তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আজও ‘হালখাতা’র সংস্কৃতি ধরে রেখেছে আত্রাইবাসী

আজও ‘হালখাতা’র সংস্কৃতি ধরে রেখেছে আত্রাইবাসী
[ভালুকা ডট কম : ১৩ মে]
আমাদের দেশ বাংলাদেশ। প্রিয় মাতৃভ’মি আর এ দেশের বাংলা সন প্রবর্তনের পর থেকে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে হালখাতার প্রচলন শুরু হয়। এখন পয়লা বৈশাখ জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে অনেকটাই বিলুপ্তির পথে এক সময়ের জনপ্রিয় ও প্রাণের উৎসব হালখাতা। তবে এখনও নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ব্যবসায়ীরা হালখাতার প্রচলন অনেকটা ধরে রেখেছেন।

রীতি অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানগুলোতে হালখাতার আয়োজন করা কথা ছিলো পহেলা বৈশাখে কিন্তু কৃষকেরা তাদের কষ্টের ফসল ধান ঘরে তোলার সাথে সাথে জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে ব্যবসায়ীদের প্রাণের উৎসব শুভ হালখাতা। তবে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানগুলোতে হালখাতার উপকরণ তৈরির কাজ সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়েছে। এজন্য হালখাতার আমেজটাও শুরু হয়েছে সপ্তাখানেক আগেই।

হালখাতার উৎসব উপলক্ষে উপজেলার মির্জাপুর-ভবানীপুর, উপজেলা সদও, বজ্রপুর-সিংসাড়া, নওদুলী, কাশিয়াবাড়ি, শাহাগোলা, বান্ধাইখাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ দোকানেই চলছে ধোয়া-মোছা ও হিসাব-নিকাশের কাজ। আবার কেউ নতুন বছর উপলক্ষে পুরো দোকানেই নতুনত্ব আনার জন্য পুরোনো জিনিসপত্র রং করার কাজে ব্যস্ত।

দোকানগুলো সাজানো হয়েছে হালখাতা উদযাপনের নানা উপকরণ দিয়ে। দূরের ক্রেতারদের কার্ড বা ফোনের মাধ্যমে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। এখন চলছে আশপাশের ক্রেতাদের দাওয়াতের কাজ। যেসব দোকানে হালখাতা আয়োজন করা হচ্ছে তাদের আয়োজন প্রায় শেষের দিকে।

এক সময় হালখাতায় ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের গরম মিষ্টি, জিলেপি ও অন্যান্য খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে খাবারের আয়োজনেও পরিবর্তন এসেছে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী হোটেল বুকিং করে রেখেছেন এবং টোকেনের ব্যবস্থা করেছেন। ক্রেতারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেনা মিটিয়ে একটি টোকেন দেখিয়ে হোটেলগুলো থেকে খাবার নেবেন। এদিকে, হালখাতা উপলক্ষে টালি খাতা কেনার ধুম পড়েছে দোকানগুলোতে। পুরাতন খাতার হিসাব-নিকাশ নতুন খাতায় তুলতে হবে। তাই টালি খাতার কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা টালি খাতার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। আবার অনেকে টালি খাতা ফেরি করে বিক্রি করছে। অনেক দোকানি নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেই কিনছেন নতুন টালি খাতা।

এব্যাপারে উপজেলার ভবানীপুর বাজারের সওদা ফ্যাশন এন্ড ক্লথ ষ্টোরের মালিক আলহাজ্ব মো: আব্দুর রশিদ বলেন,আমার পূর্বপুরুষরাও হালখাতা করেছেন। ঐতিহ্য হিসেবে তাই আমরাও এই উৎসবটি আনন্দের সঙ্গে পালন করে থাকি। পাশাপাশি অনেক পাওনা টাকাও আদায় হয় এই উৎসব উপলক্ষে।খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন,দোকানের মধ্যে খাবার-দাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে দোকানের পাশেই করা হয়েছে খাবারের ব্যবস্থা এবং সেখানেই খাবারের পর্বটা সারা হবে।

এ বিষয়ে ভাই ভাই বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টস এর মালিক মো: বাবর আলী শেখ বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগ থেকে হালখাতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেমন, দোকান পরিষ্কার করা, দোকান মেরামত, দাওয়াত কার্ড ছাপানো ও ক্রেতাদের দাওয়াত কার্ডপৌঁছানো ইত্যাদি। আর এ সব তো একদিনের কাজ নয় অনেক সময়ের ব্যাপার তাই আমরা এ সপ্তাহ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

বিনোদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই