তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গেজেট হলেও চালু হয়নি হালুয়াঘাটের পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর

গেজেট হলেও চালু হয়নি হালুয়াঘাটের পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর
[ভালুকা ডট কম : ১৮ আগষ্ট]
গারো পাহাড়ের বিদেশী উপত্যকা যেখানে শুরু সেখানে কাটা তারের বেড়া। কিন্তু ঐ কন্টক প্রাচীর আটকানো পাহাড়ী সৌন্দর্যের ছায়া। গারো পাহাড় পাদদেশের নাম হালুয়াঘাট। সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে দুটি স্থলবন্দর। একটি গোবড়াকুড়া অন্যটি কড়ইতলী। এ দুটি স্থলবন্দরকে একীভূত করে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে উন্নীত করতে গেজেট প্রকাশ হলেও এখনো চলছে সম্ভাবনা যাচাইয়ের কাজ।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে মাত্র ১৭৫ কিলোমিটার দূরে কড়ইতলী ও গোবড়াকুড়া স্থলবন্দর। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ট্রানজিট হিসেবে ব্যাবহারের জন্যে  কড়ইতলী ও গোবড়াকুড়া পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের তালিকায় নাম লিখায়। এ স্থলবন্দরটি চালু হলে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সাউট গারোহিল ও গাছুয়াপাড়া জেলা সহ আশপাশের অন্যান্য এলাকা থেকে লাখ লাখ ভারতীয় নাগরিক সহজেই বাংলাদেশে ব্যবসা ভানিজ্য, লেখাপড়া, পর্যটন ও চিকিৎসা নিতে আসতে পারবে। এতে বাংলাদেশ ও ভারত অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কমে আসবে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ। সৃষ্টি হবে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান।

সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে, এ স্থলবন্দরের জন্যে ভূমি অধিগ্রহণ, বিডি-আর ক্যাম্প, পুলিশ স্টেশন, কাস্টমস ভবন, ওয়্যার হাউজ,ব্যাংক, এবং বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ল্যান্ডি পারমিট ভিসা অফিস স্থাপন করতে হবে। কড়ইতলী ও গোবড়াকুড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান হালুয়াঘাট স্থলবন্দর স্থাপনের চারটি স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এর মধ্যে গোবড়াকুড়া ও কড়ইলীর মাঝখানে সীমান্তের দেড়শ মিটার দূরে দু’টি শুল্ক স্টেশনের মাঝখানে ২২ একর ৩৯ শতাংশ জমির উপর প্রশাসনিক সহ অন্যান্য ভবন নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছেন।

হালুয়াঘাট আমদানী রপ্তানীকারক সমিটির সাধারন সম্পাদক আলী আজগর জানান, ট্রানজিট হিসাবে এ বন্দরটি ব্যবহার করা হলে ময়মনসিংহ ব্রন্মপুত্র নদের উপর ৪ লেনের একটি সেতু সহ ময়মনসিংহ শহর থেকে স্থলবন্দর পর্যন্ত ৬ লেনের সড়ক নির্মাণের প্রয়োজন হবে। সীমান্ত এলাকায় গোবড়াকুড়া ও কড়ইতলীর মাঝে সংযোগ স্থাপনে প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের একটি যৌথ টিমও পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। প্রকল্পটি এলজিইডিটেও পাঠানো হয়েছিলো।

কড়ইতলী আমদানী রপ্তানীকারক সমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সুরুজ মিয়া জানান, এ বন্দরটি চালু হলে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, বাঁশ, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল লাইম স্টোন, ফল, আদা, মসলা, কাঠ, কাজুবাদাম, সুপারী, কাগজ, মোটর সাইকেল, গাড়ি ও যন্ত্রাংশ সহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী আমদানী ও সিমেন্ট সিরামিক্স সামগ্রী, মশারির কাপড়, তৈরি পোশাক, হিমায়িত মাছ, শুটকী মাছ, জুস, কসমেটিক্স, প্যাকেটজাত খাদ্য সহ বিভিন্ন সামগ্রী রপ্তানীও করা যাবে#

বার্তা প্রেরক
ওমর ফারুক সুমন
হালুয়াঘাট(ময়মনসিংহ) তারিখঃ ১৮-০৮-১৭



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই