তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ /১৭ 'শিশুর জীবন রক্ষায় কাজ করে টিকা'

বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ /১৭ 'শিশুর জীবন রক্ষায় কাজ করে টিকা'
[ভালুকা ডট কম : ২৫ এপ্রিল]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৬৫তম সম্মেলন সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ (২৪-৩০শে এপ্রিল) সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও  ২৪শে এপ্রিল সোমবার থেকে এই বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালন করছে। জনগণের সচেতনতা, টিকা গ্রহণের প্রতি সব বয়সের মানুষের আগ্রহ ও টিকাদান কভারেজের বৃদ্ধির লক্ষে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। এবারের টিকাদান সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'শিশুর জীবন রক্ষায় কাজ করে টিকা'।

টিকাদান লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচায়। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যত কর্মকাণ্ড আছে তার মধ্যে টিকাদানই হচ্ছে সবচেয়ে সফল ও আর্থিক সাশ্রয়ী কর্মসূচী। এখনও সারা বিশ্বে ১৯.৪ মিলিয়ন শিশু টিকাদানের আওতার বাইরে। এদের কিছু সংখ্যক শিশু আংশিক ডোজ টিকা নিয়েছে এবং বাকিরা একেবারেই কোন টিকা গ্রহণ করেনি। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহে মাঠকর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে যেসব শিশু নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচী থেকে বাদ পড়েছে তাদের তালিকা তৈরি করবেন। টিকাদান সপ্তাহে বিশেষ কোন টিকা দেওয়া হবেনা। বাদ পড়া শিশুকে নিকটস্থ টিকা কেন্দ্রে টিকাদান করা হবে।

গত ২০১৫ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহনের হার ছিল নিরানব্বই শতাংশ। আর ১৯৮৫ সালে এর হার ছিল খুবই কম, শুধুমাত্র দেশের বড়বড় হাসপাতালেই টিকা দেওয়া হত যা মাত্র দুই শতাংশ।  সরকারি হিসেবে, একবছর পূর্ণ হওয়ার আগে নিয়মমাফিক সবগুলো টিকা নেয়া শিশুদের হার বর্তমানে ৮৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে এমন চিত্র। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ই.পি.আই) এর টিকাদানের এই উচ্চ হার ব্যাপক ভাবে সমাদৃত ও সর্বজন স্বীকৃত। ই.পি.আই এর ব্যাপক সফলতার মধ্যে ২০০৬-২০১৪ সাল পর্যন্ত পোলিও মুক্ত বজায়ে রেখে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত সনদ অর্জন,  ২০০৮ সালে মা ও শিশুর ধনুষ্টংকার দূরিকরণে লক্ষমাত্রা অর্জন। এই সাফল্যের ফলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে। নিয়মিত টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশ পেয়েছে ‘গ্যাভি বেস্ট পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৭৯ সালের ৭ই এপ্রিল ছয়টি রোগের প্রতিষেধক যথাক্রমে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, পলিও, যক্ষা ও হামের টিকাদান শুরু হয়। সরকারে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সার্বিক সহযোগীতা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশে টিকাদানে বিরাট সফলতা আসে। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে  হেপাটাইটিস, নিউমোনিয়া ও রুবেলার নতুন টিকা যোগ হয়েছে। সরকারের ২০১৮ সালের মধ্যে শিশুদের ডায়ারায়িয়া রোধে রোটা ভাইরাসের টিকা ও মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার রোধে  হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাসের (H.P.V) টিকা কর্মসূচীতে যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর (ই.পি.আই) আওতায় সকল শিশুর পূর্ন টিকা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে 'বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহে' আপনার শিশুর টিকা বাদ পড়ে থাকলে এ সময়ের মধ্যে কাছের কোন টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দিন, কারন "টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়।"



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নারী ও শিশু বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই