তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় বিদ্যালয় চলাকালীন কোচিং বানিজ্য

ভালুকায় বিদ্যালয় চলাকালীন কোচিং বানিজ্য
[ভালুকা ডট কম : ০৫ আগস্ট]
ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাশ চলাকালীন বাধ্যতামুলক কোচিং ক্লাশ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।ছাত্র অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ আগষ্ট শনিবার সকাল সারে ১০ টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গেলে দেখা যায় সকালের শিফটে বিভিন্ন ক্লাশে মেয়েরা ক্লাশ করছেন।

দোতলার দুটি কক্ষে ছেলেদের ক্লাশ নিচ্ছেন একজন মহিলা ও একজন পুরুষ শিক্ষক। ওই মুহূর্তে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রদের কোচিং ক্লাশ করানো হচ্ছে। ছাত্ররা জানায় অষ্টম ও দশম শ্রেণীর সকল ছাত্র/ছাত্রীদের বাধ্যতা মূলক কোচিং করতে হয়। কোচিং ফি মাসিক দশম শ্রেণী ১০০০ ও অষ্টম শ্রেণী ৬০০ টাকা। কোচিং এ যোগ না দিলেও বেতন কেটে নেয়া হয়। ক্লাশের শিক্ষক জানান তারা প্রধান শিক্ষকের নিদের্শে স্কুল গৃহে মেয়েদের শিফট চলাকালে ছেলেদেরকে আর ছেলেদের শিফট চলাকালে মেয়েদেরকেও কোচিং ক্লাশ করাচ্ছেন এমনকি গত রমমজান মাসেও স্কুল চলাকালীন কোচিং ক্লাশ করানো হয়েছে। অষ্টম ও দশম শ্রেণীতে ৬০০,র মত ছাত্র/ছাত্রী কোচিং ক্লাশ করছেন।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দীর্ঘ সময়ের সাবেক সদস্য সীডষ্টোর বাজার সমিতির সভাপতি শাহাব উদ্দীন তালুকদার জানান বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০০ শত ছাত্র ছাত্রী রয়েছে, দুই শিফটে স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে, ২৮জন শিক্ষকের মধ্যে ১৮ জন সরকারী অনুদানে বেতন ভূক্ত বাকি ১০ জন খন্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত। স্কুলে নিয়মিত ক্লাশে শিক্ষদান ব্যবস্থা ভাল হলে অষ্টম ও দশম শ্রেণীর সকল ছাত্র ছাত্রীদের অবশ্যই ঢালাও ভাবে কোচিং করার কথা  নয়। তিনি জানান চাকরির ভয় দেখিয়ে শিক্ষদেরকে জোর করে স্কুল চলা কালে কোচিং করতে বাধ্য করাচ্ছেন । কোচিংয়ের নামে ছাত্র ছাত্রীদের নিকট হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান তাঁর দুই মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলের নিয়মিত বেতন ছাড়াও তিনি দু’জনের জন্য ২০০০ টাকা কোচিং ফি পরিশোধ করেছেন।এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জানান বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রী বেশী হওয়ার কারনে দুই শিফটে ক্লাশ চলে। সকাল সারে ৭ টা থেকে সারে ১১ টা পর্যন্ত মেয়েদের ও দুপুর সারে ১২ টা থেকে বিকাল সারে ৪ টা পর্যন্ত ছেলেদেরকে  বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাশ নেয়া হয়।যে সকল ছাত্র/ছাত্রীরা পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করেছে তাদের ভাল ফলাফলের জন্য সকালের শিফটে মেয়েদের নিয়মিত ক্লাশ চলাকালীন ছেলেদেরকে ও বিকালের শিফটে ছেলেদের ক্লাশ চলাকালীন মেয়েদেরকে কোচিং করানো হয়।

বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাশ চলাকালীন একই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদ্বারা বিদ্যালয় গৃহে মাসিক বেতনে ক্লাশের সকল ছাত্র ছাত্রীদের ঢালাওভাবে কোচিং করানো বিধি সম্মত কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী অভিভাবকদের পরামর্শেই কোচিং ক্লাশ করানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল সাংবাদিকদের জানান কোন স্কুলে ক্লাশ চলাকালীন ঢালওভাবে ছাত্র ছাত্রীদের কোচিং করানোর বিধান নেই, তবে দুর্বল ছাত্রদের চিহ্নিত করে তাদের মেধা বৃদ্ধির লক্ষে স্কুলের ক্লাশের আগে পরে সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী কোচিং করা যায়।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই