তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বিচার বিভাগের হাত পা বাধা,আমি কার কাছে যাব-খালেদা

বিচার বিভাগের হাত পা বাধা,আমি কার কাছে যাব-খালেদা
[ভালুকা ডট কম : ১৯ অক্টোবর]
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে অসমাপ্ত বক্তব্য রেখেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বক্তব্য শেষ না হওয়ায় ২৬ অক্টোবর বক্তব্য শেষ করার নতুন দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে, রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।

আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্যে, সরকারের বিরুদ্ধে বিচারকাজ প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া বলেন, শাসকগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে মামলার বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তারেক রহমানকে দুদকের একটি মামলায় বিচারক বেকসুর খালাস দেন। পরবর্তীতে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে এমন কিছু তৎপরতা চালানো হয়, যার ফলে সেই বিচারক সপরিবারে দেশ ছেড়ে যান।তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলা ছিল। ক্ষমতায় আসার পর সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী, শাসক দলের মন্ত্রীরা বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। মাননীয় আদালত, আমি কার কাছে যাব? আমি আদালতের প্রতি বিশ্বাস রাখতে চাই।

বিচারককে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, তা বিচারিক আদালতে পরিচালনা হচ্ছে। আমার জন্য বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়েছে। আমার বেলায় কেন এ ব্যতিক্রম হবে। মাননীয় আদালত আপনি কোথায় বসে এ মামলার বিচার পরিচালনা করছেন। কোথায় স্থাপন করা হয়েছে আপনার স্থান। এটা কি বিচারের কোনো প্রাঙ্গণ?

ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি বলেছেন, বিচার বিভাগের হাত পা বাধা। বিচারকরা স্বাধীন নন। এসব কারণে আমাদের বিষয়ে ন্যায়বিচার হবে কিনা, তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন ধারণা প্রবল যে, দেশে ন্যায়বিচারের উপযোগী সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। বিচার বিভাগ স্বাধীন ও স্বাভাবিকভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারছে না।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। এই মামলার সব অভিযোগ কাল্পনিক ও বানোয়াট। সব অভিযোগ স্ববিরোধী বক্তব্যে ভরপুর। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অর্থায়ন, পরিচালনা বা অন্য কিছুর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জড়িত ছিলাম না, এখনও নেই। অথচ ভিত্তিহীন অভিযোগে করা মামলায় বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা মামলার কারণে আমার স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্নিত হচ্ছে। রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। দেশ, জাতি ও জনগণের জন্য তাদের স্বার্থ ও কল্যাণে নিয়োজিত আমার প্রয়াস ও পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমন সব মিথ্যা মামলার কারণে দলের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও জনগণের একাংশকে থাকতে হচ্ছে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে।আমি নিজেকে খুবই সামান্য একজন মানুষ মনে করি। এই দেশ ও জাতির স্বার্থে আমি জীবনের সীমিত শক্তি, মেধা ও জ্ঞানকে উৎসর্গ করে দিয়েছি।

এর আগে বেলা সোয়া এগারটার দিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে এক লাখ টাকা করে মুচলেকায় তাকে জামিন দেন বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে বিদেশ গেলে আগে থেকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে জানান আদালত। এরপরই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন খালেদা জিয়া। সোয়া ঘণ্টার বেশি সময় আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করে, আরও বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময় চান বিএনপি চেয়ারপার্সন।

১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া ঢাকা ও কুমিল্লায় আরও দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এরইমাঝে তিনমাসের বিদেশ সফর শেষে বুধবার বিকেলে দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই