তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গফরগঁওয়ে তাল বীজ থেকে পটিং পদ্ধতিতে উৎপাদন

গফরগঁওয়ে তাল বীজ থেকে পটিং পদ্ধতিতে উৎপাদন
[ভালুকা ডট কম : ২২ মে]
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাইপাস সড়কের দৃষ্টি নন্দনের জন্য রাস্তার দু’পাশে রোপন করা হবে কয়েক হাজার তালগাছ।আর সে জন্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় তালবীজ থেকে পটিং পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে উৎপাদ করা হচ্ছে তালের চারা।

উপজেলার পাগলা থানাধীন লংগাইর ইউনিয়নের লংগাইর গ্রামের প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলের কৃষক একজন বঙ্গবন্ধু প্রেমিক (বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম খামারবাড়ি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে তালবীজ থেকে পটিং পদ্ধতিতে অতি অল্প সময়ের মধ্যে চারা উৎপাদ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করেছেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে হাজার হাজার তাল বীজ সংগ্রহ করে বৃক্ষ প্রেমিক রফিকুল ইসলাম গত বছরের জুলাই মাসে বৈজ্ঞানিক উপায়ে নিজের বসত ঘরের পাকা মেঝেতে ১হাজার ৫শ’ তালবীজ রোপন করেন।পাকা বসত ঘরের মেঝে ৫-৬ ইঞ্চি পুরু দোঁয়াশ মাটি স্তর বিছিয়ে তালের বীজ রোপন করে পটিং পদ্ধতিতে তালের চারা উৎপাদনের সফল হয়েছেন।কৃষক রফিকুল ইসলামকে এপদ্ধতিতে চারা উৎপাদন কাজে প্রযুক্তিগত ভাবে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন ঢাকা খামারবাড়ির বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড.মেহেদী মাসুদ।

পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড.মেহেদী মাসুদ সম্প্রতি গফরগাঁওয়ের কৃষক রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে এসে পটিং পদ্ধতিতে বীজ থেকে তালের চারা উৎপাদন প্রকল্পের কাজ সরেজমি পরিদর্শন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন,গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ খান,পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ,জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান,স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ফকির এ মতিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এবিষয়ে বছর ব্যাপী ফল উৎপাদন মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়নের প্রকল্প পরিচালক ড.মেহেদী মাসুদ জানান,এপদ্ধতিতে তালবীজ রোপনের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে অঙ্করোদগম হয়।খুব অল্প সময়ে বীজ থেকে অঙ্করোদগমের পর টিউব বা নলের মত বের হয়।এটি দেড় থেকে দুই ফুট মাটির গভীরে চলে গিয়ে কান্ড গজায়।পরে বীজ থেকে কান্ড আলাদা করে মাটি ও জৈব সার মিশিয়ে পলি ব্যাগে রাখার পর খুব দ্রুত বড় হয়ে উঠে।এতে কান্ড থেকে পাতা গজানো পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় এক বছর।

গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন লংগাইর গ্রামের একজন বঙ্গবন্ধু ভক্ত রফিকুল ইমলাম বৃক্ষরোপন অভিযানের অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা আল ফরুকের অনুপ্রেরণায়  প্রথমে তাঁর নিজের বাড়িতে তালগাছ রোপন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন।পরবর্তীতে তালবীজ রোপনের জন্য বেছে নেন গফরগাঁও-বরমী সড়কের মাইজবাড়ি হতে কান্দিপাড়া বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তার দুই পাশে দুই কিলোমিটার এলাকা।সংগ্রহ করা হয় কয়েক হাজার তালের বীজ।মাইজবাড়ি হতে কান্দিপাড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ৮/১০ফুট অন্তর তালের বীজ রোপন করা হয়।পরিচর্যার মধ্য দিয়ে চলে যায় কয়েক বছর।এদিকে সুদীর্ঘ একুশ বছরে তালগাছ গুলো বেড়ে উঠে ৪/৫ফুট উচু হয়েছে।অনেক গাছে তাল আসতে শুরু করেছে।গ্রামের নিরিবিলি সড়কে সারি সারি তালগাছ এলাকার প্রকৃতিকেও নতুন করে সাজিয়েছে।

এব্যাপারে কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান,ছোট বেলাতে থেকেই বৃক্ষ রোপন করা আমার শখ ছিল।তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা আল ফরুকের অনুপ্রেরণায় আমার গ্রামে তালগাছ রোপনের সফলতার মধ্য দিয়ে  বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত পেয়েছি।টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাইপাস সড়কের রোপনের জন্য তালের চারা সরবরাহ করতে পেরে আমি নিজে ধন্য মনে করছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই