তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করেছে মুজিবনগর সরকার-রাবি উপাচার্য

মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করেছে মুজিবনগর সরকার-রাবি উপাচার্য
[ভালুকা ডট কম : ১৭ এপ্রিল]
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দু‘টি, সোনার বাংলা ও বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার গঠন করাই  ছিল  মুক্তিযুদ্ধের মূল সোপান। মুজিবনগর সরকার থেকেই আজকের বাংলাদেশ।  মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান এসব কথা বলেন।

এসময় উপাচার্য আরো বলেন, ১৯৭৫ সাল পরে বাংলার মানুষ আস্তে আস্তে স্বাধীনতা, মুক্তিয্দ্ধু ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর কি, সে সম্পর্কে ভুলতে শুরু করেছিল। দেশকে স্বাধীন করতে হলে একটি সুসংগঠিত সরকার গঠন করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয়। তবে এর মূলে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে ১৭ই এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার লক্ষে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহন করে। এ অস্থায়ী সরকার যদি গঠন করতে না পারত তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতনা।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু অবর্তমানে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন তাজউদ্দিন আহমেদ। মুজিবনগর সরকার সঠিকভাবে সংগ্রাম পরিচালনা করতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করা খুবই দুরূহ ছিল। মুজিবনগর সরকার থেকেই আজকের বাংলাদেশ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী শেখ মুজিবুর রহমান এর পরে কেও তার মতো হতে পারবেনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হত। তিনি বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ও ভিশন ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সার্বিক দিক থেকে সহযোগিতা করতে হবে।

এসময় ভিসি মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এ  সরকার ব্যবস্থা চালু না হলে কে বা কার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যেত। জাতি একটি বৈধ সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনবোধ করেছিল । এ সরকার ব্যবস্থার ফলে মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি পেল একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

এর আগে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার ও সাবেক রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম সাইদুর রহমান খান বলেন, দেশ স্বাধীন করার পেছনে সকলের ভূমিকা ছিল, কিছু লোক হয়ত বিরোধিতা করেছিল কিন্তু সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। ১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল ১ম মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য ৫সদস্য বিশিষ্ট মন্রীসভা মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী মুজিবনগর বৈধ্যনাথতলার আ¤্রকাননে গোপনীয় ভাবে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ১৭এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মান্নান ও শপথ বাক্য পাঠ সম্পন্ন করেছিলেন আবু ইউসুফ। মুজিবনগর সরকার গঠন হওয়ার পর নানা দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। তিনি মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীসভা দায়িত্ব ও কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে পেরেছিলেন বলেই আমরা দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি।এসময় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ প্রমুখ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই