাদের এ করাগার থেকে নারায়নগঞ্জের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ফাঁসির দন্ড নিয়ে তারা এ কারাগারে ফিরে আসেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ডুবিয়ে দেওয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে। প্রথমে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের গজারি বনে নজরুল ইসলামের প্রাইভেটকার উদ্ধার হয়। পরে নদী থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ লাশ।

নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সোমবার এ মামলার রায়ে ৩৫ আসামীর মধ্যে ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড ও নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন। আসামীদের মধ্যে ১২ জন এখনো পলাতক রয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই