তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ

রাণীনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৬ আগস্ট]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ‘হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে সচেতন অভিভাবকদের পক্ষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি এজাদুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।

জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বিদ্যালয়টি ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যান। এছাড়া ঠিকমতো শিক্ষকরা পাঠদান করেন না। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে নাজিমুদ্দিন ওরফে নফেল নামে এক অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগ করেন। শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইয়ুব আলী মৃধা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগকারী নাজিমুদ্দিনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান এবং অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সভাপতির ইন্ধনে বিদালয়ের শিক্ষকরা ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি এজাদুল ইসলামের মেয়ে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে বের করে দেয়। এরপর লজ্জায় মেয়েটি চারদিন স্কুলে যায়নি। সর্বশেষ গত শনিবার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কলম বিতরণ করা হয়। সেখানে ওই ছাত্রী ও তারা বাবাও উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার ওই ছাত্রীকে অফিসে ডেকে নিয়ে অন্যান্য শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সামনে বই-খাতা চুরি করেছ বলে চোর অপবাদ দেন।

অভিভাবক হেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে চর্তুথ শ্রেনীতে পড়ে। বিদ্যালয়ের পিয়ন হচ্ছে সভাপতির ছেলে নওশাদ আলী মৃদা। সে পিয়ন হলেও স্কুলের কোন কাজ করে না। শিক্ষার্থীদের দিয়ে থালা-বাসন পরিস্কার ও ঝাড়ু দিয়ে নেয়া হতো। ওই পিয়ন আবার বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। যারা তার কাছে প্রাইভেট পড়ে তারা পরীক্ষার খাতায় ভাল নাম্বার পাই। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে স্কুল ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যান।

অভিযোগকারী ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি এজাদুল ইসলাম বলেন, কলম বিতরণ অনুষ্ঠানে আমিও ছিলাম। অথচ আমার সামনে থেকে মেয়েকে ডেকে নিয়ে গিয়ে চোর অপবাদ দেয়া হয়। বিষয়টি তো শিক্ষকরা আমাকে বলতে পারতেন। প্রথম শ্রেনী থেকে এ পর্যন্ত স্কুলে লেখাপড়া করে আসছে কোন সমস্যা নাই। তাহলে হঠাৎ করে কেন এ অপবাদ দেয়া হলো। লজ্জায় মেয়েটা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মেয়েকে মানষিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার বলেন, গত কয়েকমাস থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বই, খাতা ও কলম হারাচ্ছে। এ নিয়ে ৭-৮ শিক্ষার্থীরা আমার কাছে অভিযোগ করে। কয়েকদিন আগে শিক্ষার্থী মাছুরার কাছে নাকি বই পাওয়া গেছে। তবে মাছুরাকে ডেকে নিয়ে চোর অপবাদ দেয়া, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে থালা-বাসন পরিস্কার ও ঝাড়– দেয়া সম্পন্ন মিথ্যা কথা।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইয়ুব আলী মৃধা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই