তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়-সিইসি

সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়-সিইসি
[ভালুকা ডট কম : ১৭ আগষ্ট]
সব দলকে নির্বাচনে আনতে মধ্যস্থতাকারী হবে না নির্বাচন কমিশন, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। তাই এ উদ্যোগ নেয়া হবে না।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে সিইসি এসব কথা বলেন। এদিন টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন গণমাধ্যমের ৩৪ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

নুরুল হুদা জানান, তারা তাদের নেয়া শপথ দৃঢ়ভাবে পালন করবেন। যত চাপ আসুক, নতি স্বীকার করবেন না।নির্বাচন কমিশন শুধু সংলাপের আয়োজন করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরা যে ডায়ালগ করব পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে, সেটাও শুধু ডায়ালগ। তাদের কথা শুনব আর আমাদের কথা তারা শুনবে। এ নিয়ে ওই কে আসবে, না আসবে এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ইস্যু থাকবে না।

নির্বাচনকালীন পরিস্থিতির ওপর সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নির্ভর করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কে চাইবে না চাইবে, তার ওপর নির্ভর হবে না। আমরা পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে যদি মনে করি, তাহলে সেনাবাহিনী আসবে এবং যদি দরকার মনে না করি, সেনাবাহিনী আসবে না। সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।

নির্বাচনের সময় কী ধরনের সরকার থাকবে, তা নিয়ে কমিশনের কোনও ভূমিকা নেই বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, ইসি একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান। সরকার যে নির্বাচন পদ্ধতি ঠিক করে দেয়, সেভাবেই আমাদের ভোট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। এক সময় হ্যাঁ বা না ভোট ছিল। সেই সময়কার কমিশন সেই ভোট করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে পদ্ধতি ছিল তারা সেটাই করেছে। কাজেই সবকিছু নির্ভর করে সরকার কোন ধরনের পরিবেশ ঠিক করে দেয়। এখন এই সরকারের অধীনে যে অবস্থা আছে, সেভাবে নির্বাচন করতে হলে আমরা সেটি করব। আর যদি সরকার পরিবর্তন করে তাহলে সেইভাবে হবে। কাজেই নির্বাচনের সময় কোন ধরনের সরকার থাকবে, সে ব্যাপারে কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়।

সংলাপ শেষে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, জনগণ কী রকম নির্বাচন চায়, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কী কী করা দরকার এ বিষয়গুলো কমিশন জানতে চেয়েছেন। আমরা মূলত যেটা বলেছি যে, সাংবাদিকরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের সংবাদ প্রচারের জন্য কী কী করা যায়।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ঘোর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের এখনও দেড় বছর বাকি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী লাগবে নাকি আনসার বাহিনী দিয়েই হবে, তা আমরা এখনও জানি না। এত আগে সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গ তুলে ধরার মধ্যে কোনও মতলব আছে কিনা আমাদের ভাবতে হবে।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই