তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সম্মান আর ভালবাসা চাই,সমান অধিকার বা স্বাধীনতার নামে ভোগ নয়

আজ ৮ মার্চ, বিশ্ব নারী দিবস
সম্মান আর ভালবাসা চাই,সমান অধিকার বা স্বাধীনতার নামে ভোগ নয়
[ভালুকা ডট কম : ০৮ মার্চ]
একজন নারী যখন মা,সন্তান তাকে হাজারবার পা ছুয়ে সালাম আর শ্রদ্ধা জানায়।একজন নারী যখন বোন,ভাই তাকে আদর করে, মাথায় তুলে সব বায়না পূরণ করার চেষ্টা করে।একজন নারী যখন স্ত্রী,স্বামী তাকে জীবনের সবটুকু ভালবাসা উজাড় করে বিলিয়ে দেয়।

আমরা এভাবেই জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে নারীদেরকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখতে চাই। পরিবারে বা সমাজে তাদেরকে এভাবেই সম্মান দেখাতে চাই। তারা বড় হবে, পরিবার বা সমাজে থাকবে, গড়ে উঠবে সবার আদর, সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়। তারা সমাজের অন্যান্যদের মতো সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে শিখবে, জানবে, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, তাদের জ্ঞান আর মেধা দিয়ে পরিবার, সমাজ, দেশ তথা পৃথিবীটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্ঞান আহরণ করবে এবং সাথে সাথে নিজেদের অর্জিত জ্ঞানকে নিজের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে আশেপাশের পরিবেশটাকে সুন্দর ও সাবলীল করে তুলবে।কিন্তু এ পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা নারীদের সরলতা আর কোমলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে আজ চরম অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে আজ তারা নারীদেরকে রাস্তায় নামিয়ে আনছে। কিন্তু সমান অধিকার আর স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা রাস্তায় আনছেন বা আনার চেষ্টা করছেন আসলে তাদের চেহারা ইতিমধ্যে সবার সামনে উন্মোচন বা খোলাশা হয়ে গেছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য অন্য জায়গায়। এ রকম ঘটনা আমরা অনেকবার অনেক জায়গায় দেখেছি বা এর সত্যতা সবারই জানা।

তবে আমি বলবো, - যখন কেউ অন্য কারো বোনকে নিয়ে খারাপ কিছু ভাবে তখন সে কি ভাবেনা যে তার নিজের বোনের ক্ষেত্রে এমন কেউ করলে তার কেমন লাগবে......।- যখন কেউ অন্য কারো স্ত্রীকে নিয়ে ফষ্টিনষ্টি করার চিন্তা করে তখন সে কি ভাবেনা যে তার নিজের স্ত্রীর বেলায় এমন ঘটনা ঘটলে কেমন লাগবে......। - যখন কেউ অন্য কারো মাকে অসম্মান বা কষ্ট দেয় তখন সে কি ভাবেনা যে তার নিজের মাকে এভাবে কেউ কষ্ট দিলে বা অস্মমান করলে কেমন লাগবে......।

প্রকৃত সত্য এটাই যে, কারো নিজের মা, বোন বা স্ত্রী কে নিয়ে অন্য কেউ খারাপ মন্তব্য করলে নিজেদের মাথায় রক্ত উঠে যায়। তবে কেন অন্যদের মা, বোন বা স্ত্রীদের বেলায় এত অবহেলা?? কেন তাদেরকে স্বাধীনতা আর সমান অধিকারের নাম দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে এনে খারাপ উদ্দেশ্য হাসিল করার অপচেষ্টা?? রাস্তাঘাট, অফিস আদালতে বা বাইরে কেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে এত উদ্ধিগ্ন থাকতে হয়?? কেন তাদের স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন সময় লাঞ্চিত আর অপমানিত হতে হয়?? আসুন সবাই আমরা নিজে নিজেকেই প্রশ্ন করি।একজন নারী ছোটবেলায় তার লেখাপড়ার সাথে সাথে পরিবারের অনেক কাজে সহযোগিতা করে, বিয়ের পর স্বামীর সংসার ও তার শ্বশুর শাশুড়ির দেখাশুনা করে, অনেকেই চাকরী বা অফিস আদালতে অনেক পরিশ্রম করে, দশ মাস (বা কম বেশি) অসহ্য কষ্টের পর অসম্ভব কষ্টের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করে আর সেই সন্তানকে দিনেদিনে কথা বলা, হাঁটাচলা শেখায়, তিলেতিলে মানুষ করে, এভাবে আরও কত কি...।

এসব বিষয় বিবেচনা করলে বা মাথায় রাখলে কি কোন সভ্য মানুষ কোন নারীকে অপমান বা লাঞ্চিত করতে পারে?? নারীরা তো এমনিতেই সম্মান পাবে। সব সময় মানুষ নারীদেরকে তো এমনিতেই শ্রদ্ধা আর সম্মান দেখিয়ে যাবে। তারা তো এমনিতেই অনেক সম্মান আর শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিকার রাখে। তাহলে কিসের স্বাধীনতা আর সমান অধিকারের আন্দোলনের নামে মিথ্যা অভিনয়?এজন্য আমি বলবো, পুরুষরা পুরুষদের, নারীরা নারীদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকেই সবাই সম্মান পেতে পারে। পুরুষের সমান নয়, নারীরা বরং অনেক ক্ষেত্রে বেশিই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।তাই সকল নারীর প্রত্যাশা এটাই হওয়া উচিত যে, সম্মান আর ভালবাসা চাই, সমান অধিকার বা স্বাধীনতার নামে ভোগ নয়............।

বার্তা প্রেরক,লেখক
মোঃ আশরাফুল আলম
পি এইচ ডি গবেষক
মরিওকা, জাপান।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই