তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় প্রশংসাপত্রের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ভালুকায় এসএসসি’র প্রশংসাপত্রের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ 
[ভালুকা ডট কম : ২২ জুন]
ভালুকা উপজেলার সর্বত্রই এসএসসি পাশের প্রশংসাপত্রের নামে বিনা রশিদে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি প্রশংসাপত্রের বিনিময়ে অনৈতিক ভাবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিভাবকগন জানান।

শুধু ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে এসএসসিতে উত্তীর্ণ ২৫৩ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা হারে ৭৫ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাহলে এ বছর উপজেলার ৪৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই হাজার ৬৪০ জনের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা হিসেবে ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলার সর্বত্রই এসএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের নামে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিনা রশিদে অনৈক ভাবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভালুকার একমাত্র সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তাদের পাসকৃত ৮৬ জনের কাছ থেকে ২০০ টাকা হারে বিনা রশিদে ১৭ হাজার ২০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে এসএসসিতে উত্তীর্ণ ২৫৩ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা হারে ৭৫ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, হালিমুন্নেছা চৌধুরানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তাদের ১০৫ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা হারে ২১ হাজার টাকা, হবিরবাড়ি ইউনিয়ন সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ১৭৩ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নিয়েছেন ২০০ টাকা হারে ৩৪ হাজার ৬০০ টাকা এবং ধলিয়া বহুলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নিয়েছেন তাদের ৪৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা হারে ৯ হাজার ২০০ টাকা। এই হারে উপজেলার ৪৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই হাজার ৬৪০ জনের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে বিনা রশিদে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা হিসেবে ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

সরেজমিন মঙ্গলবার দুপুরে ভালুকা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দাঁড়িয়ে আছেন, প্রধান শিক্ষক বসে আছেন এবং পাশে বিজ্ঞান শিক্ষক আব্দুল্যাহ হিল বাকী শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে রেখে প্রশংসাপত্র বিতরণ করছেন। এ সময় প্রধান শিক্ষকের সামনে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে সে জানায়, ২০০ টাকা করে দেয়ার পর আমাদেরকে প্রশংসাপত্র প্রদান করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভালুকা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় আমি নির্দেশ দিয়েছিলাম এ বছরও প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়ার জন্য। কিন্তু আমার কথা না শুনে কেন ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে তা আমার জানা নেই। তবে, বিষয়টি আমি দেখছি এবং অতিরিক্ত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: চাঁন মিয়া জানান, প্রশংসাপত্রের নামে টাকা নেয়া কোন মতেই ঠিক নয়। যদি নিয়ে থাকে তবে দায় দায়িত্ব তাদেরই।

উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন খান জানান, এটা মোটেও ঠিক না, যদি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় তবে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।#

  



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই