তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আত্রাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের গম চাষ

আত্রাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের গম চাষ,বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা
[ভালুকা ডট কম : ২১ ফেব্রুয়ারী]
নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের গম চাষ করা হয়েছে। নওগাঁর শষ্য ভান্ডার খ্যাত আত্রাই উপজেলায় চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় গম চাষে এই আমুল পরিবর্তন ঘটেছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা। উন্নত জাত এবং অর্থকরী স্বল্প সময়ের ফসলের প্রতি দিন দিন ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা। অন্যদিকে কম মুনাফা ও ঝামেলা যুক্ত ফসলের চাষ হ্রাস পাচ্ছে । এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে দেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য ফসল উন্নত জাতের গম চাষ করছেন কৃষকেরা।

গত কয়েক বছর যাবত বাম্পার ফলন ও অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় সচেতন কৃষকরা “বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট” উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের গম চাষের দিকে ঝুকছেন। শীত প্রধান দেশের খাদ্য ফসল গম এই বছর শীত বেশি হওয়ায় গমের ভাল ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও অন্যান্য ফসলের চেয়ে প্রত্যেক গম চাষী অধিক মুনাফা লাভ করবেন বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এটি মূলত শীত প্রধান দেশের খাদ্য ফসল, আমাদের দেশে গম আবাদের ইতিহাস খুব বেশী দিন আগের নয়।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ গম গবেষণা কেন্দ্র দেশে গম আবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও কৃষকদের অবদান এক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কৃষিবিদগণ। কম সেচে অধিক ফসল উৎপাদনসহ রোগ-বালাইয়ের আক্রমন কম হওয়ায় গম চাষে উৎপাদন ব্যয় কম। পাশাপাশি ধানের সাথে তুলনামূলকভাবে গমের দামও ভাল। ফলে কৃষক কম খরচে অধিক আয়ের লক্ষে গম আবাদে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। এমনকি বোরো ধানের চেয়ে গম চাষে রাসয়নিক সারের ব্যবহারও কম। ফলে কৃষকের বিনিয়োগ কম, আয় বেশী। বারি-২৫, ২৬, ২৮, ২৯, প্রদীপ, বিজয় ও শতাব্দী এসব জাতের গমে পোকার আক্রমণ কম হয়। ফলে ফলন ভালো হয়। আর তুলনামূলকভাবে অন্য জাতের গমের চেয়ে এসব জাতের চাষে উৎপাদন ব্যয় কম। ফলে কৃষকরা এসব জাতের গম চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার ৫শত ৩০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি -২৫, ২শ’ বারি-২৬, বারি-২৮ জাতের গম চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মো: রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এবার ৩ বিঘা জমিতে গম আবাদ করেছি। কৃষি অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচর্যা করছি। আশা করছি বিঘা প্রতি ১৪ মণ ফলন হবে।একই গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানান, প্রতিবছরের মত এবারো ৩ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। এ পরিমাণ জমি থেকে গত বছরের মত এবারো ৪২ মণ গম পাওয়ার আশা করছি। গত বছর গমের দাম মণপ্রতি পেয়েছি ৮’শ টাকা। যার বাজার মূল্য ছিল ৩৩ হাজার ৬’শ টাকা। এবারো সমপরিমাণ টাকা পাওয়ার আশা করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলারর কালিকাপুর ইউনিয়নের শলিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাহাবুব হোসেন জানান, বীজ সংগ্রহ সহ গম চাষে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হলেও এই উপজেলার কৃষকদের মাঝে গম চাষের তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। তবে আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে করে কৃষকদের মাঝে গম চাষের আগ্রহ বাড়ে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ কে এম কাউছার হোসেন জানান, কৃষকরা যেন গম চাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পরেন এ জন্য আমরা সর্বাক্ষণিক নজর রাখছি। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে থেকে তাদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই