তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় কিশোরীকে দুইদিন আটকে রেখে সালিশে দুই লাখ টাকায় রফা

ভালুকায় কিশোরীকে দুইদিন আটকে রেখে সালিশে দুই লাখ টাকায় রফা
[ভালুকা ডট কম : ২৩ এপ্রিল]
ভালুকায় এক বখাটে কর্তৃক নবম শ্রেণৗর এক মাদরাসা ছাত্রীকে দুইদিন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে সামাজিক সালিশে দুই লাখ টাকায় রফার পর ছেলে পক্ষ মেয়েকে উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে এলাকাবাসি জানান। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সজনগাঁও গ্রামে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার রাজৈ টানপাড়ার সিয়াজ উদ্দিনের বখাটে ছেলে রুমান (১৮) গত ১৯ এপ্রিল ওই গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে সজনগাঁও দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী (**) মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কৌশলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। দুইদিন বহু খোঁজাখুজির পর পরিবারের লোকজন জানতে পারে প্রতিবেশি রুমান তাকে কৌশলে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। বিষয়টি ছেলের পরিবারের কাছে জানানোর পর গত শুক্রবার রাতে ছেলের চাচা হারিছ উদ্দিনের বাড়িতে স্থানীয় হাফিজ মাস্টার, জুলহাস মাস্টার, শামছুল হক ও রুহুল আমিনসহ ৪০/৪৫ জনের উপস্থিতিতে সামাজিক সালিশ বসে। সালিশে মেয়েকে তার অভিভাবক নিয়ে যাবে কোন শর্ত ছাড়া এবং এই জন্য মেয়ের বাবাকে দুই লাখ টাকা দেয়া হবে। শর্তে রাজি হওয়ায় ওই রাতেই বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে ছেলের অপর চাচা মিয়াজ উদ্দিন মেয়েকে উদ্ধার করে মেয়ের মামা খোকন মিয়ার হাতে তুলে দেন।

প্রতিবেশি বাবুল মিয়া জানান, মেয়েকে দুইদিন আটকে রাখার পরও সামাজিক চাপের কারণে মেয়ের অভিভাবক আইনি সাহায্য নিতে পারেনি। অবশেষে সামাজিক সালিশে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তাই মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। দুই লাখ টাকা আপষ হলেও মেয়ের অভিভাবককে এক লাখ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয় এবং বাকি ৯০ হাজার টাকা সালিশে খরজ করা হয়। তবে এ ব্যাপারে মেয়ে ও ছেলে পক্ষের সাথে বহু চেষ্টা করেও তাদের কোন মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় মেম্বার মো: আব্দুল হামিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত উভয় পরিবারকে অপেক্ষা কারার সিদ্ধান্ত হয়।  কিন্তু পরে শুনেছি, আদালতে এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।  

মাদরাসার সুপার মাওলানা শহিদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই মেয়েটা আমার মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সালিশে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে শুনেছি, মেয়েকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: হযরত আলী জানান, ঘটনাটি জানার পর এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই