তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার আনাচে-কানাচে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গণসংযোগ

ভালুকার আনাচে-কানাচে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গণসংযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২৯ জুন]
নির্বাচনী এলাকা ১৫৬-ময়মনসিংহ ১১ ভালুকা আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা ভালুকার আনাচে-কানাচে গত রমজান মাস থেকে ইফতার পার্টির মধ্য দিয়ে যে গণসংযোগ শুরু করেছিলো তা এখন প্রতিটি ইউনিয়নের অলিতে-গলিতে উৎসবে রূপ নিয়েছে সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইউনিয়নের আনাচে-কানাচে সপ্তাহের কোন না কোন দিন গণসংযোগ করে যাচ্ছে তবে এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী নতুন নেতারাই পুরাতনদের চেয়ে এগিয়ে।

ভালুকার এই আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে এক ডজন এর মত নেতা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকেও রয়েছেন বেশ কয়েকজন তবে এদের মধ্যে  আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান এমপি,উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্লাহ , ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আশরাফুল হক জর্জ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, মহিলা ভাইস চেয়াম্যান মনিরা সুলতানা মনি,পাপুয়া নিউগিনি আওয়ামীলীগের সভাপতি ব্যবসায়ী আলহাজ্ব এম.এ. ওয়াহেদ,জেলা আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন, ডা: কে.বি.এম হাদিউজ্জামান সেলিম,আ’লীগ নেতা ব্যবসায়ী হাজী রফিকুল ইসলাম ও সমাজ সেবক হাজী বেলাল ফকির প্রমুখ্য।  বিএনপি থেকে ভালুকা উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু, ভালুকা উপজেলা বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম,বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল ও বিএনপি নেতা আবুল হোসেন এর নাম শুনা যাচ্ছে।  এছাড়াও জাপা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে দু এক জনের নাম শুনা যাচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্যাহ :-
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান এমপি সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্লাহ । তিনি ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এমপি মরহুম আলহাজ্ব আমান উল্যাহ চৌধুরী কে পরাজিত করে এ আসনটি উদ্ধারের পর থেকে বর্তমান নির্বাচনে তিনি অপ্রতিরোধ্য একজন জনপ্রিয় প্রার্থী । তাই মনোনয়ন পাবার দৌড়ে তিনিই সবার আগে । টানা চারবার আওয়ামী লীগকে ভালুকার এই আসনটি তিনি উপহার দিয়েছেন, বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত আসনটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এর পেছনে তার অক্লান্ত পরিশ্রম অবশ্যই আছে যার মূল্যায়নে তিনি এবারও মনোনয়ন পাবেন এমনে আশা তিনি করেন। বয়স সংক্রান্ত কোন সমস্যা নাহলে মনোনয়ন দৌড়ে তিনি সবার আগে থাকবেন । তবে ভালুকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ এমন অভিযোগ ভালুকার আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক খ্যাত কাচিনা মল্লিকবাড়ী ডাকাতিয়াসহ প্রায় সব কয়টি ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যে। এইসব ইউনিয়নের যোগাযোগের রাস্তাঘাট এতই খারাপ যার জন্য এমপির সকল কর্ম সকল অর্জন এখানে এসে স্থবির হয়ে পড়ে।

আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা : -
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে বর্তমান এমপি'র পরেই যার নাম আসে তিনি হচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও ভালুকা উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ।  সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল পর্যায়ে এমপির চেয়েও সুসংগঠিত মজবুত অবস্থানে আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে তার সাংগঠনিক হাত অনেক বেশী মজবুত তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন গত উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত করে। তাই আপাতদৃষ্টিতে তৃণমূলে তারচেয়ে বড় নেতা মনোনয়ন জন্য নেই।

আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু : -
মুক্তিযুদ্ধে দক্ষিণ ময়মনসিংহে গঠিত অনিয়মিত আফসার বাহিনীর অধিনায়ক সাব সেক্টর কমান্ডার এফজে-১১ ও সাবেক ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মরহুম মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদের সুযোগ্য সন্তান ভালুকা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন। আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু বিগত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণ ভোট বেশি পেয়ে ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের ভোটে হেরে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুর রয়েছে ভালুকার  আওয়ামী ভোট ব্যাংকে পিতা মরহুম মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদের ভক্ত সমর্থক ও শ্বশুর মানিকগঞ্জের বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক হযরত মাওলানা পীরে কামেল মরহুম আজাহারুল ইসলাম সিদ্দিকী সাহেবের অসংখ্য মুরিদানের ভোট।

মনিরা সুলতানা মনি :-
ভালুকা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান,ময়মনসিংহের মমিনুননেছা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি, ময়মনসিংহ জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা, বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী  ভালুকা  উপজেলা  শাখার আহবায়ক মনিরা সুলতানা মনি,পিতা মরহুম মোস্তফা এম এ মতিন ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের ভালুকার এমপি। পিতার সুনাম ও ব্যাক্তি ক্লিন ইমেজ থাকায় তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী  মাঠে সক্রিয় আছেন।

আলহাজ্ব এম.এ. ওয়াহেদ :-
ভালুকার আ’লীগের রাজনীতিতে আলহাজ্ব এম.এ. ওয়াহেদ নামটি নতুন হলেও তিনি ভালুকা উপজেলার আঙ্গারগাড়া গ্রামের বাসিন্দা পাপুয়া নিউগিনি আওয়ামীলীগের সভাপতি।   দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, মাজার, স্কুল, কলেজ সহ সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহযোগিতা ও অসহায় পরিবারদের থাকার জন্য বাড়ি নির্মাণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে আসছেন ।  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিদিন সর্বস্তরের মানুষের সাথে গণসংযোগ করে চলছেন।  সম্প্রতি তিনি নিজ গ্রামে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণ করে এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে বিরাট সাড়া ফেলেছেন তাছাড়া পাপুয়া নিউগিনি আওয়ামীলীগের এই নেতার স্বপক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন ভালুকা উপজেলা কৃষকলীগ।

ডা: কে.বি.এম হাদিউজ্জামান সেলিম :-
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে নাম লিখিয়েছেন এবছরই প্রথম বার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: কে বি এম হাদিউজ্জামান সেলিম পিতা কে বি এম আছমত আলী ভালুকা আ’লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি। তিনি আ’লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৯৬সাল পর্যন্ত থানা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ডা.কে,বি,এম হাদিউজ্জামান সেলিম বর্তমানে ভালুকাতে চিকিৎসক হিসাবে এলাকার মানুষকে কখনও বিনামুল্যে চিকিৎসা,কখনও বিপদ আপদে সহায়তা করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণ সংযোগ,স্বাস্থ্য ক্যাম্প করে যাচ্ছেন।

এছারা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে আছেন : -
কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আশরাফুল হক জর্জ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু,জেলা আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন,আ’লীগ নেতা ব্যবসায়ী হাজী রফিকুল ইসলাম ও সমাজ সেবক হাজী বেলাল ফকির।

ভালুকা আওয়ামীলীগের তুলনায় বিএনপির ঘরে একটু বেশি শান্তি চলছে মনোনয়নরে দৌড়া দৌড়ি এখানে মূলত দুই ব্যাক্তি কেন্দ্রীক চলছে যা সাধারন রাজনীতিতে সব স্থানেই চলে । ভালুকা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ময়মনসিংহ(দঃ) জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ভালুকা উপজেলা শাখার সভাপতি ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু এবং বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সাবেক মহাসচিব, ময়মনসিংহ(দঃ) জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, ভালুকা শাখার শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলার ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষেদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোর্শেদ আলম ।

ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু :-
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা ১৫৬-ময়মনসিংহ ১১ ভালুকা আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হন।  নির্বাচনে পরাজয় হবার পর থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি কে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার প্রয়াস করে সফলতা দেখিয়েছে। বর্তমান সময়ে তিনি ভালুকা বিএনপি’র সকল প্রকারের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার নেতৃত্বে মূল বিএনপি বর্তমানে একটি শক্তিশালী সংগঠন। ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু আসন্ন জাতীয় সংসদের গণসংযোগের অংশ হিসেবে তার নেতৃত্বে পৌরসভার ৯টি, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৯৯টি ওয়ার্ডে স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে আলোচনা ও ইফতার পার্টির আয়োজন করে। এসব পার্টিতে তিনি নিজে ও উপজেলার সাংগঠনিক টিম তদারকি করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বেশ ফুরফুরে এখন ।  বিগত দিনে আন্দোলনে মাঠে নেমে মিছিল মিটিং করতে গিয়ে তিনি পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। তাঁর বিরুদ্ধে ভালুকা ১৪টি ময়মনসিংহ সদর ৬ ও ঢাকা পল্টন  থানায় ২টি সহ মোট ২২টি মামলা রয়েছে। এ সব মামলায় তিনি ৭মাস জেলও খেঁটেছেন। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৬সালে ৭টি ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯ মামলা ছিল।  সবমিলিয়ে রাজনীতির জন্য দলের ত্যাগী নেতাদের অবশ্যই পার্টির হাইকমান্ড মূল্যায়ন করবেন এবং তাকেই ভালুকা থেকে আবারো মনোনয়ন দিবেন এমনই আশা করছেন তিনি ।

আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম :-
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম শীত মৌসুমে অসহায় ও গরীব জনগনের মধ্যে কম্বল ও শীতবন্ত্র এবং অসহায় ও দুস্থ নারীদেরকে শাড়ী উপহার দিয়ে ভোটারদের মন জয় ও তাদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম পবিত্র রমজানে আলোচনা ও ইফতার পার্টির আয়োজন করেছেন প্রতিটি ইউনিয়নে।  মূলত তিনি ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু বিরোধী নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী ছকে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।  তবে আলহাজ্ব মোর্শেদ আলমের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃখের সংবাদ হচ্ছে তার বিরুদ্ধে মাত্র একটি রাজনৈতিক মামলা ছাড়া বনের জমি জবরদখলের অভিযোগে বন আইনে ১০/১২ টি মামলা রয়েছে যার মধ্যে দুটি মামলায় তাহার কারাদণ্ড সহ জরিমানা হয়েছে যা তিনি উচ্চ আদালত থেকে বর্তমানে জামিনে আছেন ।  তাছাড়া মোর্শেদ আলমের দুই স্ত্রী পাপিয়া নাসরিন ও সুরাইয়া আক্তার এবং তিন কন্যা সাফিসা সাদাফ জুয়াইরিয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস মাইসা ও মিছতাহুল জান্নাত সুজাইতার সম্পদের আয় ব্যায় ও সম্পদের হিসাব নিতে মাঠে নেমেছে দুদক। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার দুনীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মোঃ শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত করতে মাঠে নামে দুদকের একটি টিম। এমন অবস্থায় যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো সময় দুর্নীতি মামলা ওয়ারেন্ট আসতে পারে জামিন নামঞ্জুর হতে পারে এমন ব্যক্তিকে বিএনপির হাইকমান্ড কিভাবে মূল্যায়ন করবে এটাও নেতাকর্মীদের প্রশ্ন আবার দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেলেও নির্বাচন কমিশন একজন অপরাধীক কর্মকান্ডে জড়ীত ব্যক্তি কে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন কিভাবে নির্বাচন করাবেন তাও প্রশ্নবিদ্ধ চিহ্ন যার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।

এছারা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে আছেন : -
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল, ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও জিয়া ব্রিগেড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মেজর (অব.) আবদুল হামিদ ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, জাপা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাফর সরকার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই