তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তারাকান্দায় শিশুদের তৈরি শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন ১০গ্রামের মানুষ

তারাকান্দায় শিশুদের তৈরি শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন ১০গ্রামের মানুষ
[ভালুকা ডট কম : ২০ ফেব্রুয়ারী]
১৯৫২’র পর এই প্রথম নিজ গ্রামে শহিদ মিনার দেখলেন সহস্রাধিক মানুষ। প্রভাতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালনে ১০গ্রামের মানুষ, স্কুল-মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যাঁরা কাজ করছে ওদের কারো বয়স ১০ কোটায় পৌঁছেনি। কেউ গর্ত করছে, কেউ মাটি তুলছে, কারো হাতে বাশঁ ও কাঠ চলছে শহিদ মিনার তৈরির প্রস্তুতি। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি/১৭) এ দৃর্শ্য দেখা গেলো ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার সাধুপাড়া গ্রামে। শিশুদের এ কাজে উৎসাহ যোগাতে গ্রামবাসীও যোগ দিয়েছেন।

শহিদ মিনারটি তৈরি হচ্ছে ‘এম আর শিক্ষা সংবাদ বিদ্যালয়’ এর সামনে। এ বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পামাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন জানান এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক আহাম্মেদ।

তারাকান্দা উপজেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-দক্ষিণে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের ঘা ঘেঁষা সাধুপাড়া গ্রাম। শিশু শিক্ষার্থীদের কলবর শোনেই বুঝা যাচ্ছিলো কতটা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে তারা শহিদ মিনার নির্মাণের কাজে ব্যস্ত। তবে কচি হাতের কাজ আর কতদূর এগোয়। শিশুদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া ও আক্কাস আলী বলেন, এটি এ গ্রামে প্রথম অমর একুশে উদযাপন।

স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাধুপাড়া গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি লোকের বসবাস। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ৬৫ বছর পার হয়ে গেলেও এই গ্রামে এখন পর্যন্ত কোনো শহিদ মিনার নির্মিত হয়নি। তাই বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে তাদের দেড় কিলোমিটার দূরে কাশিগঞ্জ বাজারে নির্মিত শহিদ মিনারে যেতে হতো। এছাড়াও এই গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো না।  চলতি বছরের ১৮ই জানুয়ারি এই গ্রামের এক প্রতিবন্ধী যুবক ফারুক আহাম্মেদ পড়াশোনায় স্নাতকোত্তর শেষ করে ‘এম আর শিক্ষা সংবাদ বিদ্যালয়’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহাম্মেদ বলেন, স্কুলে পাঠদান করানোর সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাষা আন্দোলন ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর তাদের মধ্যে শহিদ মিনার নির্মাণ করার আগ্রহ জেগে উঠে। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্কুল শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে নিজেদের নির্মিত শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো এতেই আমারা অনেক খুশি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই