তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ

সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কে খানাখন্দ চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৭ এপ্রিল]
টাঙ্গাইলের সখীপুর-সড়কের বেশির ভাগ অংশ ভালো থাকলেও সখীপুর পৌর এলাকায়  মাত্র ১৭০ মিটার সড়কের বেহাল দশার কারণে ওই সড়কে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সৃষ্ট বড় বড় গর্তগুলো চলতি বর্ষায় ডুবায় পরিণত হয়েছে।  প্রতিদিনই চলাচলকারী বাস-ট্রাক, সিএনজি , প্রাইভেটকার,মাইক্রোসহ নানা যানবাহন আটকে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে- কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই এ সড়কের ১৭০ মিটার ভাঙা অংশের সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ ঠা মে সখীপুর -সাগরদিঘী ৩০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আগামী ৫ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার কাজটি পায় ‘হক ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ২০ জুন ঠিকাদারের সঙ্গে এলজিইডির চুক্তি হয়। গত কয়েকদিন আগে ওই সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হলেও সখীপুর পৌরসভার খাদ্য গোদাম এলাকায় ১৭০ মিটার, বড়চওনা বাজারে ২৫০ মিটার এবং সাগরদিঘী বাজারের ৭০ মিটার সড়কের সংস্কার বাকী রাখেন।

এদিকে সড়কে তৈরি হওয়া বড় বড় গর্তে প্রতিদিন বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন আটকে গিয়ে যানজট তৈরি হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। টাঙ্গাইলের সখীপুর, ঘাটাইল, মধুপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা এবং ফুলবাড়িয়া উপজেলার একাংশের মানুষকে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে ওই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া টাঙ্গাইল, বাসাইল, সখীপুর, মির্জাপুর, কালিহাতীসহ কয়েকটি উপজেলার জনগণ ওই সড়ক দিয়ে ময়মনসিংহে যাতায়াত করেন। সড়কের সবটুকু ভালো থাকলেও অল্প একটু অংশের ভাঙনের কারণে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,পানি জমে থাকার কারণে বারবার ভাঙনের কবলে পড়া ওই অংশটুকু আরসিসি ঢালাই করা হবে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আরসিসি করার বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা দেননি। নির্দেশনা পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

ওই সড়কের ট্রাক চালক ফরিদ আহমেদ বলেন, সড়কের গর্তে প্রতিদিনই কোনো না-কোনো যানবাহন আটকে যাচ্ছে।  চলাচলের একমাত্র সড়ক হওয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা আমাদের আটকে থাকতে হচ্ছে। এতে আমাদের অনেক কষ্ট ও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

সখীপুর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস বলেন, সৃষ্ট হওয়া গর্তে ‘বৃষ্টির পানি জমে আগের চেয়ে বড় হয়েছে। ওইসব স্থানে আরসিসি ঢালাই করার জন্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে।

এদিকে সড়কে তৈরি হওয়া বড় বড় গর্তে প্রতিদিন বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন আটকে গিয়ে যানজট তৈরি হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। টাঙ্গাইলের সখীপুর, ঘাটাইল, মধুপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা এবং ফুলবাড়িয়া উপজেলার একাংশের মানুষকে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে ওই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া টাঙ্গাইল, বাসাইল, সখীপুর, মির্জাপুর, কালিহাতীসহ কয়েকটি উপজেলার জনগণ ওই সড়ক দিয়ে ময়মনসিংহে যাতায়াত করেন। সড়কের সবটুকু ভালো থাকলেও অল্প একটু অংশের ভাঙনের কারণে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই