তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

একুশ পরিণত হয়েছে মর্যাদার প্রতীকে - ন্যাপ

একুশ পরিণত হয়েছে মর্যাদার প্রতীকে - ন্যাপ
[ভালুকা ডট কম : ২০ ফেব্রুয়ারী]
‌রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি। জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহঙ্কারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর এই দিন অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় এই দিনটি আজ শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙালি জাতি যে ইতিহাস রচনা করেছিল, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব তাকে বরণ করেছে সুগভীর শ্রদ্ধায়।

সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় বলেছেন, বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে সেদিন বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, সফিউর সহ নাম অজানা অসংখ্য ভাষাশহীদ। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি। সেদিন তাঁদের রক্তে আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা পেয়েছিল রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। শুধু তা-ই নয়, সমগ্র বিশ্বের সকল ভাষার মর্যাদার প্রশ্নটিরও ফায়সালা হয়ে গেছে সেদিন। একুশের পথ ধরেই এসেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

নেতৃদ্বয় বলেন, দিনটি কোনো ভাষাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা দেওয়ার তাগিদ দেয়। আর মহান একুশের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্যদিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। যার কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি মানবিক চেতনায় পুষ্ট সব বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মহান একুশে অনন্য মহিমায় সমুজ্জ্বল হয়ে আছে বাঙালি জাতির মননের গভীরে।

তারা বলেন, সংগ্রাম, সাধনা এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে ভাষাশহীদরা নির্মাণ করে গেছেন এক আলোকিত পথ, যে পথ ধরে আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছে বাঙালি জাতির বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার দিন এই একুশে ফেব্রুয়ারি তথা মহান শহীদ দিবস আমাদের জাতীয় ইতিহাসের পাতায় বাঙালিকে আপোষহীন প্রতিবাদী জাতি হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে। জাতীয় ইতিহাসের এই দিনটি একদিকে স্মরণের অন্যদিকে উজ্জীবিত হবার।

নেতৃদ্বয় বলেন, মহান একুশের ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে দীক্ষা দিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা না নোয়াবার। শিখিয়েছে অধিকার আদায়ে অকুতোভয় হবার। তাই একুশে ফেব্রুয়ারিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বীজভূমি বলা হয়। মূলত বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারিই বাঙালি জাতিকে তার ন্যায্য অধিকার আদায়ে সংগ্রামী পথ বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করে। আর বায়ান্নের এপ্রিলে এসে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করলে সংগ্রামের পথে দাবি আদায়ের ব্যাপারে বাঙালি জাতি আরো আস্থাশীল হয়ে উঠে। শেষ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে বীজ উপ্ত হয়েছিল তা পর্যায়ক্রমিকভাবে ব্যাপ্ত হয়ে একাত্তরে এক বিরাট মহীরুহে পরিণত হয়।

তারা বলেন, অতপর ৩০ লাখ শহীদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে আপন মহিমায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় তিন দশকের শেষ দিকে এসে ভাষা-শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বস্বীকৃতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর কেবল বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অমর একুশে এখন সারাবিশ্বের সকল ভাষার জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা দিবস রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পরিণত হয়েছে মর্যাদার প্রতীকে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই